Category: সারাদেশ

  • জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণের আশায় দালালচক্রের রাস্তার দু’ধারে নতুন স্থাপনা নির্মাণ।

    জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণের আশায় দালালচক্রের রাস্তার দু’ধারে নতুন স্থাপনা নির্মাণ।

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    বামনডাঙ্গা (গাইবান্ধা)-শঠিবাড়ী-আফতাবগঞ্জ (দিনাজপুর) জেলা মহাসড়ক (জেড-৫০১৩) প্রশস্থকরণ এর জন্য সরকার রাস্তার দু’ধারের জমি অধিগ্রহণ করবে। সেই জন্য জমি অধিগ্রহণসহ দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকলে দেওয়া হবে ক্ষতিপূরণ। সেই আশায় নতুন করে রাস্তার দু’ধারে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন জমির মালিকগণ ও কয়েকটি দালালচক্র।
    নতুন করে জমি অধিগ্রহণকল্পে ক্রয় করা হবে জমি এবং ব্যবসায়ীকে দেওয়া হবে ক্ষতিপূরণ। এ-সুযোগে কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য মহাসড়কের দু’ধারে আবাদি ও পতিত জমিতে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়েই নতুন করে বিল্ডিং, দোকান ঘর, মার্কেট নির্মাণ করেছেন।
    পুরাতন ও নবনির্মিত স্থাপনা গুলোর জন্য নতুন করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছেন। ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ এবং দোকান ঘর ভাঙ্গার ক্ষতিপূরণ নেওয়ার জন্য এ সমস্ত স্থাপনা নির্মান  করেছেন মহাসড়কের দু’ধারের পতিত জমির মালিকগণ ও কয়েকটি দালালচক্র।
    এমনকি বসতবাড়ি ভেঙ্গে তৈরি করা হয়েছে মার্কেট। এর ফলে মহাসড়কের দু’পার্শ্বে প্রতিদিন নতুন করে জেগে উঠা স্থাপনা চোখে পড়ছে। আগে যে জায়গা গুলো ফাঁকা পড়ে ছিল সেই জায়গাগুলোতেও তৈরি করা হয়েছে দোকান ঘর। অনেকেই কাগজে-কলমে দোকান ঘর ভাড়া নিচ্ছেন স্বার্থ হাসিলের আশায়।
    এর ফলে সচেতন মহলের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, চলছে চায়ের দোকানে আলোচনা কে কতো টাকা পাবে?
    যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য নতুন করে দোকান ঘর নির্মাণ ও ব্যবসায়ী হিসেবে ক্ষতিপূরণ নেওয়ার পায়তারা করছেন, এই দালালচক্রের বিষয়ে ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টিআকর্ষণ ও জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতনমহল।
    সচেতনমহল আরো বলছেন, দেশ নতুন করে সাজানো হচ্ছে, এই দেশে আর কোন দুর্নীতি হতে দেওয়া যাবেনা।

  • বদরগঞ্জে মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়া’কে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনা ঘটেছে।

    বদরগঞ্জে মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়া’কে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনা ঘটেছে।

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার  ১৫নং লোহানিপাড়া ইউনিয়নের ঘিরনই, মাল তোলা নামক এলাকায় মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়া’কে কেন্দ্র করে খু*নের ঘটনা ঘটেছে।
    স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোমবার, (১২ আগস্ট ২০২৪ইং), একটি মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়া কে কেন্দ্র করে উপজেলার  ১৫নং লোহানিপাড়া ইউনিয়নের ঘিরনই, মাল তোলা নামক এলাকায় মোঃ আয়নাল মিয়ার পরিবারের সাথে মোঃ সামাদ মিয়ার পরিবারের ঝগড়া লেগে যায়।
    স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারা, ঝগড়া নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আলোচনা বসে।
    আলোচনার এক পর্যায়ে দুই পক্ষই মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন ।
    একদিকে সামাদ মিয়ার পরিবারের লোকজন অন্য দিকে নিহত আয়নাল মিয়ায়ার পরিবারের লোকজন তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়।
    সংঘর্ষের একপর্যায়ে আয়নাল মিয়া গুরুতর আঘাত প্রাপ্তহন। সেখান থেকে লোকজন তাকে চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে ভর্তি করান।
    চিকিৎসাধীন অবস্থায় আয়নাল মিয়ার মৃত্যু হয়। নিহত আয়নাল মিয়ার আনুমানিক বয়স ৬০ বছর।
    রাতে আয়নাল মিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে, প্রাণভয়ে সামাদ মিয়ার পরিবারের লোকজন নিজ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
    মৃত্যুর ঘটনা কে কেন্দ্র করে, সামাদ মিয়াদের বাড়িতে বিভিন্ন মালামাল লুটতরাজের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।
    সেই সঙ্গে সাথে, সামাদ মিয়ার পরিবার থেকে দাবি করা হচ্ছে নিহত আয়নাল তাদের আঘাতে মৃত্যুবরণ করেনি।
    অপরদিকে, নিহত আয়নাল মিয়ার পরিবারের লোকজন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

