Category: ধর্ম

  • মহানবী (সা:)কে অবমাননার প্রতিবাদে ফুলবাড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

    মহানবী (সা:)কে অবমাননার প্রতিবাদে ফুলবাড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    ভারতের মহারাষ্ট্রে হিন্দু পণ্ডিত রামগিরি মহারাজ কর্তৃক মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে অবমাননা কর বক্তব্য প্রদান ও বিজেপি বিধায়ক নিতেশ রানা সেই অবমাননাকে সমর্থন করায় তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    (শুক্রবার)বাদ জুমা ফুলবাড়ী নিমতলা মোড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে থেকে ফুলবাড়ী তৌহিদি জনতার ব্যানারে,
    ফুলবাড়ীর আপামর তৌহিদী জনতার একটি বিশাল মিছিল বের হয়।মিছিলটি ফুলবাড়ী শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নিমতলা মসজিদের সামনে এসে জমায়েত হয়।
    মিছিল শেষে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।সমাবেশে সাংবাদিক আলামিন বিন আমজাদ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নিমতলা মোড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শাহাদাত উল্লাহ, কানাহার মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবু মুসা মোহাম্মদ, শিক্ষা সচিব মুফতি নাজিবুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি রবিউল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, বাস স্ট্যান্ড জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক।বক্তারা জানান,পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) কে যারা অবমাননা করেছে তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।অন্যথায় যেভাবে ভারতের মুসলিমরা বোম্বাই অভিমুখে লংমার্চ করেছে ঠিক অনুরূপভাবে পুরো বিশ্বের মুসলমানরা ভারত অভিমুখী লংমার্চ করবে ইনশাআল্লাহ।

  • নবাবগঞ্জে মুফতি আমির হামজার কুরআন মাহফিলে ১০ সনাতনী হিন্দু সদস্যের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ!

    নবাবগঞ্জে মুফতি আমির হামজার কুরআন মাহফিলে ১০ সনাতনী হিন্দু সদস্যের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ!

    নাগরিক কথা ডেস্কঃ

    দিনাজপুরের  নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া বাজারে গত বৃহস্পতিবার, (১২সেপ্টেম্বর,২০২৪), রাতে ভাদুরিয়া আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাজিদিয়া হাফিজিয়া ও এতিমখানা মাদ্রাসা ৯ম বার্ষিকী তাফসীরুল কোরআন মাহফিল এতিম খানা হাফিজিয়া মাদ্রাসায় বিএডিসি উপ প্রধান প্রকৌশলী ডাবলু এর সভাপতিত্বে কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
    এতে প্রধান বক্তা হিসেবে আল আল কুরআন তাফসির বায়ান করেন প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন মুফতি আমির হামজা কুরআন মাহফিলে পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক পরিবারের ১০ জন সনাতন ধর্ম অবলম্বী( হিন্দু) সদস্যরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তারা হলেন শ্রীমতি অজিতন (৭৫) বর্তমান মুসলিম আমিছা শ্রী: কন্দল(৫০) বর্তমানে মুসলিম হযরত আলী, শ্রী ফেলানী (৪৫) বর্তমানে মুসলিম ফাতেমা খাতুন, রূপম কুমার(৩২) বর্তমানে মুসলিম হাসান মাহমুদ,শ্রী আগুন দাস(২০) বর্তমানে মুসলিম মো: আবীর হোসেন, শ্রীমতি বৃষ্টি (১৫ ) বর্তমানে মুসলিম ফারিয়া জান্নাত, টুপি রানী (২৭) বর্তমানে মুসলিম জামিলা খাতুন, শ্রী জয় (১০) বর্তমানে মুসলিম মো: জুনায়েদ, শ্রীমতি জয়া (৭) বর্তমানে মুসলিম নাম মোছা: হাসনাহেনা শ্রী মতি জ্যোতি(৬) বর্তমানে মুসলিম নাম মোছা: হুমায়রা।

    ✅ ভিডিও লিংক – https://youtu.be/pycRQ4WrKLM?si=koka2EmPn5FDl6kq

  • মিঠাপুকুর মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পেশ ইমাম কে সাময়িক বরখাস্থ

