Category: রাজনীতি

  • স্বপদে বহাল ১২নং মিলনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আতিয়ার রহমান সরকার

    স্বপদে বহাল ১২নং মিলনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আতিয়ার রহমান সরকার

    মোঃ সুজা উদ্দিন

    স্বপদে বহাল হলেন রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ১২নং মিলনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ  আতিয়ার রহমান সরকার।
    বুধবার, (২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) বিষয়টি নিশ্চিত করেন ১২নং মিলনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও স্থানীয় লোকজন।
    এ বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, গত (২২/০৯/২০২৪ইং) তারিখে চাল বিতরণে অভিযোগ এনে আমাকে জোর পূর্বক পদত্যাগ করানো হয়েছে।
    এবিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট একটি অভিযোগ পত্র দেই।
    আমার বিষয়ে চাল বিতরণে আনীত অভিযোগ অসত্য প্রমাণিত হওয়ায় আমি আজ বুধবার, (২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪), আমার অফিসে এসে আসন গ্রহন করি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী, জামাত-বিএনপির ইউনিয়ন প্রতিনিধি  নিয়ে চাল বিতরণের কার্যক্রম শুরু করি।

  • দীর্ঘ ১১ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্য রাজনীতিতে  ছাত্রশিবির

    দীর্ঘ ১১ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্য রাজনীতিতে  ছাত্রশিবির

    নাগরিক কথা ডেস্কঃ

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসনের সঙ্গে মিটিং  করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ১১টি রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের প্রথম সারির নেতারা। ক্যাম্পাসের উদ্ভূত নানান বিষয় নিয়ে হওয়া এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শীর্ষ দুই নেতা। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ১১ বছর পর প্রকাশ্যে আসল শিবির। সভায় প্রতিটি ছাত্র সংগঠনের নেতারা ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানান।
    সবশেষ ২০১৩ সালে ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে মিছিল সমাবেশ করেছিল শিবির।
    শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) উপাচার্যের লাউঞ্জে দুই দফায় রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    দুই দফা বৈঠকে বেলা সাড়ে ১১টায় ছাত্র শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম ও সাহিত্য সম্পাদক রেজাউল করিম শাকিল, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের আহ্বায়ক কমিটির সাজেদুল ইসলাম ও প্রজ্ঞা চৌধুরী, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের পক্ষ থেকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আতিক চৌধুরী, নৃবিজ্ঞান নাইম উদ্দিন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আদনান আজিজ অংশ নেন।
    শিবির সভাপতি সাদিক কায়েম বলেন, গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশার আলোকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মেধার রাজনীতি চায়, প্রশাসনের কাছে এমন দাবি রেখেছি আমরা। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি, ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কোনো প্রাজ্ঞ সিদ্ধান্ত নয়। গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশার আলোকে ছাত্ররাজনীতি গড়ে উঠবে। গত ১৫ বছরে ধরে ছাত্ররাজনীতির নামে জুলুমতন্ত্র চলে আসছে। আমরা এটার অবসান চাই। আমরা মেধার ভিত্তিতে রাজনীতি, শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের রাজনীতি চাই।
    শিবির সভাপতি বলেন, আমরা ইনক্লুসিভ ছাত্র রাজনীতি চাই। এখানে কোনো বিভাজন থাকবে না। শিক্ষার্থীরা তাদের কথা বলার অধিকার পাবে, স্বাধীনতা পাবে। প্রত্যেকেই তাদের আদর্শ চর্চা করবে কিন্তু কেউ কাউকে বলপ্রয়োগ করে চাপিয়ে দিতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির সংস্কার কেমন হবে তা নিয়ে আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকল ছাত্র-সংগঠনগুলোকে নিয়ে একটি পলিসি ডিসকাশনের আহ্বান করেছি। সেখানে ছাত্র-সংগঠনগুলো তাদের মতামত তুলে ধরবে।
    আজকের আলোচনায় আর কী কী বিষয় ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা দ্রুত ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি। আর ফ্যাসিস্টদের দোসরদের দ্বারা তৈরি সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।

  • ধর্ম যার যার, নিরাপত্তার অধিকার সবারঃ তারেক রহমান

    ধর্ম যার যার, নিরাপত্তার অধিকার সবারঃ তারেক রহমান

    নাগরিক কথা ডেস্কঃ

    ধর্ম যার যার, নিরাপত্তার অধিকার সবার মন্তব্য করে হিন্দু সম্প্রদায়কে নির্ভয়ে দুর্গাপূজার উৎসব পালনের আহ্ববান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
    শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্মানে এক শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ মন্তব্য করে সবাইকে দুর্গাপূজার অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান। এতে সারা দেশ থেকে কয়েকশ হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্য অংশ নেন।

