Category: লাইফস্টাইল

  • বিকেলের নাস্তায় ঝটপট পটেটো ফিঙ্গার

    বিকেলের নাস্তায় ঝটপট পটেটো ফিঙ্গার

    বাইরের দোকানের যেকোনো খাবারের তুলনায় ঘরে তৈরি খাবার অনেক স্বাস্থ্যসম্মত। আর তা যদি নিজের হাতে তৈরি করা যায়, তাহলে তো আর কথাই নেই। ঘরেই অল্প উপকরণ দিয়ে পটেটো ফিঙ্গার পরিবেশন করে চমকে দিতে পারেন আপনার প্রিয়মুখগুলোকে। এই পটেটো ফিঙ্গার বাচ্চাদেরকেও নাস্তা হিসেবে দিতে পারেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক মজাদার পটেটো ফিঙ্গার তৈরির রেসিপি।

    যা যা লাগবে:

    আলু ৫-৬টি ( সিদ্ধ করে চটকে নেওয়া), কর্নফ্লাওয়ার বা চালের গুড়া ১/২ কাপ, লবণ স্বাদমত, চাট মসলা স্বাদমত, তেল ১/২ কেজি (ভাজার জন্য)

    তৈরি করবেন যেভাবে:

    আরও পড়ুন

    প্রথমে আলু সেদ্ধ করে নিতে হবে। এবার সেদ্ধ আলু ভালোভাবে চটকে এর মধ্যে লবণ, চাট মসলা, কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে ভালোভাবে মেশাতে হবে। এরপর মিশ্রণটি একটি জিপব্যাগে ভরে ব্যাগের মুখটি ভালোভাবে বন্ধ করতে হবে। এবার মিশ্রণটি হাত দিয়ে চেপে সমান করে প্যাকেট থেকে বের করে নিন। এখন এই মিশ্রণের ওপর ছুরি দিয়ে লম্বা লম্বা করে আঙ্গুলের মত করে শেপ দিয়ে নিতে হবে। যখন সবগুলো তৈরি হয়ে যাবে তখন চুলায় একটি কড়াইতে পর্যাপ্ত তেল দিয়ে গরম করে নিতে হবে। গরম হয়ে গেলে সবগুলো ফিঙ্গার দিয়ে দিতে হবে।

    যখন সবগুলো ফিঙ্গার বাদামি কালার হয়ে আসবে তখন একটি ছাকনি দিয়ে টিস্যাুর ওপর নিয়ে বাড়তি তেল জড়িয়ে নিতে হবে। এখন পছন্দের সস বা মেয়োনিজ এর সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করা যাবে মচমচে পটেটো ফিঙ্গার।

     

  • ডিমের কুসুমে তৈরি ৪ ফেসপ্যাকেই ফিরবে উজ্জ্বলতা

    ডিম যেকোন বয়সী মানুষের জন্য বেশ উপকারী। বিশেষ করে ত্বকের কালার উজ্জ্বল বা বাদামী রাখার জন্য ডিম বেশ উপকার করে। রূপচর্চায় ডিম ব্যবহার নতুন নয়। তবে মূলত, চুলের যত্নেই ডিম ব্যবহার করতে দেখা যায় বেশি। আপনি চাইলে ডিম দিয়ে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। প্রাচীনকাল থেকে মেয়েদের ত্বকের ক্ষেত্রে ডিম ব্যবহার করে আসছে। তাহলে জেনে নিন ডিম দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক বানানোর পদ্ধতি।

    রূপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিমের কুসুম ত্বক উজ্জ্বল রাখতে দারুণ কাজ করে।

    জেনে নিন ডিম দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাকের ব্যবহার

    ১) তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রবল সম্ভবনা দেখা যায়। সেক্ষেত্রে একটি ডিমের কুসুম, এক চামচ মধু এবং এক চামচ বাদাম তেল নিয়ে তা ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর ত্বকে প্যাকটি ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

