Category: শিক্ষা

  • দীর্ঘ ১১ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্য রাজনীতিতে  ছাত্রশিবির

    দীর্ঘ ১১ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্য রাজনীতিতে  ছাত্রশিবির

    নাগরিক কথা ডেস্কঃ

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসনের সঙ্গে মিটিং  করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ১১টি রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের প্রথম সারির নেতারা। ক্যাম্পাসের উদ্ভূত নানান বিষয় নিয়ে হওয়া এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শীর্ষ দুই নেতা। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ১১ বছর পর প্রকাশ্যে আসল শিবির। সভায় প্রতিটি ছাত্র সংগঠনের নেতারা ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানান।
    সবশেষ ২০১৩ সালে ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে মিছিল সমাবেশ করেছিল শিবির।
    শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) উপাচার্যের লাউঞ্জে দুই দফায় রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    দুই দফা বৈঠকে বেলা সাড়ে ১১টায় ছাত্র শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম ও সাহিত্য সম্পাদক রেজাউল করিম শাকিল, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের আহ্বায়ক কমিটির সাজেদুল ইসলাম ও প্রজ্ঞা চৌধুরী, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের পক্ষ থেকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আতিক চৌধুরী, নৃবিজ্ঞান নাইম উদ্দিন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আদনান আজিজ অংশ নেন।
    শিবির সভাপতি সাদিক কায়েম বলেন, গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশার আলোকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মেধার রাজনীতি চায়, প্রশাসনের কাছে এমন দাবি রেখেছি আমরা। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি, ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কোনো প্রাজ্ঞ সিদ্ধান্ত নয়। গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশার আলোকে ছাত্ররাজনীতি গড়ে উঠবে। গত ১৫ বছরে ধরে ছাত্ররাজনীতির নামে জুলুমতন্ত্র চলে আসছে। আমরা এটার অবসান চাই। আমরা মেধার ভিত্তিতে রাজনীতি, শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের রাজনীতি চাই।
    শিবির সভাপতি বলেন, আমরা ইনক্লুসিভ ছাত্র রাজনীতি চাই। এখানে কোনো বিভাজন থাকবে না। শিক্ষার্থীরা তাদের কথা বলার অধিকার পাবে, স্বাধীনতা পাবে। প্রত্যেকেই তাদের আদর্শ চর্চা করবে কিন্তু কেউ কাউকে বলপ্রয়োগ করে চাপিয়ে দিতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির সংস্কার কেমন হবে তা নিয়ে আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকল ছাত্র-সংগঠনগুলোকে নিয়ে একটি পলিসি ডিসকাশনের আহ্বান করেছি। সেখানে ছাত্র-সংগঠনগুলো তাদের মতামত তুলে ধরবে।
    আজকের আলোচনায় আর কী কী বিষয় ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা দ্রুত ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি। আর ফ্যাসিস্টদের দোসরদের দ্বারা তৈরি সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।

  • জামালপুর জেলার ৩০ টি শিশু ও তিনটি যুব ফোরামের স্বপ্নপূরণ অনুষ্ঠান

    জামালপুর জেলার ৩০ টি শিশু ও তিনটি যুব ফোরামের স্বপ্নপূরণ অনুষ্ঠান

    খোরশেদ আলম

    জামালপুর জেলার ৩০টি শিশু সংগঠন ও তিনটি যুব সংগঠনের সাড়ে চারশো শিশু নিয়ে “আমার জীবন আমার স্বপ্ন” নামক বাৎসরিক স্বপ্নপূরণ অনুষ্ঠান  অনুষ্ঠিত হয়। জেলা শিশু ফোরামের সভাপতি অর্পিতার সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর সদর উপজেলার সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার শহীদ জিন্নাত পিংকি ও অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোরশেদ ইকবাল, প্রোগ্রাম ডাইরেক্টর উন্নয়ন সংঘ, তরঙ্গ মহিলা কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শামিমা খান, সূর্য তোরণ সমাজ সেবা সংস্থা’র নির্বাহী পরিচালক ও মানবাধিকার কর্মী মো: খোরশেদ আলম, মিনারা পারভীন প্রোগ্রাম ম্যানেজার উন্নয়ন সংঘ, উজ্জ্বল প্যাটিক কোরাইয়া – স্পন্সরশিপ অফিসার – ওয়ার্ল্ড ভিশন, সাগর ডি কস্তা- এপি ম্যানেজার ওয়াল্ড ভিশন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন ও উদ্দেশ্য আলোচনা  করেন সেবাস্টিয়ান পিউরিফিকেশন  সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার ওয়ার্ল্ড ভিশন  বাংলাদেশ।

