Category: রাজনীতি

  • কেমন চলছে বর্তমান বাংলাদেশ?

    কেমন চলছে বর্তমান বাংলাদেশ?

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশত্যাগে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
    এর পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হলো অন্তর্বর্তী সরকার। শপথ নিলেন সকল উপদেষ্টারা।

    গণঅভ্যুত্থানের পর এ যেন এক নতুন বাংলাদেশ। দেশের জনগণ সবাই তাকিয়ে আছে উপদেষ্টামণ্ডলীর দিকে, অনেক অনেক জনপ্রত্যাশা।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে দেশের পুরো সিস্টেমের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার হচ্ছে। সেটা চলমান রয়েছে বটে।

    এর’ই মাঝে দেশের তিন দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা চলমান রয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সহ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ জনগণ বন্যার্তদের জন্য আর্থিকভাবে এগিয়ে এসেছেন।

    নির্বাচন ও সংস্কার প্রশ্নে রোডম্যাপ বা রূপরেখা তৈরি করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

    এদিকে দেশের জাতীয় নির্বাচন এবং বিভিন্ন খাতে সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব ব্যাপক ভিত্তিক সংলাপ চেয়েছে বিএনপি। এই সংলাপ শুরুর ব্যাপারে যাতে ঘোষণা দেওয়া হয় সে ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অনুরোধ করেছে দলটি।

    অন্য দিকে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে।

    জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপি নির্বাচনের জন্য আলটিমেটাম দিয়েছিল আবার এখন রোডম্যাপ দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে। পরিপ্রেক্ষিতে আমি মনে করি, বিএনপির জায়গা থেকে যেটি উত্তম মনে করেছে, সেটিই তারা করেছে।
    সাড়ে ১৫ বছরে দেশে অনেক জঞ্জাল সৃষ্টি হয়েছে। সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চরমভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে। যার কুফল ১৫ বছরে জাতি ভোগ করেছে। এতগুলো জঞ্জাল ঠিক করা ৩ মাসে সম্ভব হবে না বলে মনে করেন না ডা. শফিকুর রহমান।
    বিএনপি নির্বাচনের জন্য তোড়জোড় করছে আমরা এই মুহুর্তে নির্বাচনকে প্রাধান্য দিচ্ছি না। এসময় জাতির ক্রাইসিস রক্তের দাগ, ক্ষতবিক্ষত হওয়া শহিদ পরিবারগুলো, বিভিন্ন জেলায় বন্যার কবলে পড়ে পড়েছে। এটাকে আমরা এই মুহূর্তের রাজনীতি হিসেবে নিয়েছি।  এটাকে কেউ যদি রাজনীতি বলে রাজনীতি, আবার কেউ যদি বলে মানবিক দায়িত্ব তাহলে মানবিক দায়িত্ব।
    আমরা মনে করি, এ বিষয়গুলো সমাধান না করে নির্বাচনের কথা তোলা, যৌক্তিক মনে করি না।  তাই আমরা নির্বাচন নিয়ে কথা বলছি না। মানুষের এ বিষয়গুলো সমাধান করার জন্য আল্লাহ আমাদের যতটুকু সামর্থ্য দিয়েছেন সেটুকু চেষ্টা করে যাব।

    নির্বাচনের দাবি করায় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আসা কটাক্ষ ও সমালোচনার জবাব দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ‘বিরাজনীতিকরণের’ চেষ্টার কথা তুলে ধরেছেন।
    এখন নির্বাচনের দাবি জনগণ মেনে নেবে না বলে জামায়াতের পক্ষ থেকে আসা বক্তব্যের বিপরীতে তিনি বলেছেন, যারা ভোটে জিততে পারবে না, সরকার চালাতে পারবে না, তারা এসব কথা বলে।

    তবে অন্তর্বর্তী সরকার কবে নির্বাচন দেবে – এই প্রশ্নে এখন বিএনপি ও জামায়াত বিপরীতমুখী অবস্থানে।

    আর এদিকে সাধারণ জনগণের মধ্যে দেখা মিলেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার।
    অনেকই বলছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হোক নিরপেক্ষ হোক এতে যে কোন দল ক্ষমতায় আসুক জনগন গ্রহণ করে নিবে।
    আবার কেউ বলেছেন, ডঃ ইউনুস হলেন বাংলাদেশের মানুষের সুখ পাখি সরকার। পাঁচ বছর এই সুখ পাখি সরকার থাকবেন।