    বৃষ্টির সময়ও ফ্যাশনেবল থাকবেন যে ৫ টিপসে

    ২) ত্বক উজ্জ্বল রাখতে একটি ডিমের কুসুম, এক চামচ ঘন ক্রিম এবং এক চামচ গাজরের রস মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিন। এবার এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে কুসুম গর্যানপ্যানই দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল করে তুলবে।

    ৩) শুষ্ক ত্বকের জন্য প্রথমে একটি ডিম নিয়ে তার থেকে কুসুম আলাদা করে নিন। এবার এই কুসুমটির সঙ্গে এক চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন। মুখে ভালো করে ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলে এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে নিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট বাদে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি শুষ্ক ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে।

    ৪) মুখের অন্যান্য সমস্যার মধ্যে একটি সমস্যা হল ব্ল্যাকহেডেস। এরজন্য একটি ডিমের কুসুমকে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর তা ব্রাশে করে নাকের চারপাশে লাগিয়ে নিন। এরপর একটি টিসু পেপার লাগিয়ে নিন নাকের ওপর। ডিমের প্রথম লেয়ারটি শুকিয়ে গেলে আরেকটি লেয়ার লাগিয়ে নিন। এরপর শুকিয়ে গেলে কাগজ গুলোকে টেনে তুলে ফেলুন। দেখবেন কাগজের সঙ্গে ব্ল্যাকহেডসও উঠে আসবে।

     

  • পুষ্টি ও ঔষধিগুণে ভরপুর লটকন

    পুষ্টি ও ঔষধিগুণে ভরপুর লটকন

    লটকন এক প্রকার দেশীয় ও হলুদ রঙের ছোট্ট গোলাকার ফল। টক-মিষ্টি ফল লটকন খেতে ভালোবাসেন অনেকেই। ইংরেজিতে লটকনকে বলা হয় বার্মিজ গ্রেপ। টক-মিষ্টি রসালো এই ফলটি ছোট হলেও এটি পুষ্টি ও ঔষধিগুণে ভরপুর। লটকন ফলকে সরাসরি খাওয়া হয় বা জ্যাম তৈরি করেও খাওয়া যায়। লটকন স্বল্প সময়ের ফল। বর্ষা মৌসুমে এই ফলটি বাজারে সহজলভ্য হয়। এখন রাস্তাঘাটে সব জায়গায় মিলছে এই ফলটি।

    এই ফলটির আবার বেশ কয়েকটি নাম রয়েছে। যেমন- হাড়ফাটা, ডুবি, বুবি, কানাইজু, লটকা, লটকাউ, কিছুয়ান ইত্যাদি। লটকন গাছ দক্ষিণ এশিয়ায় বুনো গাছ হিসেবে জন্মালেও বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে বাণিজ্যিক চাষ হয়। ক্যালরি ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল লটকন।

    চলুন জেনে নেওয়া যাক লটকনের স্বাস্থ্য গুণাগুণগুলো

    >> লটকনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ আছে। ভিটামিন সি ত্বক, দাঁত ও হাড় সুস্থ রাখে। সিজনের সময় প্রতিদিন দুই-তিনটি লটকন খাওয়া মানেই আমাদের দৈনন্দিন ভিটামিন ‘সি’র চাহিদা পূরণ হওয়া। এ ছাড়া এই ফলে চর্বি অত্যন্ত কম থাকায় ও কোনো শর্করা নেই বিধায় সব বয়সের মানুষ নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।

     

    >> পরিপক্ব লটকনের প্রতি ১০০ গ্রাম শাঁসে আছে ১.৪২ গ্রাম আমিষ, ০.৪৫ গ্রাম চর্বি, ০.৯ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ০.৩ গ্রাম লৌহ এবং ৯১ কিলো ক্যালরি খাদ্যশক্তি।

    >> লটকনে রয়েছে ০.০৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি১ এবং ০.১৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি২। সাধারণত লটকনকে ভিটামিন বি২ সমৃদ্ধ ফল বলা হয়ে থাকে। ভিটামিন বি২ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, যা শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। বেরিবেরি রোগ থেকে দূরে রাখে লটকন।