  • সম্প্রীতির আলোয় উদ্ভাসিত হোক প্রিয় বাংলাদেশ

    সম্প্রীতির আলোয় উদ্ভাসিত হোক প্রিয় বাংলাদেশ

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। আবহমানকাল থেকেই এ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিদ্যমান। এ দেশের প্রাকৃতিক দৃশ্য যেমন সৌন্দর্যময় তেমনি এর অধিবাসীদের ধর্মীয় বিশ্বাসও বৈচিত্রময়। আমাদের দেশের জনগণ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-মুসলমানসহ বিভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসী। এ দেশের অধিবাসীরা বাঙালি, মণিপুরি, চাকমা, মারমা প্রভৃতি নৃগোষ্ঠীতে বিভক্ত হলেও একক পরিচয়ে আমারা বাংলাদেশী।
    যে দেশে হিন্দু ভাইয়ের দোকান থেকে জিলাপি বা মিষ্টি কিনে মসজিদে মিলাদ পড়ানো হয়।
    কোন মুসল্লি এটা নিয়ে চিন্তা না করে নিশ্চিন্তে মিলাদ শেষে জিলাপি খেতে খেতে বাড়ি যায়।
    যে দেশে চা এর দোকানে একই কাপে হিন্দু-মুসলিম চা খেয়ে যুগের পর যুগ বসবাস করছি আমরা। কারো মাথায় এটা নিয়ে ব্যাথা-বেদনা নেই।
    যে দেশে হিন্দুদের দাওয়াতে অধিকাংশ লোক থাকে মুসলিম এলাকাবাসী, বন্ধুবান্ধব মুসলিমদের দাওয়াতেও খুব স্বাভাবিকভাবে হিন্দুরা অংশ নেয়। এতে কেউই কিছু মনে করে না।
    যে দেশে সামাজিক কোন অনুষ্ঠানে একই টেবিলে একই প্লেটে হিন্দু-মুসলিম পাশাপাশি বসে খাবার খাই আমরা।
    যে দেশে পাবলিক বাসে, রিক্সায়, ক্লাসের বেঞ্চে পাশাপাশি বসে দিব্যি চলাফেরা করে হিন্দু-মুসলিম। কারো কোন সমস্যা নেই।
    যে দেশে মসজিদ আর মন্দির একই এলাকায় আছে অনেক জায়গায়। দুই পক্ষই ইবাদত করছে। কারোরই কোন অসুবিধা হয়না যুগ যুগ ধরে।
    অনেকেই আছে যারা হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। অনেকেই হিন্দু মুসলিম একসঙ্গে এক বেডে থাকে।
    যে দেশে পূজার ছুটিতে বাড়িতে গেলে বন্ধুর জন্য তার পূজার নাড়ু নিয়ে আসে, মুসলিম বন্ধু ঈদে বাড়িতে গেলে কোরবানি ঈদের খাসির মাংস নিয়ে যায় হিন্দু বন্ধুর জন্য।
    যে দেশে হিন্দু বন্ধু মুসলিম বন্ধুূের সঙ্গে মিলেমিশে ইফতার পর্যন্ত করে।
    সে দেশে হুট করে স্বৈরাচারী সরকার পালানোর পরে কোন ধরনের গুজব শুরু হলো..???
    বিশ্বের আর কোন দেশে এরকম সুন্দর দৃষ্টান্ত দেখাতে পারবেন??
    এত সুন্দর সম্প্রীতি আমার জানামতে আর কোথাও নেই। ভারতে সেটা কল্পনাও করা যায়না। তবুও এত কথা কেন? এত মিথ্যা প্রোপাগান্ডা কেন ছড়ানো হচ্ছে? কিছু মানুষ এর জন্য দায়ী। এরা গভীর ষড়যন্ত্র করছে বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ । কিন্তু এরা সফল হয়নি, সফল হতে পারবেনা ইনশা-আল্লাহ। কারন আমাদের দেশের মানুষ সত্যিকার অসাম্প্রদায়িক, আমরা হিন্দু-মুসলিম বিভেদ করিনা। আমাদের ভিতরে ঘষেটি বেগম কারা তা সবারই যানা।
    প্রতিটি ধর্মে কিছু খারাপ মানুষ আছে। তাদের জন্য সবাইকে দোষ দেওয়া কি ন্যায় সম্মত?
    একটা দল বা গোষ্ঠী দেখাতে চাচ্ছে আমরা বাংলাদেশ থেকে সরে আসার পরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়ে গেছে। এখুনি সময় সেটা রুখে দিতে হবে।।