    তারেক রহমান বলেন এ বাংলাদেশ আপনার-আমার, আমাদের সবার। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক সব ক্ষেত্রে সমান অধিকার ভোগ করবে এটাই বিএনপির নীতি, এটাই বিএনপির রাজনীতি। আমাদের দল বিএনপি বিশ্বাস করে, দল-মত-ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার।’

    তারেক রহমান বলেন আগামী মাসেই আপনাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এ উপলক্ষে আমি আপনাদের আগাম শুভেচ্ছা জানাই। ইনশাআল্লাহ আপনারা প্রত্যেকে উৎসব উদযাপন করুন নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে, নিরাপদে।’
    মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বাসী বলুন আর অবিশ্বাসী বলুন কিংবা সংস্কারবাদী প্রত্যেকটি নাগরিক রাষ্ট্র বা সমাজে যার যার ধর্মীয় রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক অধিকারগুলো স্বচ্ছন্দে বিনাবাধায় উপভোগ করবে। এমন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মাণের জন্যই মুক্তিযোদ্ধারা লাখো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন।

    তারেক রহমান বলেন- কে মুসলমান, কে হিন্দু, কে বৌদ্ধ, কে খ্রিস্টান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমাদের এমন কোনো জিজ্ঞাসা কিন্তু ছিলো না। আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু এসব নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি-অবাঙালি বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী কিংবা সংস্কারবাদী প্রতিটি নাগরিকের একমাত্র পরিচয় আমরা বাংলাদেশি।
    গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনে সবচেয়ে বড় উদাহরণ। গত ১৫ বছরে যা হয়েছে আপনারা দেখেছেন। সারা দেশে আইনের শাসন ছিল না বলেই কিন্তু প্রধান বিচারপতি হয়েও এসকে সিনহাকে অবিচারের শিকার হতে হয়েছিল। পলাতক স্বৈরাচারের আমলে আদালত আর আয়নাঘর একাকার হয়ে গিয়েছিল। সুতরাং সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকটি নাগরিকের অধিকার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে রাষ্ট্র ও সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।
    তিনি বলেন,আমি মনে করি নিজ নিজ অধিকার রক্ষায় প্রত্যেকটি নাগরিকের ভোটের অধিকার একটি কার্যকরী শক্তিশালী অস্ত্র। যতদিন পর্যন্ত মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান অর্থাৎ দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের প্রত্যেকটি নাগরিক নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে নিজের ভোট দিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারবেন, ততদিন পর্যন্ত কোনো নাগরিকের নিরাপত্তা ও অধিকার সুরক্ষিত নয়।

    তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছি পাশাপাশি হিন্দু, মুসলমান,বৌদ্ধ, খ্রিস্টন দাঁড়িয়ে। এখন আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতার কথা বলছি। এটা আমাদের রক্ষা করতে হবে। এখানে যারা চক্রান্ত করছে, আবার সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এদের পরাজিত করতে হবে।

    সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে সবাইকে নিয়ে রাজনীতি করা। একটা ভয়াবহ দানবকে একটা অবিশ্বাস্য বিপ্লবের মধ্য দিয়ে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, দীর্ঘ ১৫ বছর লড়াই করে বিজয় অর্জন করেছি। তারপর এই বিপ্লবকে নস্যাৎ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র হয়েছে, চক্রান্ত হয়েছে। এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। আপনাদেরও এর ভেতরে ফেলে দেবার চেষ্টা করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, যেটা আমরা সবসময় আপত্তি জানিয়েছি। ইন্ডিয়ার সাংবাদিকরা এসেছিল দলে দলে। সবাইকে একটা কথা আমরা বলেছি, এই পরিবর্তনের ফলে যেটুকু ঘটেছে সেটা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক। সেটা কোনোভাবে সাম্প্রদায়িক নয়। আজকে আবার একই চক্রান্ত শুরু হয়েছে পাবর্ত্য চট্টগ্রামে। দেখুন এগুলোকে বিচ্ছিন্ন করে দেখবেন না। আজকে সেখানে একইভাবে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এটা কিন্তু আমাদের অবশ্যই রুখে দাঁড়াতে হবে। আসুন আমরা ভবিষ্যতে যেন একটি রেইনবো নেশন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করতে পারি তারেক রহমানের নেতৃত্বে সে পথে আমরা এগিয়ে যাই।