    >> রক্ত ও হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী লটকন। কারণ এতে থাকে আয়রন। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে ৫.৩৪ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে।

    >> খাদ্যশক্তির ভালো উৎস লটকন। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে ৯২ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি পাওয়া যায় যা আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

    >> লটকনের যেমন পুষ্টিগুণ রয়েছে তেমনি তার ঔষধিগুণও রয়েছে। লটকন মানসিক অবসাদ দূর করতেও সাহায্য করে।

    >> লটকন টক মিষ্টি ফল, তাই এই ফল খেলে আমাদের মুখের স্বাদ বৃদ্ধি পায় এবং খাবারের রুচি বাড়ে।

    >> লটকন গাছের শুকনো গুঁড়ো পাতা ডায়রিয়া বেশ দ্রুত উপশম হয়। এর গাছের পাতা ও মূল খেলে পেটের ব্যথা ও পুরান জ্বর নিরাময় হয়। এমনকি গনোরিয়া রোগের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয় এ ফলের বীজ।

    >> লটকন খেলে বমি বমি ভাব দূর হয় সহজেই। তৃষ্ণাও নিবারণ করে। এর গাছের ছাল ও পাতা খেলে চর্মরোগ দূর হয়।

    >> প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনের কোয়ায় খাদ্যশক্তি থাকে প্রায় ৯২ কিলোক্যালরি। অবাক বিষয় হলো এতে ক্যালরি আছে আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের প্রায় দ্বিগুণ।

    >> লটকনে আছে প্রচুর পরিমাণে নানা ধরনের ভিটামিন ‘বি’। এতে ভিটামিন বি-১ এবং ভিটামিন বি-২ আছে যথাক্রমে ১০ দশমিক ০৪ মিলিগ্রাম এবং ০.২০ মিলিগ্রাম। ফলে পাকা লটকন খাদ্যমানের দিক দিয়ে খুবই সমৃদ্ধ।

    >> লটকনে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম যা দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় কাজে লাগে। এইসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

     

  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে চালের গুঁড়োর ফেসপ্যাক

    ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে চালের গুঁড়োর ফেসপ্যাক

    সারা বছরই ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ থাকুক তা সবাই চায়। কিন্তু ধুলোবালি, বায়ুদূষণ এবং শারীরিক নানা কারণে ত্বকের উজ্জ্বলভাব ক্রমশ যেন হারিয়ে যেতে থাকে। হারানো উজ্জ্বলতা ফেরাতে অনেকেই বাজারের বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করেন। এমনকি ডাক্তারদের শরণাপন্ন হন। তবে ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য আজকাল অনেকেই ভরসা রাখেন কোরিয়ান স্কিনকেয়ার রুটিনে। কারণ কোরিয়ান সুন্দরীদের স্কিনকেয়ার রুটিন সাম্প্রতিক সময়ে বেশ ট্রেন্ডিং। কোরিয়ানদের মতো গ্লাস স্কিন পেতে জোরকদমে চেষ্টাও চালান অনেকেই। কখনও এই সিরাম ট্রাই করেন তো আবার কখনও মুখে মাখেন অন্য কিছু। এবার এক অদ্ভুত ফেসপ্যাক বেশ ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই চালের গুঁড়ো এবং ফ্ল্যাক্স সিডের ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে লাগাচ্ছেন। চলুন এ ফেসপ্যাকের কার্যকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই।

    যেভাবে বানাবেন ফেসমাস্কটি

    ফেসপ্যাক বানানোর জন্য আপনার প্রয়োজন দুই চামচ চালের গুঁড়ো, পরিমাণ মতো পানি এবং ফ্ল্যাক্স সিড। এক্ষেত্রে ১ চামচ আস্ত ফ্ল্যাক্সসিড ও ১ চামচ ফ্ল্যাক্সসিড গুঁড়ো ব্যবহার করতে হবে। প্রতিটি উপকরণ নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তাহলেই আপনার ফ্ল্যাক্সসিড ফেসমাস্ক তৈরি।

