Category: নিহত

  • মিঠাপুকুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা “শ্রী অনিল চন্দ্র মহন্তের মৃত্যু

    মিঠাপুকুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা “শ্রী অনিল চন্দ্র মহন্তের মৃত্যু

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ১১নং বড়বালা ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা “শ্রী অনিল চন্দ্র মহন্তের মৃত্যু হয়েছে।
    জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা “শ্রী অনিল চন্দ্র মহন্ত দীর্ঘদিন অসুস্থ অবস্থায় থাকা কালে আজ শনিবার, (১৪ সেপ্টেম্বর,২০২৪) সকাল ০৯ ঘটিকার সময় মৃত্যু বরন করেছেন।
    রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে “বীর মুক্তিযোদ্ধা “শ্রী অনিল চন্দ্র মহন্তকে উপজেলার ১১নং ইউনিয়নের ছড়ান হিন্দু পাড়ায় “পাকা বিল্ডিং বাড়ি” করে দেওয়া হয়েছে । জীবনের শেষ কালে তিনি এই বাড়িতেই কাটিয়েছেন।
    তাঁর এক ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে।
    ওনার কিছু তথ্য নিন্মে তুলে ধরা হলো:
    নামঃ শ্রী অনিল চন্দ্র মহন্ত।
    মুক্তিযোদ্ধার নম্বরঃ ০১৮৫০০০০৯৩০
    পিতার নামঃ যতিন চন্দ্র মহন্ত।
    মাতার নামঃ কুনজ বালা।
    গ্রামঃ ছড়ান। ডাকঘরঃ ছড়ান। উপজেলাঃ মিঠাপুকুর।
    জেলাঃ রংপুর।

  • রংপুরের পীরগঞ্জে বিদ্যুৎ স্পর্শে নির্মাণ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু

    রংপুরের পীরগঞ্জে বিদ্যুৎ স্পর্শে নির্মাণ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    রংপুরের পীরগঞ্জে মোতাল্লেব হোসেন (১৫) নামের এক শিশু শ্রমিক বিদ্যুৎ স্পর্শে প্রাণ হারানোর ঘটনা ঘটেছে । নিহত মোতাল্লেব হোসেন  উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের নিচ কাবিলপুর গ্রামের মৃত- মোঃ হাসান আলীর পুত্র।

    বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পূর্বে পীরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন (ওসমানপুর) একটি বহুতল ভবনের ৩য় তলায় কাজ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশে পীরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শঠিবাড়ি মহাবিদ্যালয়ের সাবেক প্রভাষক আব্দুল গফুর মিয়ার একটি বহুতল ভবনের কাজ চলছিল। ভবনের পাশ দিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পল্লী বিদ্যুৎ এর প্রধান তার। ভবনের ৩য় তলায় কাজ করার সময় অসাবধানতাবসত শিশু শ্রমিক মোতাল্লেব ওই তারে জড়িয়ে পড়লে গোটা শরীর কালো হয়ে ৩য় তলা থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
    ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

  • ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে দুই সহোদর ভাইয়ের সলিল সমাধি

    ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে দুই সহোদর ভাইয়ের সলিল সমাধি

    মাসুদ হোসেন খানঃ

    মাদারীপুরে জেলার গোপালপুর ইউনিয়ন পূয়ালি এলাকার মিলন মুন্সী ও আল আমিন মুন্সী চার মাস আগে অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্য লিবিয়ার ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে দুই ভাই মিলন মুন্সী ও আল আমিন মুন্সীর মৃত্যু হয়েছে। চার মাস পর বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) পরিবারে মৃত্যুর খবর আসলে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। এবং এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।

    দুই ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে তাদের গ্রামের বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের মাতম। এই ঘটনায় অবৈধ পথে বিদেশে মানবপাচারকারী দালালের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। এ বিষয়ে আইনগত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

    একসঙ্গে দুই সন্তানের মৃত্যুতে, এ শোক কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না মা মায়া বেগম। আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে আশপাশের পরিবেশ। দুই ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে বাড়িতে ছুটে আসছেন এলাকার প্রতিবেশীরা। কোন ভাবেই থামছেনা স্বজনদের আহাজারি।

    জানা যায়, ৭ মাস আগে ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইতালির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পশ্চিম পূয়ারী গ্রামের সিরাজ মুন্সীর ছেলে মিলন মুন্সী (৩৫) ও আল আমিন মুন্সী (৩২)। মাঝপথে লিবিয়া গিয়ে তারা অবস্থান করেন।