    ফেসবুকে একজন বলেছেন, ১৫ বছরে ভোট দিতে পারিনি। প্রয়োজন হলে আরো ১০ বছর ভোট দিবো না। আমাদের এই মুহূর্তে ভোট অধিকারের প্রয়োজন না। আমাদের প্রয়োজন একটা জবাবদিহি মূলক সুশাসন। একটা আত্মনির্ভরশীল সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ।

     

     

  • বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

    নিউজ ডেস্কঃ

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, এর অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ  ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গসংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে। আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আব্দুল মোমেন স্বাক্ষতির এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।

    এর আগে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার গত ১ আগস্ট জামায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ওই দিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮(১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও এর সব অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করে।

    আজকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘যেহেতু বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনের সন্ত্রাস ও সহিংসতায় সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় নাই, যেহেতু সরকার বিশ্বাস করে যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত নহে, সেহেতু সরকার সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা সংক্রান্ত এ বিভাগের বিগত  ১ আগস্টের প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হলো। এ আইনের তফসিল-২ থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠন এর তালিকাভুক্তি বাতিল করা হলো।’
    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত গেজেটও জারি করা হয়েছে।

  • সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে রংপুরে হত্যা মামলা

    সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে রংপুরে হত্যা মামলা

    নিউজ ডেস্কঃ

    জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ও রংপুর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি আমলি আদালতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী মুসলিম উদ্দিন মিলনের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার (৩২) এই মামলাটি করেন।

    মামলায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জাকির হোসেন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান, রংপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজাহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুসাইন মোহাম্মদ রায়হান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু আশরাফ সিদ্দিকী, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক সংসদ সদস্য নাছিমা জামান ববি, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক প্রামাণিক, আওয়ামী লীগ নেতা রাশেক রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছায়াদাত হোসেন বকুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শফিয়ার রহমান সাফি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল। এছাড়া আরও অনেককে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

    এই মামলাটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সিটি বাজার এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়। এসময় ৮ থেকে ১৭ নম্বর পর্যন্ত  আসামিদের প্ররোচনা ও উস্কানিতে ১ থেকে ৭ নম্বর আসামিদের নির্দেশে ২, ৩, ৪, ৬ ও ৭ নম্বর আসামিসহ হেলমেট পরিহিত পুলিশ সদস্যরা এলোপাথাড়ি গুলি ছোঁড়ে। এতে মিলন গুলিবিদ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে আসামিদের চাপে মরদেহের ময়নাতদন্ত না করেই তড়িঘড়ি করে দাফন করা হয়েছে।

  • সাবেক এমপি শিবলী সাদিকের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় আরও একটি হত্যা মামলা

    সাবেক এমপি শিবলী সাদিকের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় আরও একটি হত্যা মামলা

    নিউজ ডেস্কঃ

    দিনাজপুর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিবলী সাদিকের নামে আরও একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।

    সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে  শিবলি সাদিকসহ আওয়ামী লীগের মোট ৬৪ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন মোঃ রবিউল ইসলাম নামের একজন লোক। ওনার ছেলে ও ছেলের দুই বন্ধুকে হত্যার অভিযোগে মামলাটি করেন তিনি।

    এর আগে, গত ৫ আগস্ট হাকিমপুর পৌর শহরে সাবেক পৌর মেয়র জামিল হোসেনের বাড়িতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া দুই যুবককে তুলে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা, লাশ গুম ও হত্যার ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে বাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগে মোঃ সুজন নামে এক, লোক বাদী হয়ে গত ১৯ আগস্ট সকালে হাকিমপুর থানায় মামলা করেছেন।

    সোমবার হওয়া হত্যা মামলার বাদী মোঃ রবিউল ইসলাম নবাবগঞ্জ উপজেলার উত্তর শ্যামপুর গ্রামের মৃত আবদুস সামাদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক। এই মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- দিনাজপুর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের ছোট ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজওয়ার মোহাম্মদ ফাহিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান (মানিক), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সায়েম সবুজ, দপ্তর সম্পাদক মো. শামসুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহিনুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন ও ছাত্রলীগ নেতা জামাল বাদশা। এই মামলায় আরও অনেককে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

  • মাইনকার চিপায় ওরা! দেশপ্রেমের বিকাশ হোক সবার অন্তরে

    মাইনকার চিপায় ওরা! দেশপ্রেমের বিকাশ হোক সবার অন্তরে

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    আমাদের দেশে ‘মাইনকার চিপা’ বলে একটা কথা প্রচলিত রয়েছে। কোথা থেকে কথাটির উৎপত্তি আমার জানা নেই। তবে কথাটির অর্থ অনেকেরই জানা।