    উক্ত অনুষ্ঠানে শিশুদের জীবনের স্বপ্ন পূরণে সম্মানিত অতিথিগণ বক্তব্য রাখেন।

    উক্ত অনুষ্ঠানে ৩০ টি শিশু ফোরামের সদস্যরা দুই হাজারের অধিক তালের বীজ  নিয়ে আসেন। সর্বাধিক তাল বীজ সংগ্রহকারী শিশুকে পুরস্কৃত করা হয়।

    উক্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আড়াইহাজার শিশুদের একটি করে স্কুলের ব্যাগ ব্রাশ, সাবান প্রধান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

    ইউএনও মহোদয় শিশুদের বীজ  সংগ্রহ ও  দিয়ালিকা প্রদর্শন, আমার জীবন আমার স্বপ্ন বই পরিদর্শন, শিশুদের বাৎসরিক কার্যক্রমের ফটো গ্যালারী পরিদর্শন করেন। চাইল্ড ফোরামের বাৎসরিক  কার্যক্রমের ছবি গ্যালারি প্রদর্শন করেন এবং অনুষ্ঠান শেষে ইউএনও মহোদয় শিশুদের প্রতিভা বিকাশ, সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধি ও তালের বীজ সংরক্ষণ কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।

    এ আয়োজনের জন্য উন্নয়ন সংঘ ও ওয়ার্ল্ড  ভিশনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
    পরে  দেয়ালিকা তৈরীতে শ্রেষ্ঠ দলকে পুরস্কৃত করা হয়।
    অনুষ্ঠান শেষে ইউএনও মহোদয় সকল শিশুদের মধ্যে একটি করে জ্যামিতি বক্স, বই, ছাতা  ও দেয়ালিকা তৈরীতে শ্রেষ্ঠ দলকে পুরস্কৃত করা হয় বিতরণ করেন।

  • বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

    মাসুদ হোসেন খানঃ

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, মাদারীপুর জেলা শাখার প্রতিনিধিদের  সঙ্গে  জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুজ্জামান, বিপিএম এর সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪) সকাল ১১.০০ ঘটিকায় জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার এর সভাপতিত্বে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    মত বিনিময় সভায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মাদারীপুর  প্রতিনিধিগন জেলা পুলিশকে কোন রূপে দেখতে চান তার একটি রূপরেখা পুলিশ সুপার এর নিকট প্রদান করেন। প্রতিনিধিগন পুলিশকে সকল প্রকার রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত থেকে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে জনগণের পুলিশ হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান সেই সাথে তারা দেশ ও জাতীর বৃহৎ কল্যাণে পুলিশের সকল কার্যক্রমে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

    মাদারীপুর জেলায় সদ্য যোগদানকৃত পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুজ্জামান,বিপিএম বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিদের সাথে একমত পোষণ করে মাদারীপুর জেলা পুলিশ নতুন রূপে জনগণের সেবায় নিয়োজিত থেকে জনকল্যাণে কাজ করবে মর্মে আশ্বাস প্রদান করেন। পুলিশি কার্যক্রমে তিনি ছাত্র জনতাসহ জেলার আপামার জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেন।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা পুলিশের সকল অফিসার বৃন্দ।