    পরে গত ২৭ এপ্রিল লিবিয়া থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় অর্ধশত মানুষের সঙ্গে ইতালির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে দুই ভাই। ভূমধ্যসাগরে পৌঁছালে বহনকারী নৌকাডুবিতে দুই সহোদরের মৃত্যু হয়। বিষয়টি দীর্ঘদিন গোপন থাকলেও চারমাস পর বুধবার সকালে মিলন ও আল আমিনের মৃত্যু খবর আসলে পরিবারে শুরু হয় শোকের মাতম।

    স্বজনরা জানায়, মানবপাচারকারী চক্রের অন্যতম সদস্য গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরহাদ মাতুব্বর সহজভাবে ইতালি নেয়ার প্রলোভন দেয়। এতে ধারদেনা করে ৩০ লাখ টাকা দালালের হাতে তুলে দেয় স্বজনরা। একদিকে স্বজন হারানোর শোক, অন্যদিকে ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় দুই ভাইয়ের পরিবার। এই ঘটনায় জড়িত দালালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।

    ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত ফরহাদ মাতুব্বর। গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। বিস্তারিত জানতে ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে নিহত মিলনের পরিবারে মা-বাবা স্ত্রী ও তিন বছরের এক ছেলে রয়েছে। আর আল আমিনের সংসারে স্ত্রী ও এক বছরের এক ছেলে রয়েছে।

    ছেলেহারা মা মায়া বেগম বলেন, ফরহাদ চেয়ারম্যান প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা নেয়। তখন বলেছিল, সুন্দরভাবে আমার দুই ছেলেকে ইতালি পাঠাবে। কিন্তু এভাবে আমার দুই ছেলের মৃত্যু হবে, এটা মেনে নিতে পারছি না। এই ঘটনার বিচার চাই। আর ধারদেনা পরিশোধে সরকারের সহযোগিতা চাই।

    মিলন ও আল আমিনের খালা আনোয়ারা বেগম বলেন, একসঙ্গে দুই ভাইয়ের মৃত্যু, এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিল ওই দুই ভাই। দালাল ফরহাদ মাতুব্বর এই ঘটনার জন্য দায়ী, এর বিচার চাই।

    এবিষয়ে সুজন তালুকদার নামে একজন বলেন, দালাল ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ মাতুব্বর দীর্ঘদিন ধরে এলাকার যুবকদের প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাঠানোর নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এই ফরহাদ মাতুব্বর মানবপাচার চক্রের শীর্ষ সক্রিয় সদস্য, তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও সবসময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে সে। তার কঠিন বিচার দাবি করছি।

    ডাসার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ইতালি যাবার পথে দুই ভাইয়ের মৃত্যুর খবরটি বিভিন্ন অনলাইনের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। নিহতের পরিবার থেকে এখনও কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ আসলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    ডাসার উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ জানান, মিলন ও আল আমিনের পরিবার থেকে এখনও এবিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয় নাই। তবে, খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। এছাড়া মানবপাচারের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

     

  • রংপুরে অটোভ্যান চালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার

    রংপুরে অটোভ্যান চালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার

    নিউজ ডেস্কঃ

    রংপুরের পীরগঞ্জে মমতাজ আলী (৬২) নামে এক ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি পার্শ্ববর্তী মিঠাপুকুর উপজেলার ১১নং বড়বালা ইউনিয়নের একডালা গ্রামের মৃত মিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।

    শনিবার সকালে পীরগঞ্জের চৈত্রকোল ইউনিয়নের দানিশ নগর গ্রাম সংলগ্ন আখ ক্ষেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
    পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার দুপুরে মমতাজ আলী অটোভ্যান নিয়ে বাড়ি সংলগ্ন ছড়ান হাটে গিয়ে আর ফিরে আসেননি।

    শনিবার সকালে হাত বাধা, মাথা ও মুখ রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার ধারে রাজা মিয়ার আখ ক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে অন্যত্র হত্যা করে লাশ ওই স্থানে ফেলে যাওয়া হয়েছে।

    নিহতের ছেলে ফারুক মিয়া ও মেয়ে খুকিমাই এ হত্যাকাণ্ডকে পরিকল্পিত হত্যা জানিয়ে বলেন, বাবার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তার সহোদর ভাইদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এরই জেরে তাকে খুন করা হয়েছে।
    এনিয়ে উভয় পক্ষের মামলা পাল্টা মামলাও রয়েছে।
    ভেন্ডাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রমেক মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

    তথ্য সূত্র – বাংলাদেশ প্রতিদিন

  • সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে রংপুরে হত্যা মামলা

    সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে রংপুরে হত্যা মামলা

    নিউজ ডেস্কঃ

    জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ও রংপুর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি আমলি আদালতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী মুসলিম উদ্দিন মিলনের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার (৩২) এই মামলাটি করেন।