    এটা নিয়ে একটি গানও রয়েছে –
    জনপ্রিয় বাংলাদেশি কণ্ঠশিল্পী হায়দার হোসেনের। “আমি ফাইসা গেছি, আমি ফাইসা গেছি,আমি ফাইসা গেছি, মাইনকার চিপায়।আমারও দিলের চোট বোঝে না কোনো হালায়।

    মুলত, ‘মাইনকার চিপা’ বলতে এমন এক অসহনীয় অবস্থার কথা বোঝায়, যখন কারও ওপর বিপরীতমুখী ভিন্ন ভিন্ন দিক থেকে সৃষ্টি হওয়া ‘অবস্থার-চাপ’ এমনই বোঝা হয়ে ওঠে যে, তার পক্ষে কোনোদিকে এদিক-সেদিক করেও শান্তি পাওয়ার পথ থাকে না। এটি একটি মারাত্মক ও অনতিক্রমযোগ্য উভয় সংকটের দুঃসহ পরিস্থিতি।

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে টিকতে না পেরে শেখ হাসিনা ৫ আগষ্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান, সেনাপ্রধান অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে ৮ আগস্ট ২০২৪ এ ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে  অন্তবর্তীকালীন সরকার শপথ গ্ৰহণ করে।

    শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও পালাতে পারিনি অনেক বড় বড় আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা! পর্যায়ক্রমে অনেকেই গ্রেফতার হচ্ছেন প্রশাসনের হাতে।
    শেখ হাসিনার ১৫ বছরের স্বৈরশাসনে দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে তৈরি হয়েছিলো অসংখ্য আওয়ামী পাতি-নেতা। শহর-বন্দর থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত এদের কার্যক্রম ছিলো অতি জঘন্য। মফস্বল কেন্দ্রিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা গুলোতে নিয়োগ বানিজ্য, অধিকাংশ প্রাইমারি স্কুলগুলোতে অক্ষর জ্ঞানহীন অদক্ষ সভাপতি বানানো। সরকারি খাস জমি দখল,চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ধর্ষন,  মাদকের কারবার সহ কি না করতো তারা।

    এ সমস্ত পাতি নেতারা  ৫ আগষ্টের পর হতে পড়ে গেছে মাইনকার চিপায়! শহর-বন্দর,হাটে-বাজারে, রাস্তা-ঘাটে কোথাও দেখা মিলেছেনা তাদের। চিপায় পড়ে গেছে। একদম মাইনকার চিপায়।

    এবার আসুন বাস্তব কিছু কথা-বার্তায়ঃ
    দেশকে ভালবাসা মানুষের জন্মগত প্রবৃত্তি। আমরা এ সম্পর্কে সচেতন না থাকলেও এটা আমাদের হৃদয়ের গভীরে সুপ্ত থাকে। দেশের অপমান, দেশবাসীর দুঃখ-দৈন্যে, দেশের দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে, দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হলে, দেশকে নিয়ে কেউ উপহাস বা কটাক্ষ করলে এ অনুভূতি জেগে উঠে।

    ১৯৭১ সালের মতো ২০২৪ সালে এসেও দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে। প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলো অকাতরে শত শত শিক্ষার্থীরা । মাটি ও মানুষের জন্যে গভীর মমতা না থাকলে এটা কোনোদিন সম্ভব হতো না। দেশপ্রেম থাকা চাই বৈদেশিক আগ্রাসনকে প্রতিহত করার জন্যে। ইতিহাস বার বার এটাই প্রমাণ করেছে যে, দেশপ্রেমিক জাতি শত্রুর কাছে কখনও পরাজিত হয় না। সে জাতির অন্তরে জ্বলতে থাকে দেশপ্রেমের আগুন অনির্বাণ শিখার ন্যায়।

    শুধু সংগ্রামী রূপ ধারণ করেই আবির্ভূত হয় না দেশপ্রেম। সত্যিকার দেশপ্রেম হচ্ছে দেশকে গড়ে তোলার সাধনা করা। দেশের সচেতন নাগরিকদের কারো অজানা নয় যে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করাটাই কঠিন। দেশকে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলাটাই দেশবাসীর লক্ষ্য হওয়া উচিত।

    আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, দেশপ্রেম ঈমানেরই অঙ্গ।
    আসুন সকলে মিলে দেশটা নতুন করে সাজাই। প্রতিশোধের নেশায় পড়ে কারো বাড়ী ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আঘাত  না করি। প্রতিশোধের ভিতর কোনো কল্যাণ নেই। ক্ষমা করে দেওয়াই উত্তম।