    মিঠাপুকুর মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পেশ ইমাম কে সাময়িক বরখাস্থ

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার “মিঠাপুকুর মডেল মসজিদের পেশ ইমাম মো:আখেরুজ্জামান আজাদীর বিরুদ্ধে  ব‍্যাপক দুর্নীতি  ও অর্থ আত্মসাৎের অভিযোগ এসেছে।
    উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে মিঠাপুকুর মডেল মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বৃহস্পতিবার,(০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪), মোঃ আখিরুজ্জামান, পেশ ইমাম, মিঠাপুকুর মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিঠাপুকুরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

    এ প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে আনীত সূত্রস্থ অভিযোগে তাকে কেন স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেয়া হবে না, আগামী ৭ (সাত) কার্য দিবসের মধ্যে এ মর্মে কারন দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।
    উল্লেখ্য তার অনুপস্থিতিতে মুয়াজ্জিন, মিঠাপুকুর মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পেশ ইমামের রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন।

    উল্লেখ্য, এর আগে  মিঠাপুকুর উপজেলা মডেল মসজিদের এই ইমামের নামে ভূয়া এতিমখানা ও মাদ্রাসা দেখিয়ে (ছয়-টন) এতিমদের জন্য বরাদ্দ দেয়া চাল আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছিলো।
    তবে, ইমাম আখিরুজ্জামানের সঙ্গে গণমাধ্যমের কথা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, আমি পরিস্থিতির স্বীকার। আমাকে ব্যবহার করা হয়েছে। কে ব্যবহার করেছে, জানতে চাইলে তিনি জানান, মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়! সময় হলে সব জানতে পারবেন। এই বলে তিনি সংবাদ প্রকাশে বিরত থাকার অনুরোধ জানান সে সময়।

  • আলজেরিয়ায় কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন রংপুরের হাফেজ হুজাইফা।

    আলজেরিয়ায় কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন রংপুরের হাফেজ হুজাইফা।

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথমস্থান অধিকার করেছেন রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার “হাফেজ মুহাম্মাদ হুজাইফা। বিশ্বজয়ী এই হাফেজ ক্বারী “নাজমুল হাসান পরিচালিত তাহফিজুল কুরআন ওয়াসসুন্নাহ মাদরাসার ছাত্র।

    জানা গেছে গত ২০ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া প্রতিযোগিতাটি শেষ হয় ৩০ আগস্টে। এতে অংশ নেয় বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নাইজেরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাফেজ প্রতিযোগীরা।
    প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছেন নাইজেরিয়ার সুমাইয়া মুদ্দাসসির, তৃতীয় হয়েছেন সেনেগালের বিদারা ও চতুর্থস্থান অধিকার করেছেন পাকিস্তানের মুহাম্মাদ বাশার।

    আলজেরিয়ার আশ-শারুক্ব টিভিতে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বটি প্রচারিত হবে।

    হাফেজ মুহাম্মাদ হুজাইফার বয়স ১০ বছর। সে রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার মনিরুজ্জামানের ছেলে।
    এর আগে এ বছরেই অনুষ্ঠিত তানজানিয়ায় অনুষ্ঠিত আরেকটি আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো হুজাইফা। কয়েক মাসের ব্যবধানে আবারও বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার গৌরব অর্জন করলো।

    হুজাইফা এবং তার ওস্তাদের জন্য শুভ কামনা রইলো। আল্লাহ তাআলা যেন হুজাইফা কে বিশ্ববরেণ্য আলেম হিসেবে কবুল করেন। আমিন।

  • মাইনকার চিপায় ওরা! দেশপ্রেমের বিকাশ হোক সবার অন্তরে

    মাইনকার চিপায় ওরা! দেশপ্রেমের বিকাশ হোক সবার অন্তরে

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    আমাদের দেশে ‘মাইনকার চিপা’ বলে একটা কথা প্রচলিত রয়েছে। কোথা থেকে কথাটির উৎপত্তি আমার জানা নেই। তবে কথাটির অর্থ অনেকেরই জানা।

    এটা নিয়ে একটি গানও রয়েছে –
    জনপ্রিয় বাংলাদেশি কণ্ঠশিল্পী হায়দার হোসেনের। “আমি ফাইসা গেছি, আমি ফাইসা গেছি,আমি ফাইসা গেছি, মাইনকার চিপায়।আমারও দিলের চোট বোঝে না কোনো হালায়।