  • পরিমার্জিত হচ্ছে সব শ্রেণির পাঠ্যবই

    পরিমার্জিত হচ্ছে সব শ্রেণির পাঠ্যবই

    নাগরিক কথা ডেস্কঃ

    শিক্ষক অভিভাবক ও শিক্ষাবিদ সবার মতামত  বাদ দিয়ে নতুন কারিকুলাম চালিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। ইচ্ছামতো বিষয়বস্তু প্রকাশ করা হয়েছিল পাঠ্যবইয়ে। নৈতিকতা ও শিক্ষা”কে বাদ দিয়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় তৈরি করা হয়েছিল পাঠ্য বই।
    আওয়ামী সরকার পতনের পর পাঠ্য বইয়ের বিভিন্ন অসংগতি বাদ দিয়ে বইয়ের পরিমার্জনের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
    খুবই তাড়াতাড়ি চলছে এই কাজ। শিক্ষাবিদরা বলছেন, আওয়ামী সরকার প্রাথমিক ইতিহাস বিকৃত করে ছাপিয়েছে। সেগুলোকে সংশোধন ছাড়া কোনরকমে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এ কারণে বইপরিম অর্জন করা অতি জরুরী।
    বিকৃত ও ভুল তথ্য সংযোজিত বই আগে দেয়ার চেয়ে পরিমার্জিত বই একটু দেরি করে হলেও দেওয়া ভালো ।
    ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের একাদশের ক্লাস ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে । তবে এখন পর্যন্ত ছাপা হয়নি উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্য বই সমূহ। সেই সঙ্গে মেলেনি সিলেবাস ও। এই স্থরের পাঠ্য বইয়ের পরিমার্জনের  কাজ এ মুহূর্তে চলমান থাকায় পাঠ্য বই পেতে আরো বেশ কিছুদিন সময় অপেক্ষা করতে হবে শিক্ষার্থীদের ।

    চলমান মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই পরিমার্জনের কাজ শেষ করে পান্ডুলিপি প্রেসে পাঠানো যাবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষা ক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড  (এনটিটিবি) উচ্চ মাধ্যমিকের বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায়ী শিক্ষা বিভাগের বিষয়গুলো বাদে বাংলা ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এই তিনটি বিষয়ের চারটি বই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপট কর্তৃক প্রণীত হয়ে থাকে ।
    সবশেষে ২০১৪ সাল থেকে বাংলা সাহিত্য পাঠ এবং সহজপাঠ, ২০১৫ সাল থেকে ইংলিশ ফর টুডে এবং ২০২১ সালে প্রণীত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বই এখনো  শিক্ষার্থীদের পাঠ্য। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর উদ্যোগ নেয় এই পরিমার্জনের। এখন পর্যন্ত বাংলা বইয়ের কাজ শেষ হলেও  বাকি রয়েছে ইংরেজি ও আইসিটি বই।

    জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমের বইও প্রস্তুত আছে। কনটেন্টের কিছু বিষয় পরিবর্তন হবে। চলমান শিক্ষাক্রমের বইয়ের সেনসিটিভ বিষয়গুলো বাদ দেওয়ার জন্য একটি টিম কাজ করছে। বইয়ের প্রচ্ছদসহ ভেতরের ছবিসহ অনেক কিছুই পরিবর্তন করতে হবে। যারা শিক্ষাক্রম বিষয়ে কথা বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক তারাও এ পরিমার্জনের কাজে জড়িত রয়েছে।

  • আলজেরিয়ায় কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন রংপুরের হাফেজ হুজাইফা।

    আলজেরিয়ায় কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন রংপুরের হাফেজ হুজাইফা।

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথমস্থান অধিকার করেছেন রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার “হাফেজ মুহাম্মাদ হুজাইফা। বিশ্বজয়ী এই হাফেজ ক্বারী “নাজমুল হাসান পরিচালিত তাহফিজুল কুরআন ওয়াসসুন্নাহ মাদরাসার ছাত্র।

