Blog

  • জামালপুর সদর উপজেলার ১৪ নং দিগপাইট ইউনিয়ন বিএনপি’র অবস্থান কর্মসূচি

    জামালপুর সদর উপজেলার ১৪ নং দিগপাইট ইউনিয়ন বিএনপি’র অবস্থান কর্মসূচি

    খোরশেদ আলমঃ

    ১৫ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার ১৪ নং দিগপাইত ইউনিয়ন আদর্শ বটতলায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ আবুল কালাম মাস্টার এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ১৪ নং দিগপাইত ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মোঃ জিয়াউল হক মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফিরোজ আহমেদ ফরিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জামাল উদ্দিন, জেলা ছাত্র দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ালিউল্লাহ অলি, ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: সোহেল রানা, ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রঞ্জু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আলাল উদ্দিন আরো উপস্থিত ছিলেন ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মোঃ সাত্তার মিয়া, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আলামিন প্রমুখ।

  • শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে মিঠাপুকুরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

    শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে মিঠাপুকুরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার দোসরদের বিচারের দাবিতে রংপুরের মিঠাপুকুরে অবস্থান কর্মসূচী ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
    বুধবার, (১৪ আগস্ট), সকালে উপজেলার সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির, আহ্বায়ক একে আজাদ শফিকুলের আয়োজনে, একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
    এ সময় বক্তব্য দিতে গিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলেন, বিগত ১৭ বছর ধরে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে গুম খুন করা হয়েছে। এমনকি ছাত্রজনতার আন্দোলনে গুলি চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছে। আমরা এসব হত্যাকান্ডের বিচারের দাবি জানাই।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির উপজেলার নেতা-কর্মীরা।

  • ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ শরিফুর রহমান বিপিএম এর জামালপুর জেলা সফর

    ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ শরিফুর রহমান বিপিএম এর জামালপুর জেলা সফর

    খোরশেদ আলমঃ

    জামালপুর জেলায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের দৃঢ় মনোবল, কর্মক্ষেত্রে কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি’র লক্ষ্যে বিশেষ রোলকল ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার ১৪ আগস্ট,২০২৪ বেলা ১২ ঘটিকায় ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোহাম্মদ শরিফুর রহমান বিপিএম জামালপুর অফিসার্স মেসে পৌঁছালে ফুলেল শুভেচছা জানান জামালপুর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বিপিএম।
    পরবর্তীতে পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস শেডে এবং জামালপুর সদর থানা কম্পাউন্ডে আয়োজিত বিশেষ রোলকলে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ শরিফুর রহমান বিপিএম।
    পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস শেডে এসএএফ শাখায় কর্মরত উপস্থিত অফিসার-ফোর্সের সাথে কুশল বিনিময় করে অতিরিক্ত ডিআইজি মহোদয় জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষায় নতুন উদ্যমে জেলা পুলিশের সকল সদস্য কাজ শুরু করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পুলিশ সদস্যদের কর্মক্ষেত্রে সূদৃঢ় মনোবল ও কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি’র লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ে ব্রিফিং প্রদান করে উপস্থিত সকলকে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
    এসময় অতিরিক্ত ডিআইজি মহোদয় উপস্থিত অফিসার ও ফোর্সদের সাথে কুশল বিনিময় করে রাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থায় জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষায় নতুন উদ্যমে পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করার আহ্বান জানান ও বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
    এর আগে অতিরিক্ত ডিআইজি মহোদয় জামালপুর অফিসার্স মেসে পৌঁছালে জেলা পুলিশের একটু চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রধান করেন।
    এসময় জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ মাসুদ আনোয়ার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) সোহেল মাহমুদ পিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহরাব হোসেন সহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

  • আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর ১ম শাহাদাত বার্ষিকী আজ।

    আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর ১ম শাহাদাত বার্ষিকী আজ।

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    বিশ্ব বরেণ্য আলেম, লক্ষ আলেমের ওস্তাদ,  জালিমের আতঙ্ক মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী (রহঃ) এর আজ ১ম শাহাদাত বার্ষিকী আজ।
    দীর্ঘদিন তাঁকে অন্যায় ভাবে কারাগারে রাখা হয়েছিলো।গত বছরের আজকের দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত দেখিয়ে ৮৩ বছর বয়সে তাঁকে মেডিকেলে ভর্তি করান।
    মেডিকেলে তাঁকে বিনা চিকিৎসায় নির্মম ভাবে শহীদ করা হয়েছে । মহান আল্লাহপাক হুজুরের মৃত্যুকে শাহাদাতের মৃত্যু হিসেবে কবুল করুন । প্রিয় রাহবর মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদি আল্লাহ আপনাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের উচ্চ মাক্বাম দান করুক। আমিন।

  • জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণের আশায় দালালচক্রের রাস্তার দু’ধারে নতুন স্থাপনা নির্মাণ।

    জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণের আশায় দালালচক্রের রাস্তার দু’ধারে নতুন স্থাপনা নির্মাণ।

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    বামনডাঙ্গা (গাইবান্ধা)-শঠিবাড়ী-আফতাবগঞ্জ (দিনাজপুর) জেলা মহাসড়ক (জেড-৫০১৩) প্রশস্থকরণ এর জন্য সরকার রাস্তার দু’ধারের জমি অধিগ্রহণ করবে। সেই জন্য জমি অধিগ্রহণসহ দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকলে দেওয়া হবে ক্ষতিপূরণ। সেই আশায় নতুন করে রাস্তার দু’ধারে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন জমির মালিকগণ ও কয়েকটি দালালচক্র।
    নতুন করে জমি অধিগ্রহণকল্পে ক্রয় করা হবে জমি এবং ব্যবসায়ীকে দেওয়া হবে ক্ষতিপূরণ। এ-সুযোগে কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য মহাসড়কের দু’ধারে আবাদি ও পতিত জমিতে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়েই নতুন করে বিল্ডিং, দোকান ঘর, মার্কেট নির্মাণ করেছেন।
    পুরাতন ও নবনির্মিত স্থাপনা গুলোর জন্য নতুন করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছেন। ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ এবং দোকান ঘর ভাঙ্গার ক্ষতিপূরণ নেওয়ার জন্য এ সমস্ত স্থাপনা নির্মান  করেছেন মহাসড়কের দু’ধারের পতিত জমির মালিকগণ ও কয়েকটি দালালচক্র।
    এমনকি বসতবাড়ি ভেঙ্গে তৈরি করা হয়েছে মার্কেট। এর ফলে মহাসড়কের দু’পার্শ্বে প্রতিদিন নতুন করে জেগে উঠা স্থাপনা চোখে পড়ছে। আগে যে জায়গা গুলো ফাঁকা পড়ে ছিল সেই জায়গাগুলোতেও তৈরি করা হয়েছে দোকান ঘর। অনেকেই কাগজে-কলমে দোকান ঘর ভাড়া নিচ্ছেন স্বার্থ হাসিলের আশায়।
    এর ফলে সচেতন মহলের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, চলছে চায়ের দোকানে আলোচনা কে কতো টাকা পাবে?
    যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য নতুন করে দোকান ঘর নির্মাণ ও ব্যবসায়ী হিসেবে ক্ষতিপূরণ নেওয়ার পায়তারা করছেন, এই দালালচক্রের বিষয়ে ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টিআকর্ষণ ও জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতনমহল।
    সচেতনমহল আরো বলছেন, দেশ নতুন করে সাজানো হচ্ছে, এই দেশে আর কোন দুর্নীতি হতে দেওয়া যাবেনা।

  • বদরগঞ্জে মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়া’কে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনা ঘটেছে।

    বদরগঞ্জে মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়া’কে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনা ঘটেছে।

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার  ১৫নং লোহানিপাড়া ইউনিয়নের ঘিরনই, মাল তোলা নামক এলাকায় মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়া’কে কেন্দ্র করে খু*নের ঘটনা ঘটেছে।
    স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোমবার, (১২ আগস্ট ২০২৪ইং), একটি মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়া কে কেন্দ্র করে উপজেলার  ১৫নং লোহানিপাড়া ইউনিয়নের ঘিরনই, মাল তোলা নামক এলাকায় মোঃ আয়নাল মিয়ার পরিবারের সাথে মোঃ সামাদ মিয়ার পরিবারের ঝগড়া লেগে যায়।
    স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারা, ঝগড়া নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আলোচনা বসে।
    আলোচনার এক পর্যায়ে দুই পক্ষই মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন ।
    একদিকে সামাদ মিয়ার পরিবারের লোকজন অন্য দিকে নিহত আয়নাল মিয়ায়ার পরিবারের লোকজন তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়।
    সংঘর্ষের একপর্যায়ে আয়নাল মিয়া গুরুতর আঘাত প্রাপ্তহন। সেখান থেকে লোকজন তাকে চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে ভর্তি করান।
    চিকিৎসাধীন অবস্থায় আয়নাল মিয়ার মৃত্যু হয়। নিহত আয়নাল মিয়ার আনুমানিক বয়স ৬০ বছর।
    রাতে আয়নাল মিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে, প্রাণভয়ে সামাদ মিয়ার পরিবারের লোকজন নিজ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
    মৃত্যুর ঘটনা কে কেন্দ্র করে, সামাদ মিয়াদের বাড়িতে বিভিন্ন মালামাল লুটতরাজের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।
    সেই সঙ্গে সাথে, সামাদ মিয়ার পরিবার থেকে দাবি করা হচ্ছে নিহত আয়নাল তাদের আঘাতে মৃত্যুবরণ করেনি।
    অপরদিকে, নিহত আয়নাল মিয়ার পরিবারের লোকজন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