    মুলত, ‘মাইনকার চিপা’ বলতে এমন এক অসহনীয় অবস্থার কথা বোঝায়, যখন কারও ওপর বিপরীতমুখী ভিন্ন ভিন্ন দিক থেকে সৃষ্টি হওয়া ‘অবস্থার-চাপ’ এমনই বোঝা হয়ে ওঠে যে, তার পক্ষে কোনোদিকে এদিক-সেদিক করেও শান্তি পাওয়ার পথ থাকে না। এটি একটি মারাত্মক ও অনতিক্রমযোগ্য উভয় সংকটের দুঃসহ পরিস্থিতি।

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে টিকতে না পেরে শেখ হাসিনা ৫ আগষ্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান, সেনাপ্রধান অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে ৮ আগস্ট ২০২৪ এ ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে  অন্তবর্তীকালীন সরকার শপথ গ্ৰহণ করে।

    শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও পালাতে পারিনি অনেক বড় বড় আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা! পর্যায়ক্রমে অনেকেই গ্রেফতার হচ্ছেন প্রশাসনের হাতে।
    শেখ হাসিনার ১৫ বছরের স্বৈরশাসনে দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে তৈরি হয়েছিলো অসংখ্য আওয়ামী পাতি-নেতা। শহর-বন্দর থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত এদের কার্যক্রম ছিলো অতি জঘন্য। মফস্বল কেন্দ্রিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা গুলোতে নিয়োগ বানিজ্য, অধিকাংশ প্রাইমারি স্কুলগুলোতে অক্ষর জ্ঞানহীন অদক্ষ সভাপতি বানানো। সরকারি খাস জমি দখল,চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ধর্ষন,  মাদকের কারবার সহ কি না করতো তারা।

    এ সমস্ত পাতি নেতারা  ৫ আগষ্টের পর হতে পড়ে গেছে মাইনকার চিপায়! শহর-বন্দর,হাটে-বাজারে, রাস্তা-ঘাটে কোথাও দেখা মিলেছেনা তাদের। চিপায় পড়ে গেছে। একদম মাইনকার চিপায়।

    এবার আসুন বাস্তব কিছু কথা-বার্তায়ঃ
    দেশকে ভালবাসা মানুষের জন্মগত প্রবৃত্তি। আমরা এ সম্পর্কে সচেতন না থাকলেও এটা আমাদের হৃদয়ের গভীরে সুপ্ত থাকে। দেশের অপমান, দেশবাসীর দুঃখ-দৈন্যে, দেশের দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে, দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হলে, দেশকে নিয়ে কেউ উপহাস বা কটাক্ষ করলে এ অনুভূতি জেগে উঠে।

    ১৯৭১ সালের মতো ২০২৪ সালে এসেও দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে। প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলো অকাতরে শত শত শিক্ষার্থীরা । মাটি ও মানুষের জন্যে গভীর মমতা না থাকলে এটা কোনোদিন সম্ভব হতো না। দেশপ্রেম থাকা চাই বৈদেশিক আগ্রাসনকে প্রতিহত করার জন্যে। ইতিহাস বার বার এটাই প্রমাণ করেছে যে, দেশপ্রেমিক জাতি শত্রুর কাছে কখনও পরাজিত হয় না। সে জাতির অন্তরে জ্বলতে থাকে দেশপ্রেমের আগুন অনির্বাণ শিখার ন্যায়।

    শুধু সংগ্রামী রূপ ধারণ করেই আবির্ভূত হয় না দেশপ্রেম। সত্যিকার দেশপ্রেম হচ্ছে দেশকে গড়ে তোলার সাধনা করা। দেশের সচেতন নাগরিকদের কারো অজানা নয় যে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করাটাই কঠিন। দেশকে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলাটাই দেশবাসীর লক্ষ্য হওয়া উচিত।

    আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, দেশপ্রেম ঈমানেরই অঙ্গ।
    আসুন সকলে মিলে দেশটা নতুন করে সাজাই। প্রতিশোধের নেশায় পড়ে কারো বাড়ী ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আঘাত  না করি। প্রতিশোধের ভিতর কোনো কল্যাণ নেই। ক্ষমা করে দেওয়াই উত্তম।

    যদি কাউকে শাস্তি পেতে হয়, তবে সেটা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী হবে। আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই।

    লেখকঃ সাংবাদিক, মোঃ সুজা উদ্দিন

  • জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা আওয়ামী লীগের চরম সীমালঙ্ঘন

    জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা আওয়ামী লীগের চরম সীমালঙ্ঘন

    ডেস্ক নিউজঃ

    বরগুনা জেলা শাখার আমির মো. মহিবুল্লাহ হারুন বলেছেন, ১ আগস্ট জামায়াত ইসলামকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ চরম সীমালঙ্ঘন করেছে। আর এ কারণেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার তোপে দীর্ঘ ১৫ বছরের ক্ষমতা ছেড়ে করুণ অবস্থায় বিদায় নিতে হয়েছে তাদের।
    রোববার (১৮ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে বরগুনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জামায়াত ইসলামীর জেলা শাখা ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
    জামায়াতে ইসলামী বরগুনা জেলা শাখার জেলা আমির মো. মহিবুল্লাহ হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় নেতাকর্মীরা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। তাদের দীর্ঘ শাসনামলে সবথেকে বেশি কারাভোগসহ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন জামায়াত ইসলামের নেতাকর্মীরা। এখন আমরা মুক্ত হয়েছি। তবে আমরা কেউ প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে চাই না। আমরা সব ভুলে নতুন করে বাংলাদেশ গড়ার কাজ করতে চাই।

  • আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর ১ম শাহাদাত বার্ষিকী আজ।

    আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর ১ম শাহাদাত বার্ষিকী আজ।

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    বিশ্ব বরেণ্য আলেম, লক্ষ আলেমের ওস্তাদ,  জালিমের আতঙ্ক মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী (রহঃ) এর আজ ১ম শাহাদাত বার্ষিকী আজ।
    দীর্ঘদিন তাঁকে অন্যায় ভাবে কারাগারে রাখা হয়েছিলো।গত বছরের আজকের দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত দেখিয়ে ৮৩ বছর বয়সে তাঁকে মেডিকেলে ভর্তি করান।
    মেডিকেলে তাঁকে বিনা চিকিৎসায় নির্মম ভাবে শহীদ করা হয়েছে । মহান আল্লাহপাক হুজুরের মৃত্যুকে শাহাদাতের মৃত্যু হিসেবে কবুল করুন । প্রিয় রাহবর মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদি আল্লাহ আপনাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের উচ্চ মাক্বাম দান করুক। আমিন।