    জানা গেছে গত ২০ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া প্রতিযোগিতাটি শেষ হয় ৩০ আগস্টে। এতে অংশ নেয় বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নাইজেরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাফেজ প্রতিযোগীরা।
    প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছেন নাইজেরিয়ার সুমাইয়া মুদ্দাসসির, তৃতীয় হয়েছেন সেনেগালের বিদারা ও চতুর্থস্থান অধিকার করেছেন পাকিস্তানের মুহাম্মাদ বাশার।

    আলজেরিয়ার আশ-শারুক্ব টিভিতে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বটি প্রচারিত হবে।

    হাফেজ মুহাম্মাদ হুজাইফার বয়স ১০ বছর। সে রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার মনিরুজ্জামানের ছেলে।
    এর আগে এ বছরেই অনুষ্ঠিত তানজানিয়ায় অনুষ্ঠিত আরেকটি আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো হুজাইফা। কয়েক মাসের ব্যবধানে আবারও বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার গৌরব অর্জন করলো।

    হুজাইফা এবং তার ওস্তাদের জন্য শুভ কামনা রইলো। আল্লাহ তাআলা যেন হুজাইফা কে বিশ্ববরেণ্য আলেম হিসেবে কবুল করেন। আমিন।

  • বদরগন্জে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

    বদরগন্জে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে রংপুরের বদরগন্জ উপজেলার ১৫নং লোহানিপাড়া ইউনিয়নের “পানারহাট ঘিরনই উচ্চ বিদ্যালয়” এর প্রধান শিক্ষক মোস্তাক আহমেদ এর পদত্যাগ দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। রবিবার (২৫আগস্ট, ২০২৪),বেলা ১১টার দিকে স্কুল প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন তারা।

    এ সময় কমপক্ষে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রধান শিক্ষক ব্যতীত সকল শিক্ষক বিক্ষোভে অংশ নেন। প্রধান শিক্ষক মোস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে অনেক গুলো অভিযোগ এনেছেন শিক্ষার্থী ও কর্মরত শিক্ষকরা।

    শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক আমাদের রেজিস্ট্রেশন, ভর্তি ও পরীক্ষার ফি নেওয়ার সময় বাড়তি টাকা নিয়েছেন। এমন প্রধান শিক্ষক আমরা চাই না।
    বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। তাই তার পদত্যাগ ও তদন্তের মাধ্যমে তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা।

    শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে তাঁর কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক পদত্যাগ না করা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ক্লাসে না ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন।
    এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোস্তাক আহমেদ বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

  • মাইনকার চিপায় ওরা! দেশপ্রেমের বিকাশ হোক সবার অন্তরে

    মাইনকার চিপায় ওরা! দেশপ্রেমের বিকাশ হোক সবার অন্তরে

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    আমাদের দেশে ‘মাইনকার চিপা’ বলে একটা কথা প্রচলিত রয়েছে। কোথা থেকে কথাটির উৎপত্তি আমার জানা নেই। তবে কথাটির অর্থ অনেকেরই জানা।

    এটা নিয়ে একটি গানও রয়েছে –
    জনপ্রিয় বাংলাদেশি কণ্ঠশিল্পী হায়দার হোসেনের। “আমি ফাইসা গেছি, আমি ফাইসা গেছি,আমি ফাইসা গেছি, মাইনকার চিপায়।আমারও দিলের চোট বোঝে না কোনো হালায়।

    মুলত, ‘মাইনকার চিপা’ বলতে এমন এক অসহনীয় অবস্থার কথা বোঝায়, যখন কারও ওপর বিপরীতমুখী ভিন্ন ভিন্ন দিক থেকে সৃষ্টি হওয়া ‘অবস্থার-চাপ’ এমনই বোঝা হয়ে ওঠে যে, তার পক্ষে কোনোদিকে এদিক-সেদিক করেও শান্তি পাওয়ার পথ থাকে না। এটি একটি মারাত্মক ও অনতিক্রমযোগ্য উভয় সংকটের দুঃসহ পরিস্থিতি।