  • সম্প্রীতির আলোয় উদ্ভাসিত হোক প্রিয় বাংলাদেশ

    সম্প্রীতির আলোয় উদ্ভাসিত হোক প্রিয় বাংলাদেশ

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। আবহমানকাল থেকেই এ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিদ্যমান। এ দেশের প্রাকৃতিক দৃশ্য যেমন সৌন্দর্যময় তেমনি এর অধিবাসীদের ধর্মীয় বিশ্বাসও বৈচিত্রময়। আমাদের দেশের জনগণ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-মুসলমানসহ বিভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসী। এ দেশের অধিবাসীরা বাঙালি, মণিপুরি, চাকমা, মারমা প্রভৃতি নৃগোষ্ঠীতে বিভক্ত হলেও একক পরিচয়ে আমারা বাংলাদেশী।
    যে দেশে হিন্দু ভাইয়ের দোকান থেকে জিলাপি বা মিষ্টি কিনে মসজিদে মিলাদ পড়ানো হয়।
    কোন মুসল্লি এটা নিয়ে চিন্তা না করে নিশ্চিন্তে মিলাদ শেষে জিলাপি খেতে খেতে বাড়ি যায়।
    যে দেশে চা এর দোকানে একই কাপে হিন্দু-মুসলিম চা খেয়ে যুগের পর যুগ বসবাস করছি আমরা। কারো মাথায় এটা নিয়ে ব্যাথা-বেদনা নেই।
    যে দেশে হিন্দুদের দাওয়াতে অধিকাংশ লোক থাকে মুসলিম এলাকাবাসী, বন্ধুবান্ধব মুসলিমদের দাওয়াতেও খুব স্বাভাবিকভাবে হিন্দুরা অংশ নেয়। এতে কেউই কিছু মনে করে না।
    যে দেশে সামাজিক কোন অনুষ্ঠানে একই টেবিলে একই প্লেটে হিন্দু-মুসলিম পাশাপাশি বসে খাবার খাই আমরা।
    যে দেশে পাবলিক বাসে, রিক্সায়, ক্লাসের বেঞ্চে পাশাপাশি বসে দিব্যি চলাফেরা করে হিন্দু-মুসলিম। কারো কোন সমস্যা নেই।
    যে দেশে মসজিদ আর মন্দির একই এলাকায় আছে অনেক জায়গায়। দুই পক্ষই ইবাদত করছে। কারোরই কোন অসুবিধা হয়না যুগ যুগ ধরে।
    অনেকেই আছে যারা হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। অনেকেই হিন্দু মুসলিম একসঙ্গে এক বেডে থাকে।
    যে দেশে পূজার ছুটিতে বাড়িতে গেলে বন্ধুর জন্য তার পূজার নাড়ু নিয়ে আসে, মুসলিম বন্ধু ঈদে বাড়িতে গেলে কোরবানি ঈদের খাসির মাংস নিয়ে যায় হিন্দু বন্ধুর জন্য।
    যে দেশে হিন্দু বন্ধু মুসলিম বন্ধুূের সঙ্গে মিলেমিশে ইফতার পর্যন্ত করে।
    সে দেশে হুট করে স্বৈরাচারী সরকার পালানোর পরে কোন ধরনের গুজব শুরু হলো..???
    বিশ্বের আর কোন দেশে এরকম সুন্দর দৃষ্টান্ত দেখাতে পারবেন??
    এত সুন্দর সম্প্রীতি আমার জানামতে আর কোথাও নেই। ভারতে সেটা কল্পনাও করা যায়না। তবুও এত কথা কেন? এত মিথ্যা প্রোপাগান্ডা কেন ছড়ানো হচ্ছে? কিছু মানুষ এর জন্য দায়ী। এরা গভীর ষড়যন্ত্র করছে বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ । কিন্তু এরা সফল হয়নি, সফল হতে পারবেনা ইনশা-আল্লাহ। কারন আমাদের দেশের মানুষ সত্যিকার অসাম্প্রদায়িক, আমরা হিন্দু-মুসলিম বিভেদ করিনা। আমাদের ভিতরে ঘষেটি বেগম কারা তা সবারই যানা।
    প্রতিটি ধর্মে কিছু খারাপ মানুষ আছে। তাদের জন্য সবাইকে দোষ দেওয়া কি ন্যায় সম্মত?
    একটা দল বা গোষ্ঠী দেখাতে চাচ্ছে আমরা বাংলাদেশ থেকে সরে আসার পরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়ে গেছে। এখুনি সময় সেটা রুখে দিতে হবে।।