    মোঃ সুজা উদ্দিন। সাংবাদিক।
    রংপুর,বাংলাদেশ।

  • আয়নাঘরের অনেকে ফেরত আসছে, আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিন-ইলিয়াসপত্নী লুনা

    আয়নাঘরের অনেকে ফেরত আসছে, আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিন-ইলিয়াসপত্নী লুনা

    বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধিঃ

    দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ‘নিখোঁজ’ বিএনপির প্রভাবশালী নেতা এম. ইলিয়াস আলীর সহধমির্ণী তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেছেন,‘আমার স্বামীকে ফেরত দিন। আয়নাঘরের অনেকে ফেরত আসছে। দয়া করে আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিন। আমরা আর কিছুই চাইনা।’ তিনি তার নিজ ফেসবুক আইডিতে ইলিয়াস আলীকে ফেরত চেয়ে আজ এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন।
    প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর বানানী এলাকা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপির তখনকার সাংগঠনিক সম্পাদক, প্রভাবশালী রাজনীতিবীদ এম. ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালক আনসার আলী। হোটেল রূপসী বাংলায় আড্ডা শেষে বাসায় ফিরছিলেন তারা। মধ্যরাতে কে বা কারা গাড়িচালক আনসারসহ উঠিয়ে নেয় তাকে। পরদিন মহাখালী সাউথ পয়েন্ট স্কুলের সামন থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকার উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকেই শুরু হয় দুই পরিবারের অনন্ত অপেক্ষা। একে একে ভেস্তে যায় উদ্ধার-আন্দোলনের সকল প্রক্রিয়া। থমকে যায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্ধার তৎপরতাও। শুরু থেকেই আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ও সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের কাছে ধর্ণা দেন ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তার স্বামীকে অবৈধ ভাবে আটকে রেখেছে দাবি করে, হাইকোর্টে রিট পিটিশনও দায়ের করেন তিনি। হাইকোটের আদেশ চান তার স্বামীকে হাজির করার। পরে আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও জানায়, নিখোঁজ এ দু’জনকে তারা তুলে নেয়নি। এভাবেই অমীমাংসিত থেকে যায় ‘ইলিয়াস অন্তর্ধান রহস্য।

  • পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করলেন জামায়াতের আমির।

    পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করলেন জামায়াতের আমির।

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে রংপুরের পীরগঞ্জে আসেন। সেখানে তিনি পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও দোয়া করেন।
    বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা ১১টায় রংপুর নগরী থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে পীরগঞ্জ উপজেলার জাফরপাড়ার বাবনপুর গ্রামে সাঈদের বাড়িতে আসেন জামায়াতের আমির। এরপর বাড়ির পাশেই কবরে শায়িত শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন। তিনি শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন, মা মনোয়ারা বেগমসহ স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে নগদ এক লাখ টাকা ও তার পরিবারের পাশে আজীবন থাকার ঘোষণা দেন ডা. শফিকুর রহমান।
    জামায়াতের আমির বলেন, ‘শহীদ আবু সাঈদ জাতীয় বীর। তার চরম সাহসিকতার দৃশ্য সারা দেশ এমনকি সারা বিশ্ব দেখেছে। তার আত্মত্যাগ আমাদের নতুন করে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’ তিনি শহীদ আবু সাঈদসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনে সকল হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
    এর আগে, ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে পীরগঞ্জ জাফরপাড়া কামিল মাদ্রাসার মাঠে আসেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি। সমাবেশে দেশের অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, সহযোগী অঙ্গসংগঠন ও স্থানীয় জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
    উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হন। গুলির ভিডিও দেশ-বিদেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ গণমাধ্যমে ভাইরাল হলে আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়।

