Category: স্বাস্থ্য

  • জামালপুর জেলা বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের মালিক সমিতির নতুন কমিটি

    জামালপুর জেলা বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের মালিক সমিতির নতুন কমিটি

    মোঃ খোরশেদ আলমঃ

    জামালপুর জেলা বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের মালিক সমিতির নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। জামালপুর শহরের এশিয়ান ফুড ভিলেজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে ২৬ আগষ্ট রাতে উপস্থিত ডেলিগেট সকলের সর্বসম্মতি ক্রমে এ কমিটি গঠন করা হয়।

    কমিটিতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয় ডা: আহম্মদ আলী আকন্দকে ও সাধারন সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে, হযরত শাহজামাল (রঃ) জেনারেল হাসপাতাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বুলবুল জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এম ডি) বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম বুলবুলকে।

    নতুন কমিটি গঠন করার সময় জেলার বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা উপস্থিত ছিলেন। পরে নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

    এসময় নব গঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বুলবুল বলেন, এখন থেকে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির কমিটি সঠিক নিয়মে পরিচালিত হবে। সঠিক সময় সংগঠনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সকলকে সাথে নিয়ে সংগঠনটিকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।

  • ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ নিরাময়ের দাবি চীনা চিকিৎসকদের

    ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ নিরাময়ের দাবি চীনা চিকিৎসকদের

    বিশ্বে প্রথমবারের মতো অভিনব কোষ থেরাপির মাধ্যমে চীনা বিজ্ঞানীরা একজন ডায়াবেটিক রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করেছেন। এই ঘটনাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে যুগান্তকারী সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

    চীনের সাংহাই চাংঝেং হাসপাতাল ও চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সেসের অধীনে সেন্টার ফর এক্সেলেন্স ইন মলিকিউলার সেল সায়েন্সের একদল বিজ্ঞানী নতুন এ পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এর বিস্তারিত গত ৩০ এপ্রিল সেল ডিসকভারি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

    এ বিষয়ে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলুলার এবং শারীরবৃত্তীয় বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক টিমোথি কিফার বলেন, আমি মনে করি এই গবেষণাটি ডায়াবেটিসের জন্য সেল থেরাপির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির প্রতিনিধিত্ব করে।

    ডায়াবেটিস এমন একটি দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক অসুস্থতা, যা সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। এ রোগে বিশ্বে প্রতিবছর ১০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। শরীর যখন রক্তের সব গ্লুকোজকে ভাঙতে ব্যর্থ হয়, তখনই ডায়াবেটিস হয়। এই রোগ জটিল অবস্থায় পৌঁছালে মানুষের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে। এ ছাড়া ডায়াবেটিসের কারণে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং বিকল হয়ে যেতে পারে কিডনিও। নতুন এই গবেষণা বলা হচ্ছে, ওষুধ এবং ইনসুলিন ছাড়াই টাইপ টু ডায়াবেটিস থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যদিও এটি নিয়ে আরো বিস্তর গবেষণার প্রয়োজন।

    ১৯৮০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ কোটি থেকে বেড়ে ৪২ কোটি ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষ টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ডায়াবেটিসকে মহামারি হিসেবে উল্লেখ করা হলেও এ রোগ থেকে পরিত্রাণের কার্যক্রম খুব সীমিত। এতদিন নিরাময় অযোগ্য এই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা পরিবর্তনের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন বিশেষজ্ঞরা।

    ৫৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ২৫ বছর ধরে টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি এই রোগের কারণে জটিলতার গুরুতর ঝুঁকিতে ছিলেন। ২০১৭ সালে তার একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি তার বেশিরভাগ অগ্ন্যাশয়ের আইলেটের কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলেন যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিদিন একাধিক ইনসুলিন ইনজেকশনের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল ছিলেন তিনি।

    সাংহাই চাংজেং হাসপাতালের একজন শীর্ষস্থানীয় গবেষক ইয়িন হাও চলতি মাসের শুরুর দিকে সাংহাইভিত্তিক নিউজ আউটলেট দ্য পেপারকে বলেন, ওই ব্যক্তি গুরুতর ডায়াবেটিস জটিলতার ঝুঁকিতে ছিলেন।