    বিএনপির ধর্মবিষয়ক সহসম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু এবং হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব তপন দের যৌথ পরিচালনায় শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার, ফেনীর কামাক্ষা চন্দ, খাগড়াছড়ির অজয় সেনগুপ্ত, সাভারের উত্তম ঘোষ, খুলনার সুজনা জলি, বরিশালের সঞ্জয় গুপ্ত, অবসরপ্রাপ্ত টিভি প্রযোজক মনোজ সেন গুপ্ত, গৌড় সিনহা প্রমুখ বক্তব্য দেন।

    ইসকানের চারু চন্দ্র্র দাস ব্রহ্মচারী, চট্টগ্রাম অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গোস্বামী, মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, গুলশান পূজা কমিটির জেএল ভৌমিক, পান্না লাল দত্ত, হিন্দু মহাজোটের সুশান্ত কুমার চক্রবর্তী, হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের নির্মল রোজারিও প্রমুখ বক্তব্য দেন।

    অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, কেন্দ্রীয় নেতা জয়ন্ত কুমার কুন্ড, আবদুল বারী ড্যানি, অর্পনা রায়, রমেশ দত্ত, দেবাশীষ রায় মধু, সুশীল বড়ুয়া, জনগোমেজ, মিল্টন বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় এবং হিন্দু,বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের নেতারা সক্রিয় ভাবে উপস্থিত ছিলেন।

  • জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ শেরপুর উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে ল্যাপটপ উপহার দিলেন শেরপুর প্রেসক্লাবে।

    জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ শেরপুর উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে ল্যাপটপ উপহার দিলেন শেরপুর প্রেসক্লাবে।

    নাগরিক কথা ডেস্কঃ

    উন্নত জাতি বিনির্মাণে সাংবাদকিরা অগ্রণী ভূমকিা পালন করে। দেশ ও জাতির উন্নয়নে সাংবাদিকদের ভূমিকা অতি গুরুত্বর্পূণ একটি বিষয়। সাংবাদিকরা হলেন জাতির বিবেক। তাঁদের লেখনির মাধ্যমে সমাজের বাস্তব চিত্র ফুটে উঠে। কিন্তু বিগত পনের বছর সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ করে রাখা হয়েছিল। তাই সাংবাদিকরা সঠিক কথা লিখতে পারেননি। তবে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিজয়ের পর আপনারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন। হলুদ সাংবাদিকতা বর্জন করে সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলার সাহস দেখাতে হবে। বস্তুনিষ্ঠ ও নির্ভিক সংবাদিকতার ক্ষেত্রে যে কোনো ধরণের বাধা, হুমকি-ধামকি, হামলা-মামলার বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শেরপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ¦ দবিবুর রহমান এসব কথা বলেন। শহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডস্থ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ওই মতবিনিময়সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি নিমাই ঘোষ। আর অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান।সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা নাজমুল হক, সহকারি সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ মোস্তাফিজ নাসিম, প্রচার সেক্রেটারি ইফতেখারুল ইসলাম, সাংবাদিকদের মধ্যে সাপ্তাহিক তথ্যমালা পত্রিকার সম্পাদক সুজিত কুমার বসাক, সাপ্তাহিক বিজয় বাংলার সম্পাদক আকরাম হোসাইন, শেরপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সবুজ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে জামায়াত নেতারা সন্ত্রাসী হামলায় বির্ধ্বস্ত শেরপুর প্রেসক্লাবের উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। সেইসঙ্গে দলটির পক্ষ থেকে প্রেসক্লাবে কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের হাতে একটি ল্যাপটপ তুলে দেন নেতারা।