  • সম্প্রীতির আলোয় উদ্ভাসিত হোক প্রিয় বাংলাদেশ

    সম্প্রীতির আলোয় উদ্ভাসিত হোক প্রিয় বাংলাদেশ

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। আবহমানকাল থেকেই এ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিদ্যমান। এ দেশের প্রাকৃতিক দৃশ্য যেমন সৌন্দর্যময় তেমনি এর অধিবাসীদের ধর্মীয় বিশ্বাসও বৈচিত্রময়। আমাদের দেশের জনগণ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-মুসলমানসহ বিভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসী। এ দেশের অধিবাসীরা বাঙালি, মণিপুরি, চাকমা, মারমা প্রভৃতি নৃগোষ্ঠীতে বিভক্ত হলেও একক পরিচয়ে আমারা বাংলাদেশী।
    যে দেশে হিন্দু ভাইয়ের দোকান থেকে জিলাপি বা মিষ্টি কিনে মসজিদে মিলাদ পড়ানো হয়।
    কোন মুসল্লি এটা নিয়ে চিন্তা না করে নিশ্চিন্তে মিলাদ শেষে জিলাপি খেতে খেতে বাড়ি যায়।
    যে দেশে চা এর দোকানে একই কাপে হিন্দু-মুসলিম চা খেয়ে যুগের পর যুগ বসবাস করছি আমরা। কারো মাথায় এটা নিয়ে ব্যাথা-বেদনা নেই।
    যে দেশে হিন্দুদের দাওয়াতে অধিকাংশ লোক থাকে মুসলিম এলাকাবাসী, বন্ধুবান্ধব মুসলিমদের দাওয়াতেও খুব স্বাভাবিকভাবে হিন্দুরা অংশ নেয়। এতে কেউই কিছু মনে করে না।
    যে দেশে সামাজিক কোন অনুষ্ঠানে একই টেবিলে একই প্লেটে হিন্দু-মুসলিম পাশাপাশি বসে খাবার খাই আমরা।
    যে দেশে পাবলিক বাসে, রিক্সায়, ক্লাসের বেঞ্চে পাশাপাশি বসে দিব্যি চলাফেরা করে হিন্দু-মুসলিম। কারো কোন সমস্যা নেই।
    যে দেশে মসজিদ আর মন্দির একই এলাকায় আছে অনেক জায়গায়। দুই পক্ষই ইবাদত করছে। কারোরই কোন অসুবিধা হয়না যুগ যুগ ধরে।
    অনেকেই আছে যারা হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। অনেকেই হিন্দু মুসলিম একসঙ্গে এক বেডে থাকে।
    যে দেশে পূজার ছুটিতে বাড়িতে গেলে বন্ধুর জন্য তার পূজার নাড়ু নিয়ে আসে, মুসলিম বন্ধু ঈদে বাড়িতে গেলে কোরবানি ঈদের খাসির মাংস নিয়ে যায় হিন্দু বন্ধুর জন্য।
    যে দেশে হিন্দু বন্ধু মুসলিম বন্ধুূের সঙ্গে মিলেমিশে ইফতার পর্যন্ত করে।
    সে দেশে হুট করে স্বৈরাচারী সরকার পালানোর পরে কোন ধরনের গুজব শুরু হলো..???
    বিশ্বের আর কোন দেশে এরকম সুন্দর দৃষ্টান্ত দেখাতে পারবেন??
    এত সুন্দর সম্প্রীতি আমার জানামতে আর কোথাও নেই। ভারতে সেটা কল্পনাও করা যায়না। তবুও এত কথা কেন? এত মিথ্যা প্রোপাগান্ডা কেন ছড়ানো হচ্ছে? কিছু মানুষ এর জন্য দায়ী। এরা গভীর ষড়যন্ত্র করছে বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ । কিন্তু এরা সফল হয়নি, সফল হতে পারবেনা ইনশা-আল্লাহ। কারন আমাদের দেশের মানুষ সত্যিকার অসাম্প্রদায়িক, আমরা হিন্দু-মুসলিম বিভেদ করিনা। আমাদের ভিতরে ঘষেটি বেগম কারা তা সবারই যানা।
    প্রতিটি ধর্মে কিছু খারাপ মানুষ আছে। তাদের জন্য সবাইকে দোষ দেওয়া কি ন্যায় সম্মত?
    একটা দল বা গোষ্ঠী দেখাতে চাচ্ছে আমরা বাংলাদেশ থেকে সরে আসার পরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়ে গেছে। এখুনি সময় সেটা রুখে দিতে হবে।।

    মোঃ সুজা উদ্দিন। সাংবাদিক।
    রংপুর,বাংলাদেশ।

  • মিঠাপুকুরের বড়বালা ইউনিয়নে রাতভর মন্দির পাহারা দিয়েছে ছাত্র-জনতা ও জামাত-বিএনপির নেতাকর্মীরা।

    মিঠাপুকুরের বড়বালা ইউনিয়নে রাতভর মন্দির পাহারা দিয়েছে ছাত্র-জনতা ও জামাত-বিএনপির নেতাকর্মীরা।