    তিনি আরও বলেন, এই রোগী ২০২১ সালের জুলাই মাসে ‘উদ্ভাবনী কোষ প্রতিস্থাপন’ (ইনোভেটিভ সেল ট্রান্সপ্ল্যান্ট) সেবা পেয়েছিলেন। প্রতিস্থাপনের ১১ সপ্তাহ পর ওই ব্যক্তি বাহ্যিকভাবে নেওয়া ইনসুলিন ইঞ্জেকশনের প্রয়োজন থেকে মুক্তি পান। এ সময় রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য মুখে খাওয়ার ওষুধের ডোজও ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা হয়েছিল। এবং এক বছর পরে ওরাল ওষুধও সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলো-আপ পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, ওই রোগীর অগ্ন্যাশয় আইলেটের কার্যক্ষমতা পুরোপুরি ফিরে পেয়েছেন তিনি। ওই রোগী ৩৩ মাসের জন্য সম্পূর্ণরূপে ইনসুলিন নেওয়া বন্ধ রেখেছেন।

    অধ্যাপক টিমোথি কিয়েফারের মতে, এই কোষ থেরাপি পদ্ধতি বৃহত্তর গবেষণায় কার্যকর প্রমাণিত হলে এটি রোগীদের দীর্ঘস্থায়ী ওষুধের বোঝা থেকে মুক্ত করতে পারে। এর ফলে মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে এবং চিকিৎসা ব্যয় কমবে।

    সূত্র: খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট, টাইমস অব ইন্ডিয়া

     

  • শিশু-কিশোরদের ক্ষতি করছে অ্যানার্জি ড্রিংক

    শিশু-কিশোরদের ক্ষতি করছে অ্যানার্জি ড্রিংক

    সিগারেট ও মদ শিশু-কিশোরদের নাগালের বাইরে রাখতে জার্মানিতে অনেক বিধিনিয়ম রয়েছে৷ কিন্তু ক্ষতিকারক এনার্জি ড্রিংকসের ক্ষেত্রে তেমন উদ্যোগ নেই৷ ডাক্তার ও কর্মীরা মনে করছেন এনার্জি ড্রিংকসের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত৷ অনেক ইউটিউব ও ইন্টারনেট তারকার মিষ্টি পানীয় রঙিন, চকচকে ও নজর কাড়ার মতো৷ এমন আইস টি অথবা এনার্জি ড্রিংক শিশু-কিশোরদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়৷ লুকা, হানেস ও ইয়ুস্টুসের মতো ফুটবল অনুরাগীদের বয়স ১৩ থেকে ১৪৷ এরাই এমন পানীয়ের ক্রেতা হিসেবে কোম্পানিগুলির কাছে আকর্ষণীয়৷ এনার্জি ড্রিংক অবশ্যই তাদের পরিচিত৷ কেউ মাঝেমধ্যে খায়, তবে বেশিরভাগ সময়ে গোপনে৷ কেউ বা একবার চেখে দেখেছে৷ কেউ কেউ কখনোসখনো একটি ক্যান কিনেছে৷ কিন্তু তাদের পরিচিত মহলে এবং ফুটবল টিমে বিষয়টি নাকি অন্যরকম৷

    ১৩ বছর বয়সী হানেস মতে, অনেকে পানির বোতলে এনার্জি ড্রিংক ভরে নেয়, যাতে কোচ টের না পায়৷

    ১৪ বছর বয়সী ইয়ুস্টুস জানালো, আমি দুই একজন বা আরো বেশি মানুষকে চিনি, যারা স্কুলের আগে রেডবুল বা অন্য কোনো পানীয় জোগাড় করে৷ কখনো স্কুলে, কখনো বা স্কুলের পর সেটা খেয়ে নেয়৷

    সুপারমার্কেট, পেট্রল পাম্প অথবা পাড়ার ছোট স্টলে এনার্জি ড্রিংকের বিশাল সম্ভার দেখা যায়৷ অনেক পরিমাণ চিনির পাশাপাশি সেই পানীয়ের মধ্যে টাউরিন নামের পদার্থ ও বিশাল মাত্রায় ক্যাফেইন থাকে৷ এমনকি শিশুরাও বিনা বাধায় সেই পানীয় কিনতে পারে৷ এক শিশুদের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এমন অনেক শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন, যারা প্রতিদিন বেশ কয়েক লিটার এনার্জি ড্রিংক পান করে থাকে৷

    পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজিস্ট হিসেবে মার্টিন হুল্পকে-ভেটে বলেন, কয়েকটি ক্ষেত্রে রোগীরা বলে যে, তাদের খুব দ্রুত হৃদস্পন্দন হচ্ছে, যা তাদের খুবই অস্থির করে তুলছে৷ কয়েকজন রোগীর ক্ষেত্রে রক্তচাপ বাড়ার প্রমাণ পাওয়া যায়৷ যারা নিয়মিত ও বেশি পরিমাণে এই পানীয় গ্রহণ করে, তাদের ক্ষেত্রে আমরা আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষায় কার্ডিয়াক পেশী প্রাচীর আরো পুরু হতে দেখি৷ সেটা খুবই উদ্বেগজনক৷