  • রংপুরে আওয়ামিলীগ নেতা তুষার কান্তি মন্ডলের ০৭ দিনের রিমান্ড মন্জুর

    রংপুরে আওয়ামিলীগ নেতা তুষার কান্তি মন্ডলের ০৭ দিনের রিমান্ড মন্জুর

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    রংপুরে আওয়ামিলীগ নেতা তুষার কান্তি মন্ডলের ০৭ দিনের রিমান্ড মন্জুর আদালত।
    আজ বৃহস্পতিবার, (১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) রংপুর মহানগর আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডলের ৭ দিনের রিমান্ড মন্জুর করেন বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালত, রংপুর। তাকে জিআর ৩৮৬/২৪ (কোতয়ালী), ৩৮৭/২৪ (কোতয়ালী), ৪০১/২৪ (কোতয়ালী), ৪০২/২৪ (কোতয়ালী), ৪০৩/২৪ (কোতয়ালী) মূলে গ্রেফতারপূর্বক বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় জিআর ৩৮৭/২৪ (কোতয়ালী) মূলে ভিকটিম আব্দুল্লাহ আল তাহির হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উক্ত আসামীর ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড মন্জুর করেন। তার বিরুদ্ধে অন্যান্য মামলাগুলি তদন্তাধীন আছে।
    উল্লেখ্য যে, গত ১৭/০৯/২০২৪ তারিখ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর সাভার এলাকার একটি বাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

  • বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

    মাসুদ হোসেন খানঃ

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, মাদারীপুর জেলা শাখার প্রতিনিধিদের  সঙ্গে  জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুজ্জামান, বিপিএম এর সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪) সকাল ১১.০০ ঘটিকায় জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার এর সভাপতিত্বে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    মত বিনিময় সভায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মাদারীপুর  প্রতিনিধিগন জেলা পুলিশকে কোন রূপে দেখতে চান তার একটি রূপরেখা পুলিশ সুপার এর নিকট প্রদান করেন। প্রতিনিধিগন পুলিশকে সকল প্রকার রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত থেকে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে জনগণের পুলিশ হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান সেই সাথে তারা দেশ ও জাতীর বৃহৎ কল্যাণে পুলিশের সকল কার্যক্রমে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

    মাদারীপুর জেলায় সদ্য যোগদানকৃত পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুজ্জামান,বিপিএম বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিদের সাথে একমত পোষণ করে মাদারীপুর জেলা পুলিশ নতুন রূপে জনগণের সেবায় নিয়োজিত থেকে জনকল্যাণে কাজ করবে মর্মে আশ্বাস প্রদান করেন। পুলিশি কার্যক্রমে তিনি ছাত্র জনতাসহ জেলার আপামার জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেন।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা পুলিশের সকল অফিসার বৃন্দ।

  • মাদারীপুরে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

    মাদারীপুরে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

    মাসুদ হোসেন খানঃ

    মাদারীপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। সোমবার ( ৯ সেপ্টেম্বর  ২০২৪) বিকালে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল মাদারীপুর জেলা শাখার আয়োজনে শহরের পাঠককান্দি এলাকায় আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্যে দিয়ে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন  মাদারীপুর জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি: তানিয়া সুলতানা লাইজু,সহ-সভাপতি: ইয়াসমিন আক্তার মনি,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: হাসিনা বেগম,সাংগঠনিক সম্পাদক: লাইজু আক্তার,এবং আরো উপস্থিত ছিলেন  মাদারীপুর জেলা যুবদলের আহবায়ক: ফারুক বেপারি, জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক: মিজান শিকদার সহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • জাতীয় নাগরিক কমিটি” নামে  নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা!

    জাতীয় নাগরিক কমিটি” নামে  নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা!