    যদি কাউকে শাস্তি পেতে হয়, তবে সেটা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী হবে। আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই।

    লেখকঃ সাংবাদিক, মোঃ সুজা উদ্দিন

  • বিএনপির সাবেক মহাসচিব ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের ২৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী ২০ আগষ্ট

    বিএনপির সাবেক মহাসচিব ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের ২৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী ২০ আগষ্ট

    মোঃ খোরশেদ আলমঃ

    বিএনপির সাবেক মহাসচিব, সাবেক মন্ত্রী ভাষাসৈনিক ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী ২০ আগস্ট মঙ্গলবার। তিনি ১৯৩৬ সালের ৪ নভেম্বর জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার মূলবাড়ী গ্রামের সম্ভ্রান্ত তালুকদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।
    স্বৈরাচারী এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত চারদলীয় ঐক্যজোটের রূপকার ও সফলতার সাথে চারদলীয় লিয়াজোঁ কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদার। তিনি দেশের রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা সংযোজন করেন।
    স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে লালন করে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার সে সময়কার সাহসী ভূমিকা জাতি ও তার দল বিএনপি আজীবন স্মরণ রাখবে।
    ১৯৯৯ সালের ২০ আগস্ট হার্টের বাইপাস সার্জারি করানোর জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার পথে হযরত শাহজালাল (রহ.) (সাবেক জিয়া) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মারা যান তিনি।
    ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের ভাতিজা জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মো: ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম জানান, প্রয়াত এ নেতার মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে জাতীয়, দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, পরে মরহুমের কবর জিয়ারত ও দোয়া মাহফিল।
    এ ছাড়া মসজিদে মসজিদে দোয়া মাহফিল ও ২১ আগস্ট দলীয় কার্যালয়ে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে।

  • মাদারীপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত

    মাদারীপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত

    মাসুদ হোসেন খানঃ

    নানান বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা র‍্যালী ও আনন্দ আয়োজনের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছে মাদারীপুর জেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল।
    সোমবার ( ১৯ আগস্ট ২০২৪) বিকালে মাদারীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি, বি এম আরিফুল ইসলাম দুলালের নেতৃত্বে এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, র‍্যালীটি শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক হয়ে ডিসি ব্রিজ নামক স্থানে শেষ হয়। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায় থেকে দুপুর থেকেই মাদারীপুর কেন্দ্রীয় পৌর ঈদগাহ মাঠে নেতা কর্মীদের ঢল নামতে শুরু করে। বিকাল পাঁচটায় শোভাযাত্রা ও আনন্দ র‍্যালীটি শুরু হয়ে ছয়টায় শেষ হয়।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন,মাদারীপুর জেলা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, নজরুল ইসলাম লিটু,জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের জেলা আহবায়ক, এডভোকেট অলিউর রহমান দর্জি, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সদস্য সচিব,মনিরুজ্জামান ফুকু,সহ-সভাপতি, জামাল হাওলাদার,সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, লিয়াকত হোসেন কালু,জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক,নাজমুল হোসেন মিলন,মাদারীপুর সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নাসির তালুকদার, তামিম হাওলাদার সহ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা আওয়ামী লীগের চরম সীমালঙ্ঘন

    জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা আওয়ামী লীগের চরম সীমালঙ্ঘন

    ডেস্ক নিউজঃ

    বরগুনা জেলা শাখার আমির মো. মহিবুল্লাহ হারুন বলেছেন, ১ আগস্ট জামায়াত ইসলামকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ চরম সীমালঙ্ঘন করেছে। আর এ কারণেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার তোপে দীর্ঘ ১৫ বছরের ক্ষমতা ছেড়ে করুণ অবস্থায় বিদায় নিতে হয়েছে তাদের।
    রোববার (১৮ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে বরগুনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জামায়াত ইসলামীর জেলা শাখা ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
    জামায়াতে ইসলামী বরগুনা জেলা শাখার জেলা আমির মো. মহিবুল্লাহ হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় নেতাকর্মীরা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। তাদের দীর্ঘ শাসনামলে সবথেকে বেশি কারাভোগসহ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন জামায়াত ইসলামের নেতাকর্মীরা। এখন আমরা মুক্ত হয়েছি। তবে আমরা কেউ প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে চাই না। আমরা সব ভুলে নতুন করে বাংলাদেশ গড়ার কাজ করতে চাই।