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের পর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ও বাসাবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের খবর ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও মন্দির রক্ষার জন্য রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ১১নং বড়বালা ইউনিয়নে রাত জেগে বিভিন্ন মন্দির পাহারা দিয়েছে ছাত্র-জনতা, জামাত-শিবির এবং বিএনপি’র নেতাকর্মীরা । লুটপাট, নৈরাজ্য ও সহিংসতা প্রতিরোধে এই পাহারা দেওয়া হচ্ছে।
    ইউনিয়নের আরাজি শিবপুর মাঝি পাড়ার মন্দিরে মোঃ মাহবুবের নেতৃত্বে ৮-১০ জন যুবক, অন্যদিকে ছড়ান হিন্দু পাড়া ও মৌলিগড়ে  বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীর অন্যতম নেতা মোঃ মামুনুর রশিদ ও বিএনপি নেতা বাবুল মিয়া, ও শাফি মিয়ার নেতৃত্বে ১৫-২০ জন পাহারা দিতে দেখা গেছে।
    এছাড়াও, ছড়ান হিন্দু পাড়া গ্রামের  অধিকাংশ লোকজন  লাঠি সোটা নিয়ে পাহারা দেয়।
    জামাতে ইসলামীর ইউনিয়ন নেতা মোঃ মামুনুর রশিদ বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ও বাসাবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের আশঙ্কায় আমরা এই পাহার ব্যবস্থা করেছি।
    দেশের অবস্থা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত এটা চলমান থাকবে।
    বিএনপি নেতা বাবুল মিয়া বলেন, আমাদের ভাইদের কেউ যাতে কোনো ক্ষতি করতে না পারে সে জন্য আমরা পাহারা দিচ্ছি।
    বিএনপি নেতা সৌরভ বলেন, আমরা কোন ধর্মীয় স্থাপনায় আঘাত চাই না, শান্তি চাই। আমরা একসাথে বসবাস করতে চাই। যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এজন্য আমাদের লোকজন  সারারাত জেগে পাহারা দিচ্ছে।
    এ বিষয় নিয়ে ছড়ান হিন্দু পাড়ার বাসিন্দা শ্রী সুমন চন্দ্র   বলেন, আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি,ছাত্র-জনতা ও জামাত-বিএনপির ভাইয়েরা আমাদের হিন্দু পাড়া পাহারা দিচ্ছেন দেখে খুবই ভালো লাগতেছে ।
    আমরা চাই, সকলেই মিলেমিশে বসবাস করতে।

  • জুমার দিনে বিশেষ ৪ আমল

    জুমার দিনে বিশেষ ৪ আমল

    জুমার দিন মুসলমানদের কাছে পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। দিনটিকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে। এ বিষয়ে রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ এ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিনরূপে নির্ধারণ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। (সুনানে ইবনে মাজা)

    জুমার দিনে বিশেষ আমল

    দোয়া করা

    জুমার দিনের দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন। তাই এদিন আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করা উচিত। হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জুমার দিনে এমন একটা সময়ে রয়েছে, যাতে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর ক‍াছে যা চাই আল্লাহ তাই দেন। অতএব তোমরা আছরের শেষ সময়ে তা তালাশ কর। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮, নাসাঈ, হাদিস : ১৩৮৯)

    বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা

    জুমার দিনের ফজিলতপূর্ণ আরেকটি আমল হচ্ছে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। রাসুল (সা.) বলেন, দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিনই সর্বোত্তম। এ দিনে আদমকে (আ.) সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এ দিনে শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে। এ দিনে সমস্ত সৃষ্টিকে বেহুঁশ করা হবে। অতএব তোমরা এ দিনে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ কর। কেননা, তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)

    তাড়াতাড়ি মসজিদে আগমন

    হজরত আউস ইবনে আউস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলকে (সা.) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করাবে (জুমার নামাজের পূর্বে স্ত্রী-সহবাস করে তাকেও গোসল করাবে) এবং নিজেও গোসল করবে অথবা উত্তমরূপে গোসল করবে। এরপর ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে আসবে, আসার সময় হেঁটে আসবে, কোনো বাহনে চড়বে না, ইমামের কাছাকাছি বসবে, এরপর দুটি খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং (খুতবার সময়) কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না, সে মসজিদে আসার প্রতিটি পদক্ষেপে একবছর নফল রোজা ও একবছর নফল নামাজের সওয়াব পাবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৫)

    সুরা কাহাফ তিলাওয়াত

    জুমার দিনে সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নুর এ জুমা হতে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মিশকাত ২১৭৫)।

    হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহিহ মুসলিম : ৮০৯, আবু দাউদ : ৪৩২৩)

    হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে ৮ দিন পর্যন্ত সব ধরনের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকেও নিরাপদ থাকবে।