    নাগরিক কথা ডেস্কঃ

    প্রথমে কোটা সংস্কার আন্দোলন দিয়ে শুরু , সেই আন্দোলন থেকে সরকার পতনের এক দফা দাবি। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গণঅভ্যুত্থানের মুখে সরকার প্রধানের দেশ ছেড়ে পলায়ন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন দেশের ছাত্র-জনতা।
    শেখ হাসিনা সরকার পতনের এক মাসের মাথায় এবার নতুন সংগঠন হিসেবে আত্নপ্রকাশ ঘটেছে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তৈরি প্লাটফর্ম জাতীয় নাগরিক কমিটি।
    রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ৫৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।
    সংগঠনের পক্ষে কমিটি ঘোষণা করেন আহ্বায়ক মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য। সংগঠনের সদস্য সচিব হিসেবে গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আখতার হোসেন ও মুখপাত্র হিসেবে রয়েছেন সামান্তা শারমিন।
    লিখিত বক্তব্যে মুখপাত্র সামান্তা বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে কাজ শুরু করছে। অচিরেই সকল মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্ব এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে আমরা আলোচনা করবো। তৃণমূল পর্যন্ত এ কমিটির বিস্তৃতি ঘটানোর মাধ্যমে আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংহত করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাব।
    অনুষ্ঠানে আহ্বায়ক কমিটির কিছু প্রাথমিক কাজ ঘোষণা করা হয়েছে। তা হলো- ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হওয়া সামষ্টিক অভিপ্রায় ও গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সমুন্নত রাখা; ছাত্র-জনতার ওপর সংঘটিত নির্মম হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ;
    রাষ্ট্রের জরুরি সংস্কার ও পুনর্গঠন করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা ও জবাবদিহিতার পরিসর তৈরি; বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক উদ্যোগের সাথে আলোচনা, মত বিনিময় ও গণমুখী কর্মসূচির মাধ্যমে সর্বস্তরের জনতাকে সংহত করার লক্ষ্যে কাজ করা; দেশের সর্বস্তরের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্বকে সংহত করে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা সমুন্নত করে রাখার লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদী কাঠামো ও শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখা; জনস্বার্থের পক্ষে নীতি নির্ধারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে বিষয়ভিত্তিক সংলাপের আয়োজন করা; রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতি নির্ধারণী প্রস্তাবনা তৈরি ও সেটা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ ও গণপরিষদ গঠন করে গণভোটের মাধ্যমে নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান তৈরির জন্য গণ-আলোচনার আয়োজন করা।
    জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- আরিফুল ইসলাম আদীব, সাইফ মোস্তাফিজ, মনিরা শারমিন, নাহিদা সারোয়ার চৌধুরি, সারোয়ার তুষার, মুতাসিম বিল্লাহ, আশরাফ উদ্দিন মাহদি, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, অনিক রায়, জাবেদ রাসিন, মো. নিজাম উদ্দিন, সাবহানাজ রশীদ দিয়া, প্রাঞ্জল কস্তা, মঈনুল ইসলাম তুহিন, আব্দুল্লাহ আল আমিন, হুযাইফা ইবনে ওমর, শ্রবণা শফিক দীপ্তি, সায়ক চাকমা, সানজিদা রহমান তুলি, আবু রায়হান খান, মাহমুদা আলম মিতু, অলিক মৃ, সাগুফতা বুশরা মিশমা, সৈয়দ হাসান ইমতিয়াজ, তাসনিম জারা, মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, মো. আজহার উদ্দিন অনিক, মো. মেসবাহ কামাল, আতাউল্লাহ, এস. এম. শাহরিয়ার, মানজুর-আল- মতিন, প্রীতম দাশ, তাজনূভা জাবীন, অর্পিতা শ্যামা দেব, মাজহারুল ইসলাম ফকির, সালেহ উদ্দিন সিফাত, মুশফিক উস সালেহীন, তাহসীন রিয়াজ, হাসান আলী খান, মো. আব্দুল আহাদ, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, মশিউর রহমান, আতিক মুজাহিদ, আবদুল্ল্যাহ আল মামুন ফয়সাল, মো. ফারহাদ আলম ভূঁইয়া, তানজিল মাহমুদ, এস.এম. সুজা, মো. আরিফুর রাহমান, কানেতা ইয়া লাম লাম,  সৈয়দা আক্তার, স্বর্ণা আক্তার, সালমান মুহাম্মাদ মুক্তাদির, আকরাম হুসেইন।
    কমিটি ঘোষণা শেষে নাসীরুদ্দিন বলেন, আমরা কোনো ব্যক্তি বা দলীয় এজেন্ডাকে সামনে রাখছি না। আমরা পুরো বাংলাদেশকে সামনে রাখছি। তরুণদের একটা প্লাটফর্ম গঠন করব। যেখানে বাংলাদেশের প্রশ্নে সবাই এক থাকবে। একটা হলো রাষ্ট্র এবং রাজনৈতিক দল হলো তার একটি অংশ মাত্র। আমরা রাষ্ট্র পুনর্গঠন করব। রাষ্ট্রের অধীনে অনেক প্রতিষ্ঠান থাকে। প্রত্যেকটা খাতে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ করব। সেখানে যদি কোনো দলের পুনর্গঠনের প্রয়োজন হয়, তা হবে।
    তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি ১৯৭১ সালের পর নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত হয়েছে, ১৯৯০ সালে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত হয়েছে, কিন্তু সেগুলো ব্যর্থ হয়েছে। তাই ২০২৪ সালে এসে আমাদেরকে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে হবে।
    সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, সারা দেশ থেকে আগ্রহীরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। আমরা ইতোমধ্যে একটি গুগল ফর্ম ছেড়েছি। সামনের দিনে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে আমরা সরাসরি কথা বলে কমিটি গঠন করব।

  • মিঠাপুকুরে জামায়াত সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার অভিযোগ

    মিঠাপুকুরে জামায়াত সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার অভিযোগ