  • মিঠাপুকুরে কলেজের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন।

    মিঠাপুকুরে কলেজের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন।

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    রংপুরের মিঠাপুকুরে একটি কলেজের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদ ও পূর্বের নাম পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা। কলেজের পূর্বের নাম বৈরাতী ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়। যা পরিবর্তন করে আশিকুর রহমান ডিগ্রী মহাবিদ্যালয় করা হয়েছে।
    রবিবার (১৮ আগষ্ট) দুপুরে কলেজ মাঠে পূর্বের নাম বহাল রেখে অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবী করেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।
    এসময় বক্তব্য রাখেন, অত্র প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি হামিদ মিয়া, সাবেক শিক্ষার্থী, রুবেল সাদী, রওশন আবির, রফিকুল ইসলাম, এলাকাবাসীর পক্ষে নয়ন মিয়া প্রমুখ।
    মানববন্ধন চলাকালে রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনের সাবেক সাংসদ এইচএন আশিকুর রহমানকে একজন চিহ্নিত রাজাকার আখ্যা দিয়ে বক্তারা বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই কলেজ নির্মানে সাবেক সংসদ সদস্যের কোন ভূমিকা নেই। এলাকাবাসীর উদ্যোগে ১৯৯৪ সালে সকলের সহযোগিতায় বৈরাতীহাটের প্রান কেন্দ্রে কলেজটি গড়ে ওঠে বলে প্রতিষ্ঠানটির নাম বৈরাতী ডিগ্রী মহাবিদ্যালয় করা হয়। অধ্যক্ষ হাসান ইমাম শামীমের যোগসাজসে কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে বলে অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবী করেন বিক্ষোভকারীরা। এছাড়াও অধ্যক্ষের অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা সহ নিয়মিত কলেজে না আসার তীব্র সমালোচনা করেন বক্তারা।

  • কোনো অঘটন ঘটিয়ে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির সুযোগ আমরা কাউকে দেবো না : ডা.শফিকুর রহমান

    কোনো অঘটন ঘটিয়ে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির সুযোগ আমরা কাউকে দেবো না : ডা.শফিকুর রহমান

    ডেস্ক রিপোর্টঃ

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা.শফিকুর রহমানের সাথে জাকের পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার, (১৬ই আগষ্ট) বিকেলে রাজধানীর পল্টনস্থ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, জাকের পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মু. নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য যথাক্রমে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির, এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন, মুহাম্মদ কামাল হোসাইন, ড. আব্দুল মান্নান, জাকের পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট আবু লতিফ খান সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
    আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ছাত্র জনতার বিপ্লবে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। তাদের পরিবারের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমরা একটা পরিচ্ছন্ন সমাজ গড়ে তুলতে চাই। শহীদ ও আহতদের পরিবারে সফর করার সময় আমরা তাদের মাঝে যে স্পৃহা ও দৃঢ়তা দেখেছি তা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে।
    তিনি বলেন, ছাত্র জনতার এই বিপ্লব পরবর্তীতে কিছু কিছু যায়গায় বিশৃঙ্খলা চলছে এটা আমরা লক্ষ্য করছি। মানুষের জমি দখল, সম্পদ দখল, লুটতরাজ এধরনের জঘন্য কাজে কিছু দুষ্কৃতিকারী নেমে গেছে। আমরা এগুলোকে ঘৃণা করি তিরস্কার জানায়। দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, সমাজ জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা এবং অতীতে যেসব ভুল হয়েছে সেসব ভুলে আর যেন দেশে পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। সবার প্রাপ্য অধিকার এখানে নিশ্চিত করতে হবে।
    তিনি আরও বলেন, দেশকে সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘুর ভিত্তিতে ভাগ করা যাবে না। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে যে লোকটা এদেশে জন্মগ্রহণ করেছে তিনিই দেশের গর্বিত নাগরিক। বাংলাদেশ আমাদের সবার। এদেশের বৈধ সকল নাগরিকের প্রতি আমাদের সমান দরদ রয়েছে। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান বা বিপ্লবের সূচনালগ্ন থেকেই আমরা বিভিন্ন ধর্মের লোকদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমূহে নিজেদের ভাইদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়ে আসছি। কারণ অনেকেই অঘটন ঘটিয়ে দেশে অস্থিরতা তৈরি করতে চায়, আমরা তাদেরকে সে সুযোগ দেবো না।
    জাকের পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার বলেন, জামায়াতে ইসলামী ও জাকের পার্টি বাংলাদেশের অন্যতম বড় ইসলামী রাজনৈতিক দল। আমরা দেশ গড়ার জন্য, এদেশের মানুষকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আজকে আমরা মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়েছি। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সকলে মিলে আমাদের এই দেশকে সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করবো।