    মামলায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জাকির হোসেন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান, রংপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজাহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুসাইন মোহাম্মদ রায়হান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু আশরাফ সিদ্দিকী, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক সংসদ সদস্য নাছিমা জামান ববি, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক প্রামাণিক, আওয়ামী লীগ নেতা রাশেক রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছায়াদাত হোসেন বকুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শফিয়ার রহমান সাফি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল। এছাড়া আরও অনেককে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

    এই মামলাটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সিটি বাজার এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়। এসময় ৮ থেকে ১৭ নম্বর পর্যন্ত  আসামিদের প্ররোচনা ও উস্কানিতে ১ থেকে ৭ নম্বর আসামিদের নির্দেশে ২, ৩, ৪, ৬ ও ৭ নম্বর আসামিসহ হেলমেট পরিহিত পুলিশ সদস্যরা এলোপাথাড়ি গুলি ছোঁড়ে। এতে মিলন গুলিবিদ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে আসামিদের চাপে মরদেহের ময়নাতদন্ত না করেই তড়িঘড়ি করে দাফন করা হয়েছে।

  • সাবেক এমপি শিবলী সাদিকের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় আরও একটি হত্যা মামলা

    সাবেক এমপি শিবলী সাদিকের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় আরও একটি হত্যা মামলা

    নিউজ ডেস্কঃ

    দিনাজপুর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিবলী সাদিকের নামে আরও একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।

    সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে  শিবলি সাদিকসহ আওয়ামী লীগের মোট ৬৪ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন মোঃ রবিউল ইসলাম নামের একজন লোক। ওনার ছেলে ও ছেলের দুই বন্ধুকে হত্যার অভিযোগে মামলাটি করেন তিনি।

    এর আগে, গত ৫ আগস্ট হাকিমপুর পৌর শহরে সাবেক পৌর মেয়র জামিল হোসেনের বাড়িতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া দুই যুবককে তুলে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা, লাশ গুম ও হত্যার ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে বাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগে মোঃ সুজন নামে এক, লোক বাদী হয়ে গত ১৯ আগস্ট সকালে হাকিমপুর থানায় মামলা করেছেন।

    সোমবার হওয়া হত্যা মামলার বাদী মোঃ রবিউল ইসলাম নবাবগঞ্জ উপজেলার উত্তর শ্যামপুর গ্রামের মৃত আবদুস সামাদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক। এই মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- দিনাজপুর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের ছোট ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজওয়ার মোহাম্মদ ফাহিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান (মানিক), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সায়েম সবুজ, দপ্তর সম্পাদক মো. শামসুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহিনুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন ও ছাত্রলীগ নেতা জামাল বাদশা। এই মামলায় আরও অনেককে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

  • রংপুর কারাগারে এক কয়েদি নিহত

    রংপুর কারাগারে এক কয়েদি নিহত

    রবিন চৌধুরী রাসেল রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

    রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রফিকুল নামের এক কয়েদির লাঠির আঘাতে বাহারুল বাদশা নামের আরেক কয়েদি নিহত হয়েছেন।

    শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকাল সোয়া ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান দুপুর সোয়া ১টার দিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ঘটনার বিবরণিতে জানা যায়, শুক্রবার সকাল সোয়া ৮টার পর কারাগারের ভেতরে গাছ থেকে আমড়া পেড়ে খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রফিকুল ও বাহারুল নামের দুই কয়েদির মধ্যে ঝগড়া বাধে। ঝগড়ার একপর্যায়ে রফিকুল ক্ষুব্ধ হয়ে বাহারুলকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। কারাগারের নার্স এসে বাহারুলের শরীরের পালস পাচ্ছিলেন না।

    তাকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় কয়েদিদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। একপর্যায়ে কারারক্ষীদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারারক্ষীরা ফাঁকা গুলি ছুড়েন। রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান ও ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কারাগারে যান।

    সেখানে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিক্ষুব্ধ কয়েদিদের সঙ্গে কথা বলে শান্ত থাকার জন্য আহ্বান জানান। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের পীরগঞ্জের বাহাদুর মিয়ার ছেলে বাহারুল বাদশা শুক্রবার সকালে তার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্দিদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

    এ ঘটনায় কারাগারের ভেতরে বিক্ষুব্ধরা বিক্ষোভ শুরু করলে কারাপুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। কারাগারের আশপাশের ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়রা গুলির বিকট শব্দ শুনতে পায় বলে নিশ্চিত করেন।

    জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, কারাগারের অভ্যন্তরে ও বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় শাহজাহান ও মোতালেব নামের দুই কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।