    নাগরিক কথা ডেস্কঃ

    রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ভাংনী ইউনিয়নের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। বন্যার্তদের সহযোগিতার নামে নগদ টাকা সংগ্রহ করে আত্মসাতের চেষ্টাকালে চেয়ারম্যান বাঁধা দেওয়ায় এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।

    শনিবার (৩১ আগস্ট) রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ।

    এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভাংনী ইউপি চেয়ারম্যানের ভাতিজা ফাহিম মুনতাসীর ওয়াহেদী।
    অভিযোগসূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভাংনী ইউনিয়নে বন্যার্তদের সাহায্যের নামে ‘আল মা আরিজ যুব সংগঠন’র ব্যানারে নগদ প্রায় ২ লাখ টাকা কালেকশন করে কাগজীপাড়া গ্রামের মোতাকাব্বের হোসেনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ। কালেকশনের টাকা বন্যার্তদের সহযোগিতায় না পাঠিয়ে টালবাহানার কারণে দ্বন্দ্ব বিবাদ লাগে সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে। এই বিষয়টি জানাজানি হলে ইউপি চেয়ারম্যান উত্তোলিত টাকা বন্যার্তদের সহযোগিতায় সরকারি ফান্ডে পাঠাতে বলে। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ভাংনী ইউনিয়নের কাগজীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দোলনের ইন্ধনে মোতাকাব্বের হোসেন, রিয়াল মিয়া, নাঈম মিয়া, মোরছালিন মিয়া, এনামুল হক হলুদ, তাজমুল হোসেন, রুকু মিয়াসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জনসহ লাঠি, লোহার রড ও দা নিয়ে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। হামলার পূর্বে চেয়ারম্যানের বসতবাড়িতে অবস্থিত হোমিওপ্যাথিক ফার্মেসিতে প্রবেশ করে দরজা, টেলিভিশন, চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করে আনুমানিক ৩৯ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে ও ক্যাশ টেবিলের ড্রয়ার থেকে ৮৬ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং চলে যাওয়ার সময় দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্য হত্যা করার হুমকি প্রদান করে।

    ভাংনী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মোতাকাব্বের ছেলেটি নিজের শারীরিক প্রতিবন্ধীটাকে পুঁজি করে মাঝে মধ্যেই বিধবা ভাতাসহ সমাজকল্যাণ বিভাগের বিভিন্ন কাজ নিয়ে আমার কাছে তদবির করতে আসে। আমি কোনো তদবিরকারীকে প্রশ্রয় না দেওয়ায় আগে থেকেই ক্ষিপ্ত ছিলেন আমার ওপর। সর্বশেষ শনিবার রেজিস্ট্রেশনবিহীন সংগঠনের নামে বন্যার্তদের সহযোগিতার অজুহাতে কালেকশনকৃত নগদ অর্থ নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষয়ে জানতে পেরে জনপ্রতিনিধি হিসেবে সরকারি ফান্ডে জমা দিতে বলি। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সাবেক স্বৈরাচারের দোসরদের উস্কানিতে আমার অনুপস্থিতিতে বসতবাড়িতে হামলা চালিয়েছে। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

    এ বিষয়ে মিঠাপুকুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান শিমুল জানান, এক বছর হয়নি আমাদের জামায়াত সমর্থিত পায়রাবন্দ ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সে হত্যার রহস্য আজও উদঘাটন হয়নি। আবারও আমাদের উপজেলার আরেক ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যার উদ্দেশে বসতবাড়িতে হামলা চালানো হলো। আমরা বড় কোনো দুর্ঘটনার পূর্বে এই অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
    মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
    (তথ্য সূত্র- সংগ্রহীত)

  • জামালপুরে বিএনপির ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    জামালপুরে বিএনপির ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    খোরশেদ আলমঃ

    জামালপুরে বন্যার্তদের জন্য সাহায্য চেয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    রবিবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্টেশন বাজারস্থ জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আইনজীবী ফজলুল হকের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম খান সজীবের সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মো: ওয়ারেছ আলী মামুন। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো: লিয়াকত আলী, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক খান দুলাল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোকছেদুর রহমান হারুন, সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান আহাম্মেদ খান লোটন, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আব্দুল্লাহ আল মাসুদ প্রমুখ।

    আলোচনা সভা শেষে সকল নেতাকর্মীদের মধ্যে থেকে বন্যার্তদের সহায়তার জন্য ত্রাণের অর্থ সংগ্রহ করা হয়।
    আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।