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে টিকতে না পেরে শেখ হাসিনা ৫ আগষ্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান, সেনাপ্রধান অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে ৮ আগস্ট ২০২৪ এ ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে  অন্তবর্তীকালীন সরকার শপথ গ্ৰহণ করে।

    শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও পালাতে পারিনি অনেক বড় বড় আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা! পর্যায়ক্রমে অনেকেই গ্রেফতার হচ্ছেন প্রশাসনের হাতে।
    শেখ হাসিনার ১৫ বছরের স্বৈরশাসনে দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে তৈরি হয়েছিলো অসংখ্য আওয়ামী পাতি-নেতা। শহর-বন্দর থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত এদের কার্যক্রম ছিলো অতি জঘন্য। মফস্বল কেন্দ্রিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা গুলোতে নিয়োগ বানিজ্য, অধিকাংশ প্রাইমারি স্কুলগুলোতে অক্ষর জ্ঞানহীন অদক্ষ সভাপতি বানানো। সরকারি খাস জমি দখল,চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ধর্ষন,  মাদকের কারবার সহ কি না করতো তারা।

    এ সমস্ত পাতি নেতারা  ৫ আগষ্টের পর হতে পড়ে গেছে মাইনকার চিপায়! শহর-বন্দর,হাটে-বাজারে, রাস্তা-ঘাটে কোথাও দেখা মিলেছেনা তাদের। চিপায় পড়ে গেছে। একদম মাইনকার চিপায়।

    এবার আসুন বাস্তব কিছু কথা-বার্তায়ঃ
    দেশকে ভালবাসা মানুষের জন্মগত প্রবৃত্তি। আমরা এ সম্পর্কে সচেতন না থাকলেও এটা আমাদের হৃদয়ের গভীরে সুপ্ত থাকে। দেশের অপমান, দেশবাসীর দুঃখ-দৈন্যে, দেশের দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে, দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হলে, দেশকে নিয়ে কেউ উপহাস বা কটাক্ষ করলে এ অনুভূতি জেগে উঠে।

    ১৯৭১ সালের মতো ২০২৪ সালে এসেও দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে। প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলো অকাতরে শত শত শিক্ষার্থীরা । মাটি ও মানুষের জন্যে গভীর মমতা না থাকলে এটা কোনোদিন সম্ভব হতো না। দেশপ্রেম থাকা চাই বৈদেশিক আগ্রাসনকে প্রতিহত করার জন্যে। ইতিহাস বার বার এটাই প্রমাণ করেছে যে, দেশপ্রেমিক জাতি শত্রুর কাছে কখনও পরাজিত হয় না। সে জাতির অন্তরে জ্বলতে থাকে দেশপ্রেমের আগুন অনির্বাণ শিখার ন্যায়।

    শুধু সংগ্রামী রূপ ধারণ করেই আবির্ভূত হয় না দেশপ্রেম। সত্যিকার দেশপ্রেম হচ্ছে দেশকে গড়ে তোলার সাধনা করা। দেশের সচেতন নাগরিকদের কারো অজানা নয় যে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করাটাই কঠিন। দেশকে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলাটাই দেশবাসীর লক্ষ্য হওয়া উচিত।

    আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, দেশপ্রেম ঈমানেরই অঙ্গ।
    আসুন সকলে মিলে দেশটা নতুন করে সাজাই। প্রতিশোধের নেশায় পড়ে কারো বাড়ী ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আঘাত  না করি। প্রতিশোধের ভিতর কোনো কল্যাণ নেই। ক্ষমা করে দেওয়াই উত্তম।

    যদি কাউকে শাস্তি পেতে হয়, তবে সেটা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী হবে। আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই।