    মোঃ সুজা উদ্দিন। সাংবাদিক।
    রংপুর,বাংলাদেশ।

  • রংপুরে বীর শহীদ আবু সাঈদের কবর জেয়ারতে- ডঃ ইউনুস

    রংপুরে বীর শহীদ আবু সাঈদের কবর জেয়ারতে- ডঃ ইউনুস

     রবিন চৌধুরী রাসেল রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

    রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসসহ অন্যান্য উপদেষ্টাগণ। কবর জেয়ারত শেষ করে শোকে আক্রান্ত পরিবারটিকে সান্তনা ও দেশের জাতীয় পতাকা বীর শহীদ আবু সাঈদের বাবার হাতে তুলে দেন নোবেল জয়ী প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনুস। উল্লেখ্য: কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাতে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে রংপুরে পীরগঞ্জে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যান্য উপদেষ্টাদের দেশের মধ্যে এটাই প্রথম সফর। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের প্রথম বৈঠকে বীর শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

    শনিবার (১০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও দুই উপদেষ্টাসহ হেলিকপ্টারে পীরগঞ্জের মেরিন একাডেমিতে অবতরণ করেন। সেখান থেকে বেলা ১১টার দিকে তিনি উপজেলার জাফরপাড়া বাবনপুর গ্রামে গিয়ে আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় তার সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও সমন্নয়ক সারজিস উপস্থিত ছিলেন।

    এরপর সড়ক পথে ড. মুহাম্মদ ইউনুস কোটা সংস্কার আন্দোলনে আহতদের দেখতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।সেখান থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বয়ক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় বেগম রোকেয়ার প্রশংসা করে তিনি বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের মৃত্যু সারাবিশ্ব দেখেছে। তার বুক পেতে দেওয়া পুলিশের গুলিতে মৃত্যু দেখে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সাহস পেয়ে আন্দোলনের জন্য রাস্তায় নেমেছে।

    আর ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বিজয় হয়েছে। তাই রংপুর হবে উন্নয়নের প্রথম ধাপ। রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে নিহত আবু সাঈদ। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ১২ব্যাচের শিক্ষার্থী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। গত ১৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্ক মোড়ে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়।

    একপর্যায়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। পরেরদিন ১৭ জুলাই তাকে পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুর গ্রামের বাড়িতে চিরনিদ্রায় সাহিত হন আবু সাঈদ। পরবর্তীতে দেশের সেনাবাহিনী বীর খেতাব দিয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করেন।

  • রোমে ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশন এর দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন-২০২৪

    রোমে ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশন এর দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন-২০২৪

    ইতালি প্রতিনিধিঃ সানি মল্লিক

    ইতালির রোমে ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশন এর দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বর্গবাসী- “দেবরা লিটা” এর জন্য নিরাবতা পালন করে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। সংগঠনের সভাপতি যোসেফ ডি’ কস্তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত- মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। কার্যকরী পরিষদের অন্যতম সদস্য সানি মল্লিক এর বাইবেল পাঠ এবং প্রণতি ক্রূশ এর প্রার্থনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। দপ্তর সম্পাদক টুটুল ভি. গমেজ এবং মহিলা সম্পাদক মার্গারেট সরকারের পরিচালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের কনভেনার এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপালী গমেজ, সভাপতি- যোসেফ ডি’ কস্তা।(ফ্রান্স),সাধারণ সম্পাদক-মার্ক রায় (ফ্রান্স),জেফরি ফার্নান্দেজ- সভাপতি (PBCA),সহ-সভাপতি- কাজল সরকার (ইউকে),নির্বাচন কমিশনার-মিলি বিশ্বাস (ইতালি), মাইকেল মালাকার- উপদেষ্টা(নরওয়ে), দপ্তর সম্পাদক- টুটুল ভিনসেন্ট গমেজ(ইতালি),সহ দপ্তর সম্পাদক: খোকন রোজারিও (পোল্যান্ড) ,সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সম্পাদক-লাকি রোজারিওর (ইতালি),মনোনীত সদস্য: রিকি রোজারিও(ফ্রান্স) ,অপু কস্তা,(ইতালি) সানি মল্লিক (ইতালি) আলেকজান্ডার পলাশ (ইতালি) সহ অন্যান্যরা।