    এই বিশেষজ্ঞের মতে, খুব খারাপ অবস্থায় কার্ডিয়াক অ্যারিথমিয়াস দেখা দিতে পারে, যা রোগীর জীবন বিপন্ন করতে পারে৷ জার্মানির লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের ভোক্তা সুরক্ষা দপ্তরের কর্মী ইরিস লাকুয়া বিভিন্ন স্কুলের ক্লাসে গিয়ে শিশুদের এনার্জি ড্রিংকসের ঝুঁকির কারণ ব্যাখ্যা করেন৷ এমন পানীয়ের উপকরণ সম্পর্কেও তিনি তথ্য দেন৷ তবে ক্যানের উপর সেই তালিকা পড়া প্রায়ই বেশ কঠিন৷

    লাকুয়া বলেন, সত্যি ভালো করে খুঁজতে হয়৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সতর্কতাবাণী থাকে, যে অনেক ক্যাফেইনের কারণে সেটি গর্ভবতী ও স্তন্যপান করানো নারী এবং শিশুদের জন্য উপযুক্ত নয়৷ ক্যানের উপর সেই বার্তা স্পষ্ট দেখা গেলে ভালো হতো৷

    একটি আধ লিটারের এনার্জি ড্রিংকের মধ্যে প্রায় ২০টি সুগার কিউবের সমান পরিমাণ এবং ১৬০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে৷ ৫০ কিলো ওজনের এক কিশোর এমন একটি ড্রিংক পান করলে তার বয়সের জন্য নির্ধারিত ক্যাফেইনের ঊর্ধ্বসীমা পেরিয়ে যায়৷ সে কারণে ডাক্তার ও ভোক্তা সুরক্ষা কর্মীরা শিশু ও কিশোরদের কাছে এমন পানীয় বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞার দাবি করছেন৷ কিন্তু সেই বিষয়ের ভারপ্রাপ্ত ফেডারেল মন্ত্রণালয়ের এই মুহূর্তে এমন কোনো পরিকল্পনা নেই৷ ফলে শিশু ও কিশোরদের কাছে এনার্জি ড্রিংকসের জনপ্রিয়তা আপাতত তুঙ্গেই থাকছে৷

     

  • ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ক্যানসারে হয় না: গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

    ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ক্যানসারে হয় না: গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

    যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোল্ড স্প্রিং হার্বার ল্যাবরেটরির (সিএসএইচএল) প্রফেসর ও গবেষক বো লির নেতৃত্বে পরিচালিত একটি গবেষণায় ক্যানসার নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে—ক্যানসার নয়, বেশির ভাগ ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয় ‘ক্যাচেক্সিয়া’ রোগে। প্রফেসর বো লি আরও বলেছেন, ‌‌এটি খুবই মারাত্মক একটি সিনড্রোম।

    গবেষকরা দেখেছেন যখন ক্যানসারের টিউমার— ইন্টারলিউকিন-৬ (আইএল-৬) নামের একটি রোগ প্রতিরোধ অণুর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, তখন এটির কারণে মারাত্মকভাবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। এ কারণে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ ক্যানসার রোগীর ‘ক্যাচেক্সিয়া’ রোগ হয়। সূত্র: ইন্দো এশিয়া নিউজ সার্ভিস

    ন্যাচার কমিউনিকেশন নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এই গবেষক আরও বলেছেন, ‌বেশিরভাগ ক্যানসার রোগীর মৃত্যু ক্যানসারের বদলে ক্যাচেক্সিয়ায় হয়। এখান থেকে ফেরার কোনো উপায় নেই। মূলত এই রোগের কোনো চিকিৎসাও নেই।

    একটি ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালিয়ে এই প্রফেসর ও তার দল দেখেছেন, মস্তিষ্কের ‘এরিয়া পোসট্রেমা’ নামের একটি নিউরনে আইএল-৬ নামের রোগ প্রতিরোধী অণু প্রবেশে বাধা প্রধান করলে ইঁদুরের মধ্যে ক্যাচেক্সিয়া হয় না। প্রফেসর বো লি জানান, ভবিষ্যতে এসব নিউরন লক্ষ্য করে ওষুধ প্রয়োগ করে ক্যানসার ক্যাচেক্সিয়াকে একটি চিকিৎসাযোগ্য রোগে পরিণত করা যাবে।

    গবেষকরা বলছেন, প্রচুর পরিমাণে আইএল-৬ উৎপাদিত হওয়ায় ক্যানসার এই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। যেটি শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। যার মধ্যে অন্যতম হলো মানুষ ও প্রাণী খাবার খাওয়া ছেড়ে দেবে। অপরটি হলো ক্যাচেক্সিয়া হওয়া।