    লেখকঃ সাংবাদিক, মোঃ সুজা উদ্দিন

  • মিঠাপুকুরে কলেজের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন।

    মিঠাপুকুরে কলেজের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন।

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    রংপুরের মিঠাপুকুরে একটি কলেজের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদ ও পূর্বের নাম পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা। কলেজের পূর্বের নাম বৈরাতী ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়। যা পরিবর্তন করে আশিকুর রহমান ডিগ্রী মহাবিদ্যালয় করা হয়েছে।
    রবিবার (১৮ আগষ্ট) দুপুরে কলেজ মাঠে পূর্বের নাম বহাল রেখে অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবী করেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।
    এসময় বক্তব্য রাখেন, অত্র প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি হামিদ মিয়া, সাবেক শিক্ষার্থী, রুবেল সাদী, রওশন আবির, রফিকুল ইসলাম, এলাকাবাসীর পক্ষে নয়ন মিয়া প্রমুখ।
    মানববন্ধন চলাকালে রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনের সাবেক সাংসদ এইচএন আশিকুর রহমানকে একজন চিহ্নিত রাজাকার আখ্যা দিয়ে বক্তারা বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই কলেজ নির্মানে সাবেক সংসদ সদস্যের কোন ভূমিকা নেই। এলাকাবাসীর উদ্যোগে ১৯৯৪ সালে সকলের সহযোগিতায় বৈরাতীহাটের প্রান কেন্দ্রে কলেজটি গড়ে ওঠে বলে প্রতিষ্ঠানটির নাম বৈরাতী ডিগ্রী মহাবিদ্যালয় করা হয়। অধ্যক্ষ হাসান ইমাম শামীমের যোগসাজসে কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে বলে অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবী করেন বিক্ষোভকারীরা। এছাড়াও অধ্যক্ষের অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা সহ নিয়মিত কলেজে না আসার তীব্র সমালোচনা করেন বক্তারা।

  • পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করলেন জামায়াতের আমির।

    পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করলেন জামায়াতের আমির।

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে রংপুরের পীরগঞ্জে আসেন। সেখানে তিনি পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও দোয়া করেন।
    বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা ১১টায় রংপুর নগরী থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে পীরগঞ্জ উপজেলার জাফরপাড়ার বাবনপুর গ্রামে সাঈদের বাড়িতে আসেন জামায়াতের আমির। এরপর বাড়ির পাশেই কবরে শায়িত শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন। তিনি শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন, মা মনোয়ারা বেগমসহ স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে নগদ এক লাখ টাকা ও তার পরিবারের পাশে আজীবন থাকার ঘোষণা দেন ডা. শফিকুর রহমান।
    জামায়াতের আমির বলেন, ‘শহীদ আবু সাঈদ জাতীয় বীর। তার চরম সাহসিকতার দৃশ্য সারা দেশ এমনকি সারা বিশ্ব দেখেছে। তার আত্মত্যাগ আমাদের নতুন করে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’ তিনি শহীদ আবু সাঈদসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনে সকল হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
    এর আগে, ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে পীরগঞ্জ জাফরপাড়া কামিল মাদ্রাসার মাঠে আসেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি। সমাবেশে দেশের অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, সহযোগী অঙ্গসংগঠন ও স্থানীয় জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
    উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হন। গুলির ভিডিও দেশ-বিদেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ গণমাধ্যমে ভাইরাল হলে আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়।

  • মিঠাপুকুরে যমুনাশ্বরী নদীতে ডুবে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু।

    মিঠাপুকুরে যমুনাশ্বরী নদীতে ডুবে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু।

    মোঃ সুজা উদ্দিন

    রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ১০নং বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নে শুক্রবার, (২ আগস্ট, ২০২৪) দুপুর ০১টার দিকে ইউনিয়নের হাছিয়া অংশে যমুনাশ্বরী নদীর ঘাটে “শ্রী জয়’ নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর পানিতে ডুবে মৃ””ত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
    জানা যায়, নিহত “শ্রী জয়” এর বাড়ি উপজেলার ১০নং বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের হাছিয়া গ্রামে। তিনি রংপুর মাহিগঞ্জ কলেজের চলমান এইচএসসি শিক্ষার্থী।
    ছড়ান হলি চাইল্ড মডেল স্কুলের এস এস সি-২০২২ ব্যাচের ছাত্র।
    তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।