    সংগঠনে সেক্রেটারি – মার্ক রায় তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন,এটি একটি সামাজিক ও মানবিক সংগঠন। ইউরোপে বসবাসরত খ্রিস্টান সমাজের মধ্যে এটি সর্ববৃহৎ সংগঠন। ইউরোপে বসবাসরত সকল খ্রিষ্টভক্তদের মাঝে সম্পর্কের একটি ব্রিজ তৈরি করাই এর সংগঠনের প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্য।


    ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যারা বসবাসের জন্য নতুন আসে এই সংগঠনটি দীর্ঘদিন তাদের সাহায্য সহযোগিতা করছে। এমনকি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে, অসহায়, পিছিয়ে পড়া মানুষদের নিয়মিত ভাবে, মানবিক সাহায্য করছে এই সংগঠনটি। এই মানবিক কার্যক্রম গুলি চলমান রাখার জন্য তিনি সকলের সাহায্যের সহযোগিতা কামনা করেন।

    প্রধান অতিথি বাংলাদেশ দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত- মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন তার বক্তব্যে উদারতা,মানবতা,ঐক্যতা এবং শান্তির কথা বলেন।

    এ সময় উত্তরীয় গ্রহণ এবং মোমবাতি প্রজ্বলন করে সকলে একাত্মতা ঘোষণা করে,মিলেমিশে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে। স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ (মহিলা সংস্থা, প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ, প্রবাসী বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশন,সঞ্চারী সংগীতা একাডেমি ) ফুল দিয়ে ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের পরিষদকে স্বাগত জানান।

    সঞ্চারী সংগীতা একাডেমি কর্ণধার- সুস্মিতা সুলতানার তত্ত্বাবধানে নতুন প্রজন্মের নাচ গুলো ছিল সত্যি প্রশংসা দাবিদার।

    পরিশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করে, লন্ডন থেকে আগত শিল্পী- কাজল সরকার,ফ্রান্স থেকে আগত শিল্পী – জেমস পিন্টু কস্তা এবং স্থানীয় জনপ্রিয় শিল্পী, গানের পাখি- রত্না বাসক ও মাসুদ রানা।

  • আয়নাঘরের অনেকে ফেরত আসছে, আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিন-ইলিয়াসপত্নী লুনা

    আয়নাঘরের অনেকে ফেরত আসছে, আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিন-ইলিয়াসপত্নী লুনা

    বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধিঃ

    দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ‘নিখোঁজ’ বিএনপির প্রভাবশালী নেতা এম. ইলিয়াস আলীর সহধমির্ণী তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেছেন,‘আমার স্বামীকে ফেরত দিন। আয়নাঘরের অনেকে ফেরত আসছে। দয়া করে আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিন। আমরা আর কিছুই চাইনা।’ তিনি তার নিজ ফেসবুক আইডিতে ইলিয়াস আলীকে ফেরত চেয়ে আজ এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন।
    প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর বানানী এলাকা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপির তখনকার সাংগঠনিক সম্পাদক, প্রভাবশালী রাজনীতিবীদ এম. ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালক আনসার আলী। হোটেল রূপসী বাংলায় আড্ডা শেষে বাসায় ফিরছিলেন তারা। মধ্যরাতে কে বা কারা গাড়িচালক আনসারসহ উঠিয়ে নেয় তাকে। পরদিন মহাখালী সাউথ পয়েন্ট স্কুলের সামন থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকার উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকেই শুরু হয় দুই পরিবারের অনন্ত অপেক্ষা। একে একে ভেস্তে যায় উদ্ধার-আন্দোলনের সকল প্রক্রিয়া। থমকে যায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্ধার তৎপরতাও। শুরু থেকেই আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ও সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের কাছে ধর্ণা দেন ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তার স্বামীকে অবৈধ ভাবে আটকে রেখেছে দাবি করে, হাইকোর্টে রিট পিটিশনও দায়ের করেন তিনি। হাইকোটের আদেশ চান তার স্বামীকে হাজির করার। পরে আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও জানায়, নিখোঁজ এ দু’জনকে তারা তুলে নেয়নি। এভাবেই অমীমাংসিত থেকে যায় ‘ইলিয়াস অন্তর্ধান রহস্য।