  • মিঠাপুকুরের বড়বালা ইউনিয়নে রাতভর মন্দির পাহারা দিয়েছে ছাত্র-জনতা ও জামাত-বিএনপির নেতাকর্মীরা।

    মিঠাপুকুরের বড়বালা ইউনিয়নে রাতভর মন্দির পাহারা দিয়েছে ছাত্র-জনতা ও জামাত-বিএনপির নেতাকর্মীরা।

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের পর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ও বাসাবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের খবর ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও মন্দির রক্ষার জন্য রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ১১নং বড়বালা ইউনিয়নে রাত জেগে বিভিন্ন মন্দির পাহারা দিয়েছে ছাত্র-জনতা, জামাত-শিবির এবং বিএনপি’র নেতাকর্মীরা । লুটপাট, নৈরাজ্য ও সহিংসতা প্রতিরোধে এই পাহারা দেওয়া হচ্ছে।
    ইউনিয়নের আরাজি শিবপুর মাঝি পাড়ার মন্দিরে মোঃ মাহবুবের নেতৃত্বে ৮-১০ জন যুবক, অন্যদিকে ছড়ান হিন্দু পাড়া ও মৌলিগড়ে  বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীর অন্যতম নেতা মোঃ মামুনুর রশিদ ও বিএনপি নেতা বাবুল মিয়া, ও শাফি মিয়ার নেতৃত্বে ১৫-২০ জন পাহারা দিতে দেখা গেছে।
    এছাড়াও, ছড়ান হিন্দু পাড়া গ্রামের  অধিকাংশ লোকজন  লাঠি সোটা নিয়ে পাহারা দেয়।
    জামাতে ইসলামীর ইউনিয়ন নেতা মোঃ মামুনুর রশিদ বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ও বাসাবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের আশঙ্কায় আমরা এই পাহার ব্যবস্থা করেছি।
    দেশের অবস্থা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত এটা চলমান থাকবে।
    বিএনপি নেতা বাবুল মিয়া বলেন, আমাদের ভাইদের কেউ যাতে কোনো ক্ষতি করতে না পারে সে জন্য আমরা পাহারা দিচ্ছি।
    বিএনপি নেতা সৌরভ বলেন, আমরা কোন ধর্মীয় স্থাপনায় আঘাত চাই না, শান্তি চাই। আমরা একসাথে বসবাস করতে চাই। যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এজন্য আমাদের লোকজন  সারারাত জেগে পাহারা দিচ্ছে।
    এ বিষয় নিয়ে ছড়ান হিন্দু পাড়ার বাসিন্দা শ্রী সুমন চন্দ্র   বলেন, আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি,ছাত্র-জনতা ও জামাত-বিএনপির ভাইয়েরা আমাদের হিন্দু পাড়া পাহারা দিচ্ছেন দেখে খুবই ভালো লাগতেছে ।
    আমরা চাই, সকলেই মিলেমিশে বসবাস করতে।

  • আসুন সবাই মিলে সকল সহিংসতা ভুলে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই।

    আসুন সবাই মিলে সকল সহিংসতা ভুলে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই।

    আলহামদুলিল্লাহ , সকল প্রসংশা একমাত্র  মহান আল্লাহ তালার যিনি আমাদের পুরো জাতিকে খু*নি সৈরাচার শাসক থেকে মুক্তি দিয়েছেন। প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ আরো একবার স্বাধীন হলো।

    যারা আমাদের এই ২০২৪ এর স্বাধীনতা আদায় করতে গিয়ে রক্তপিপাসু বন্দুকের নলের সামনে বুক টান করে দাঁড়িয়েছিল আমরা তাদের ভুলতে পারি না। তারা আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র। তারা আমাদের গর্ব। তারা আমাদের অহংকার। তাদের ত্যাগের কথা, তাদের অবদানের কথা, তাদের ঋণের কথা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া, তাদের স্মরণীয় করে রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ২০২৪ এর এই আন্দোলনে সকল শহীদের মহান আল্লাহতালা জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। সেই সাথে ১৯৭১ সালের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণীয় করে রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আল্লাহর নিকট দোয়া করি সকলেই যেন জান্নাতুল ফেরদৌসের বাসিন্দা হন।
    এখন এই দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব। আসুন সবাই মিলে সকল সহিংসতা ভুলে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই।
    সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
    মোঃ সুজা উদ্দিন (সাংবাদিক)