    তার আরও জানান, সুস্থ রোগীদের মধ্যে আইএল-৬ একটি প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে। এই অণু পুরো শরীরে প্রবাহিত হয়। যখন কোনো হুমকির সঙ্গে এই প্রতিরোধ ব্যবস্থা কাজ করে— তখন এটির বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করতে মস্তিষ্ককে সতর্ক করে দেয়।

     

  • রংপুরে দেশের প্রথম চালু হতে যাচ্ছে রোবটিক সার্জারি

    রংপুরে দেশের প্রথম চালু হতে যাচ্ছে রোবটিক সার্জারি

    নিউজ ডেস্কঃ

    রংপুরে দেশের প্রথম চালু হতে যাচ্ছে রোবটিক সার্জারি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে এ অপারেশন করা হবে। সার্বিক প্রস্তুতি নিতে আগামী ৫ জুলাই নগরের আরডিআরএস ভবনে এ-সংক্রান্ত প্রথম সেমিনার হবে, যেখানে রোবটিক সার্জন ডা. সুধীর শ্রীবাস্তব উপস্থিত থাকবেন।

    গতকাল রোববার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ও সার্জন ডা. জাবেদ আক্তার।তিনি জানান, রোবোটিক সার্জারি বিশ্বে শুরু হয়েছিল ২০০০ সালে।

    বাংলাদেশের একমাত্র রোবোটিক সার্জারিতে ইউনিভার্সিটি ফেলোশিপ করা সার্জন তিনি। বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, জাপানে প্রায় ৯৩ শতাংশ রোবটিক সার্জারি হয়। ভারতেও এ পদ্ধতিতে সার্জারি হয় মাত্র ১ শতাংশ, নেপালেও শুরু হয়েছে। তবে বাংলাদেশে এখনো শুরু হয়নি। সাধারণ অপারেশন ছাড়া আরেকটি পদ্ধতি হলো ছিদ্র বা ফুটা করা। যাকে বলা হয় ল্যাপারোস্কোপি, যা বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়েছে। এর মাধ্যমে বেশিরভাগ অপারেশন করা হলেও বড় বড় সার্জারির ক্ষেত্রে এটিতে সম্ভব হয় না।

    এর মাধ্যমে সার্জনদের নানা সমস্যা হয়। তবে রোবটিক সার্জারিতে সেই সীমাবদ্ধতা আর থাকে না। কারণ এর মাধ্যমে হাতের মতো ইনস্ট্রুমেন্ট ৭ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘোরানো যায়। পাশাপাশি অপারেশনের স্থান ভালো ও স্পষ্ট করে দেখার জন্য উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন থ্রিডি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়।তিনি বলেন, জটিল ও সংকীর্ণ স্থানে ওপেন এবং ল্যাপারোস্কোপি সার্জারি করা সমস্যাজনক হলেও সেখানে রোবটিক অপারেশন সুবিধাজনক। এতে জটিলতা ও সংক্রমণের হার কম। দেশে এই অপারেশন শুরু হলে অনেকটা স্বস্তি পাবে রোগীরা।

    এতে কম রক্তপাত হয়। যাতে সার্জন দূরে বসে অপারেশনও করতে পারে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম চালু হবে রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।ডা. জাবেদ আক্তার বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে দেশে এখন পর্যন্ত মেডিকেল রোবট নেই। এ ক্ষেত্রে সরকারের বিশেষভাবে সহযোগিতা প্রয়োজন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক হৃদয় রঞ্জন রায়, আয়েশা নাসরিন সুরভী, ডা. আহসানুর রহমান, মিজানুর রহমান প্রমুখ।

     

  • কোটা বাতিল আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই: প্রধানমন্ত্রী

    কোটা বাতিল আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই: প্রধানমন্ত্রী

    পড়াশোনা বাদ দিয়ে উচ্চ আদালতের রায় অমান্য করে কোটাবিরোধী আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    রোববার (৭ জুলাই) গণভবনে যুব মহিলা লীগের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা বাতিল করার আন্দোলন করছে। যারা এর আগে আন্দোলন করেছিল, তার আগে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় কত পাস করত, এখন কত করছে। এটা সাবজুডিস ম্যাটার, আদালতে বিচারাধীন।

    প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা সময় নষ্ট করছে। এ আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই।

    তিনি বলেন, যুব মহিলা লীগ সবসময় আন্দোলন সংগ্রামে ছিল। যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীদের অকথ্য নির্যাতন করেছে বিএনপি-জামায়াত।

    সরকারপ্রধান বলেন, ক্ষমতায় আসার পর দেশকে একটি উচ্চ আসনে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে আওয়ামী লীগ। অপরদিকে ভোট চুরির অপরাধে দুইবার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন খালেদা জিয়া।

    এ সময় যুব মহিলা লীগের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।