Category: রাজনীতি

  • চার মহানগরে বিএনপির নতুন কমিটি

    চার মহানগরে বিএনপির নতুন কমিটি

    ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণসহ চারটি মহানগরে নতুন কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। অন্য দুটি কমিটি হলো চট্টগ্রাম ও বরিশাল মহানগর।

    রোববার (৭ জুলাই) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    ঢাকা মহানগর উত্তরে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরবকে আহ্বায়ক ও বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ফুটবলার আমিনুল হককে সদস্যসচিব করে দুই সদস্যের আংশিক কমিটি গঠিত হয়েছে।

    ঢাকা মহানগর দক্ষিণে বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুকে আহ্বায়ক ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ রবিনকে সদস্যসচিব করে দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।

    চট্টগ্রাম মহানগরে বিএনপি নেতা এরশাদুল্লাহকে আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রদল নেতা নাজিমুর রহমানকে সদস্য সচিব করে দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।

    বরিশাল মহানগরে বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুককে আহ্বায়ক, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়াকে সদস্যসচিব ও সাবেক ছাত্রদল নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিনকে ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।

    এর আগে গত ‌১৪ জুন ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণসহ, চট্টগ্রাম ও বরিশাল মহানগরের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। একইদিন বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়।

    ২০২১ সালের ২ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানকে আহ্বায়ক এবং দলের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হককে সদস্যসচিব করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামকে আহ্বায়ক এবং রফিকুল আলম মজনুকে সদস্যসচিব ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।

    ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর মনিরুজ্জামান ফারুককে আহ্বায়ক এবং আলী হায়দার বাবুলকে সদস্যসচিব করে বরিশাল মহানগর বিএনপি এবং ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর ডা. শাহাদাৎ হোসেনকে আহ্বায়ক এবং আবুল হাশেম বকরকে সদস্যসচিব করে চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।

     

  • কোটা ও শিক্ষকদের আন্দোলন পর্যবেক্ষণ করছে সরকার: কাদের

    কোটা ও শিক্ষকদের আন্দোলন পর্যবেক্ষণ করছে সরকার: কাদের

    কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং পেনশন স্কিম নিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলন সরকার গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

    রোববার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার পুরস্কার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

    কাদের আরও বলেন, কোটা নিয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি, আদালত রায় দিয়েছে। এটা আদালতের এখতিয়ার। তারপরও আমারা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। দুটি আন্দোলনই সময়মতো সমাধান হয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

    এ সময় রাজনৈতিক তদবিরে কাউকে বদলি করা যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, আগে বিআরটিএতে প্রচুর লেনদেন হতো। তার বিনিময়ে কর্মকর্তাদের বদলির কাজ চলতো। সেটি অনেকাংশে বন্ধ হয়েছে।

    আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, মন্ত্রী, সচিব ও কর্মকর্তারা সৎ থাকলে দুর্নীতি হওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। দুর্নীতি এখন বেপরোয়া গতিতে বিস্তার লাভ করছে। কিন্তু অনেক পরে ধরা পড়ে।

    কাদের বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সম্পদ মাথায় রেখে সমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিতে হবে। আমরা কোনো অবস্থাতেই শ্রীলঙ্কার দৃষ্টান্তের পুনরাবৃত্তি চাই না।

    তিনি বলেন, ভালো কাজের যেমন পুরস্কার, তেমনি খারাপ কাজের জন্যও নিন্দা শাস্তির ব্যবস্থা থাকা দরকার।

    পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পদ্মা সেতুতে এক হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা সাশ্রয় করা হয়েছে। মেঘনা গোমতীসহ তিন সেতুতে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা সেভ করা হয়েছে। সরকার মেগা দুর্নীতি করে না, মেগা সেভ করে।

     

     

  • ভারত এখন আওয়ামী লীগের এনার্জি ড্রিংক হিসেবে কাজ করছে: রিজভী

    ভারত এখন আওয়ামী লীগের এনার্জি ড্রিংক হিসেবে কাজ করছে: রিজভী

    বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভারতের জন্যই ক্ষমতায় টিকে আছে আওয়ামী লীগ। ভারত এখন আওয়ামী লীগের এনার্জি ড্রিংক হিসেবে কাজ করছে।

    রোববার (৭ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ফ্রন্টের ঢাকা মহানগরীর সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

    রিজভী বলেন, লুটপাট আর টাকা পাচারের সংস্কৃতি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। শুধু বেনজীর আর আজিজ নয় আরও শত শত রাঘব বোয়াল হয়েছে। শুধু মাত্র সরকারের আশ্রয়ে এসব করেছেন তারা।

    তিনি বলেন, গোটা জাতিকে আজ বিভক্ত করা হয়েছে। লুটপাট, কালোটাকা, জমি দখলের মানসিকতার দল আওয়ামী লীগ।

    তিনি আরও বলেন, ভারত আওয়ামী সরকারের অপরাধ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের রাজনীতি সমর্থন করে। দেশের জমিদারতন্ত্র চালু করেছে সরকার। ক্ষমতাসীনদের হাতে দেশের কেউই নিরাপদ নয়।

     

  • কোটা বাতিল আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই: প্রধানমন্ত্রী

    কোটা বাতিল আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই: প্রধানমন্ত্রী

    পড়াশোনা বাদ দিয়ে উচ্চ আদালতের রায় অমান্য করে কোটাবিরোধী আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    রোববার (৭ জুলাই) গণভবনে যুব মহিলা লীগের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা বাতিল করার আন্দোলন করছে। যারা এর আগে আন্দোলন করেছিল, তার আগে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় কত পাস করত, এখন কত করছে। এটা সাবজুডিস ম্যাটার, আদালতে বিচারাধীন।

    প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা সময় নষ্ট করছে। এ আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই।

    তিনি বলেন, যুব মহিলা লীগ সবসময় আন্দোলন সংগ্রামে ছিল। যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীদের অকথ্য নির্যাতন করেছে বিএনপি-জামায়াত।

    সরকারপ্রধান বলেন, ক্ষমতায় আসার পর দেশকে একটি উচ্চ আসনে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে আওয়ামী লীগ। অপরদিকে ভোট চুরির অপরাধে দুইবার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন খালেদা জিয়া।

    এ সময় যুব মহিলা লীগের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।