  • মিঠাপুকুরে যমুনাশ্বরী নদীতে ডুবে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু।

    মিঠাপুকুরে যমুনাশ্বরী নদীতে ডুবে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু।

    মোঃ সুজা উদ্দিন

    রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ১০নং বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নে শুক্রবার, (২ আগস্ট, ২০২৪) দুপুর ০১টার দিকে ইউনিয়নের হাছিয়া অংশে যমুনাশ্বরী নদীর ঘাটে “শ্রী জয়’ নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর পানিতে ডুবে মৃ””ত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
    জানা যায়, নিহত “শ্রী জয়” এর বাড়ি উপজেলার ১০নং বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের হাছিয়া গ্রামে। তিনি রংপুর মাহিগঞ্জ কলেজের চলমান এইচএসসি শিক্ষার্থী।
    ছড়ান হলি চাইল্ড মডেল স্কুলের এস এস সি-২০২২ ব্যাচের ছাত্র।
    তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

  • রংপুরে ১৩ দিনে গ্রেফতার ২৫৮ জন

    রংপুরে ১৩ দিনে গ্রেফতার ২৫৮ জন

    মোঃ সুজা উদ্দিন

    রংপুরে সংঘর্ষ, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগে অভিযোগে ২২ মামলায় আরো নয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ১৩ দিনে গ্রেফতার হলো ২৫৮ জন।
    রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি আব্দুর রশিদসহ আটজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে মহানগরীতে ২০০ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
    অন্যদিকে, জেলা ‍পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম জানান, একই সময়ে বদরগঞ্জ থেকে একজন বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় গ্রেফতার করা হলো ৫৮ জনকে। মোট গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৫৮।
    রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: মনিরুজ্জামান জানান, চিহ্নিত অপরাধীদের ফুটেজ দেখে দেখে গ্রেফতার করা হচ্ছে। নিরপরাধ কাউকেই হয়রানি কিংবা গ্রেফতার করা হচ্ছে না।

  • মিঠাপুকুরে সাপের কামড়ে মসজিদের মোয়াজ্জিনের মৃত্যু।

    মিঠাপুকুরে সাপের কামড়ে মসজিদের মোয়াজ্জিনের মৃত্যু।

    মোঃ সুজা উদ্দিন

    রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ১১নং বড়বালা ইউনিয়নে সাপের কামড়ে এক মসজিদের মোয়াজ্জিনের  মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তিনি ১১নং বড়বালা ইউনিয়নের “ছড়ান শালিকাদহ জামে মসজিদের” মোয়াজ্জিনের দায়িত্বে ছিলেন।
    নিহত মোয়াজ্জিনের নাম হাফেজ মোঃ হাসিবুল ইসলাম (৩০)। তিনি ১১নং বড়বালা ইউনিয়নের শালিকাদহ (ডাঙ্গরির পাড়া) গ্রামের বাসিন্দা মোঃ রইচ উদ্দিনের ছোট ছেলে।
    স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ ফারুক হোসেন জানান, মঙ্গলবার (৩০ জুলাই, ২০২৪), রাত আনুমানিক ১১ ঘটিকার দিকে হাফেজ মোঃ হাসিবুল ইসলাম তার বাড়ির নিজ ঘরে শুয়ে ছিলেন। হঠাৎ একটি বিষধর সাপ তার হাতে ছোবল মারে। সাপটি দেখতে কালো রঙের ছিল, কিন্তু কি সাপ সেটি কেউ চিনতে পারেনি।
    হাফেজ মোঃ হাসিবুল ইসলাম ব্যাথা অনুভব করলে, স্থানীয় কবিরাজ দ্বারা ঝাড়-ফুকের মাধ্যমে সাপের বিষ নামানোর চেষ্টা  করেন পরিবারের লোকজন।
    কিন্তু শরীর থেকে সাপের বিষ না মেমে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ।
    পরে পরিবারের সদস্যরা সহ স্থানীয়রা তাকে নিয়ে মিঠাপুকুর  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাবার পথে মৃত্যু বরন করেন।
    তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।