    এটি মুখে লাগানোর পরে আরও ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ফেসওয়াশ করে নিন। শেষে টোনার এবং ময়শ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না।

    কার্যকারিতা

    ফ্ল্যাক্সসিড এবং চালের গুঁড়োর ফেসপ্যাক লাগালে উজ্জ্বলতা বাড়বে। কিন্তু সেই উজ্জ্বলতা সাময়িক। হয়তো আপনার ত্বক আরও উজ্জ্বল দেখাবে এবং চকচক করবে। কিন্তু তার ফল সুদূরপ্রসারী হবে না। কারণ কিছুক্ষণ পরেই আবার সেই জেল্লা ফিকে হয়ে যাবে। আর ত্বকের সৌন্দর্যও কমতে শুরু করবে।

    উপকার পাবেন যেভাবে

    ফ্ল্যাক্স সিডে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ফাইবার। এগুলো ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে। এমনকী ত্বকের উজ্জ্বলভাবও অটুট রাখে। কিন্তু এসব উপকার পাওয়ার জন্য নিয়মিত ফ্ল্যাক্স সিড খাওয়া প্রয়োজন। এই বীজ ফেসপ্যাকে মিশিয়ে মুখে লাগালে কোনও উপকারই মেলে না।

    সাময়িক উজ্জ্বলতা বাড়াবে এই উপাদান: চালের গুঁড়ো প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ আপনি যদি নিয়মিত চালের গুঁড়ো মুখে লাগান, তাহলে ত্বকের মৃত কোষের স্তর পরিষ্কার হয়ে যায়। ফলে ত্বকের ভিতরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। অক্সিজেন সরবরাহও পর্যাপ্ত পরিমাণে হয়। তাই সাময়িকভাবে উজ্জ্বল বৃদ্ধি পায়।

    ত্বকের ধরন বোঝা জরুরি: প্রত্যেকের ত্বকের ধরন আলাদা। তাই আপনার ত্বকে কোনও উপাদান কার্যকরী হলে অন্য কারও ত্বকে সেটা নাও হতে পারে। তাই কোনওরকম ঘরোয়া ফেসপ্যাক মুখে লাগানোর আগে সব সময়ে প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া জরুরি বলে জানালেন রূপ চিকিৎসকরা। তাহলে আপনার ত্বকও সুরক্ষিত থাকে এবং ত্বকের সৌন্দর্য নিয়ে কোনও চিন্তা ভাবনা করতে হয় না।

    এই টিপস জেনে রাখুন: ফ্ল্যাক্স সিড এবং চালের গুঁড়োর ফেসপ্যাক লাগালে সাময়িক জেল্লা পাবেনই। কিন্তু ত্বকের সামগ্রিক সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য আপনাকে সঠিক স্কিনকেয়ার রুটিন ফলো করতে হবে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যকর জীবনশৈলীও মেনে চলতে হবে। তাহলে আপনার ত্বক ভালো থাকবে এবং উজ্জ্বলও হবে দেখার মতো।

     

  • পুষ্টিগুণে অতুলনীয় জামে রয়েছে যেসব উপকারিতা

    পুষ্টিগুণে অতুলনীয় জামে রয়েছে যেসব উপকারিতা

    গ্রীষ্মের অন্যান্য সুস্বাদু ফলের মতো জামও বেশ জনপ্রিয়। জাম খুব উপকারী ফল। জাম কিন্তু অনেক ধরনের পুষ্টিগুণে ভরা। পুষ্টিগুণে অতুলনীয় এ ফলটিতে আছে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, স্যালিসাইলেট, গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ ও ফুকটোজসহ অসংখ্য উপাদান। টক-মিষ্টি স্বাদের এই ফলের উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের বেশিরভাগেরই জানা নেই।

    চলুন জেনে নেওয়া যাক জামের উপকারিতা

    জামে রয়েছে ডায়েটারি ফাইবার, যা হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়তা করে। জার্নাল অব এথনোফার্মাকোলজির একটি গবেষণায় দেখা গেছে, জামে ট্যানিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে যা প্রদাহ কমায় এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

    রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে সাহায্য করে জাম। ফলটিতে জ্যাম্বোলিন এবং জাম্বোসিনের মতো যৌগ রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে। মেডিসিনাল ফুড জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, এই যৌগগুলো স্টার্চকে চিনিতে রূপান্তরকে ধীর করতে সাহায্য করে।

    ভিটামিন ‘সি’, আয়রন এবং অ্যান্থোসায়ানিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চমৎকার উৎস জাম, যা ফলটিকে গাঢ় বেগুনি রঙ দেয়। জার্নাল অব ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।

    গ্রীষ্মের রোদ আমাদের ত্বকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তীব্র রোদে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। জামে থাকা উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি এবং অ্যাস্ট্রিনজেন্ট বৈশিষ্ট্য আমাদের ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং এই সমস্যাগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদ অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ মেডিসিন জার্নালের একটি গবেষণায বলছে, জাম ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে সাহায্য করে এবং দাগ কমায়।

    জামে থাকা ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের গবেষণা অনুসারে, এই পুষ্টি উপাদানগুলো শ্বেত রক্ত ​​​​কোষের উৎপাদন বাড়ায়, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
    যারা বাড়তি ওজন কমাতে চাইছেন তাদের জন্য দুর্দান্ত ফল জাম। ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি এতে, যা আমাদের দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে ও সামগ্রিক ক্যালোরি গ্রহণ কমায়। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ফুড সায়েন্সেস অ্যান্ড নিউট্রিশনের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, জামে থাকা ফাইবার শুধু হজমেই সাহায্য করে না, ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।

    জাম আমাদের হার্টের জন্যও উপকারী। এতে রয়েছে পটাসিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। জার্নাল অব কার্ডিওভাসকুলার ফার্মাকোলজি অ্যান্ড থেরাপিউটিকসে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, জামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, যার ফলে সার্বিক কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

    গ্রীষ্মের তাপের কারণে ডিহাইড্রেশন হয় এবং শরীরে টক্সিন জমা হয়। জাম প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে। এটিতে উচ্চমাত্রায় পানি রয়েছে এবং মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে এবং আমাদের হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে। জার্নাল অব ট্র্যাডিশনাল অ্যান্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিনের একটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, জাম লিভার এবং কিডনি পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

    জাম আমাদের দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। জামের অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট বৈশিষ্ট্য মুখের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার জন্য উপকারী। দ্য জার্নাল অব ন্যাচারাল সায়েন্স, বায়োলজি এবং মেডিসিন বলছে, জামের ব্যাকটেরিয়ারোধী বৈশিষ্ট্য মাড়ির রোগ এবং নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

  • কোটা বাতিল আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই: প্রধানমন্ত্রী

    কোটা বাতিল আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই: প্রধানমন্ত্রী

    পড়াশোনা বাদ দিয়ে উচ্চ আদালতের রায় অমান্য করে কোটাবিরোধী আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    রোববার (৭ জুলাই) গণভবনে যুব মহিলা লীগের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা বাতিল করার আন্দোলন করছে। যারা এর আগে আন্দোলন করেছিল, তার আগে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় কত পাস করত, এখন কত করছে। এটা সাবজুডিস ম্যাটার, আদালতে বিচারাধীন।

    প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা সময় নষ্ট করছে। এ আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই।

    তিনি বলেন, যুব মহিলা লীগ সবসময় আন্দোলন সংগ্রামে ছিল। যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীদের অকথ্য নির্যাতন করেছে বিএনপি-জামায়াত।

    সরকারপ্রধান বলেন, ক্ষমতায় আসার পর দেশকে একটি উচ্চ আসনে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে আওয়ামী লীগ। অপরদিকে ভোট চুরির অপরাধে দুইবার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন খালেদা জিয়া।

    এ সময় যুব মহিলা লীগের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।