Category: জাতীয়

  • বদরগঞ্জে “ছাত্র,যুব ও সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশ” নামে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

    বদরগঞ্জে “ছাত্র,যুব ও সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশ” নামে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার ১৫নং লোহানিপাড়া ইউনিয়নে ছাত্র, যুব ও সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশন নামের  একটি অ-রাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আত্মপ্রকাশ করেছেন। শনিবার  (২৪ আগস্ট, ২০২৪) ছাত্র, যুব ও সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে  শান্তি সুরক্ষা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত শান্তি সুরক্ষা মিছিলে, সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ সংগঠনটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বক্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরেন ।
    সংগঠনটির লক্ষ্যঃ
    ◾মাদক, গাঁজা, জুয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ।
    ◾সামাজিক বনায়নের গাছ চুরির সিন্ডিকেট এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ।
    ◾অন্যায়, দূর্নীতি, জুলুম এর বিরুদ্ধে সোচ্চার।
    ◾ হত দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
    ◾সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ
    ◾বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী।
    ◾এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করা।
    ◾স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী। ইত্যাদি।

  • মাইনকার চিপায় ওরা! দেশপ্রেমের বিকাশ হোক সবার অন্তরে

    মাইনকার চিপায় ওরা! দেশপ্রেমের বিকাশ হোক সবার অন্তরে

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    আমাদের দেশে ‘মাইনকার চিপা’ বলে একটা কথা প্রচলিত রয়েছে। কোথা থেকে কথাটির উৎপত্তি আমার জানা নেই। তবে কথাটির অর্থ অনেকেরই জানা।

    এটা নিয়ে একটি গানও রয়েছে –
    জনপ্রিয় বাংলাদেশি কণ্ঠশিল্পী হায়দার হোসেনের। “আমি ফাইসা গেছি, আমি ফাইসা গেছি,আমি ফাইসা গেছি, মাইনকার চিপায়।আমারও দিলের চোট বোঝে না কোনো হালায়।

    মুলত, ‘মাইনকার চিপা’ বলতে এমন এক অসহনীয় অবস্থার কথা বোঝায়, যখন কারও ওপর বিপরীতমুখী ভিন্ন ভিন্ন দিক থেকে সৃষ্টি হওয়া ‘অবস্থার-চাপ’ এমনই বোঝা হয়ে ওঠে যে, তার পক্ষে কোনোদিকে এদিক-সেদিক করেও শান্তি পাওয়ার পথ থাকে না। এটি একটি মারাত্মক ও অনতিক্রমযোগ্য উভয় সংকটের দুঃসহ পরিস্থিতি।

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে টিকতে না পেরে শেখ হাসিনা ৫ আগষ্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান, সেনাপ্রধান অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে ৮ আগস্ট ২০২৪ এ ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে  অন্তবর্তীকালীন সরকার শপথ গ্ৰহণ করে।

    শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও পালাতে পারিনি অনেক বড় বড় আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা! পর্যায়ক্রমে অনেকেই গ্রেফতার হচ্ছেন প্রশাসনের হাতে।
    শেখ হাসিনার ১৫ বছরের স্বৈরশাসনে দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে তৈরি হয়েছিলো অসংখ্য আওয়ামী পাতি-নেতা। শহর-বন্দর থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত এদের কার্যক্রম ছিলো অতি জঘন্য। মফস্বল কেন্দ্রিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা গুলোতে নিয়োগ বানিজ্য, অধিকাংশ প্রাইমারি স্কুলগুলোতে অক্ষর জ্ঞানহীন অদক্ষ সভাপতি বানানো। সরকারি খাস জমি দখল,চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ধর্ষন,  মাদকের কারবার সহ কি না করতো তারা।

    এ সমস্ত পাতি নেতারা  ৫ আগষ্টের পর হতে পড়ে গেছে মাইনকার চিপায়! শহর-বন্দর,হাটে-বাজারে, রাস্তা-ঘাটে কোথাও দেখা মিলেছেনা তাদের। চিপায় পড়ে গেছে। একদম মাইনকার চিপায়।

    এবার আসুন বাস্তব কিছু কথা-বার্তায়ঃ
    দেশকে ভালবাসা মানুষের জন্মগত প্রবৃত্তি। আমরা এ সম্পর্কে সচেতন না থাকলেও এটা আমাদের হৃদয়ের গভীরে সুপ্ত থাকে। দেশের অপমান, দেশবাসীর দুঃখ-দৈন্যে, দেশের দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে, দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হলে, দেশকে নিয়ে কেউ উপহাস বা কটাক্ষ করলে এ অনুভূতি জেগে উঠে।

    ১৯৭১ সালের মতো ২০২৪ সালে এসেও দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে। প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলো অকাতরে শত শত শিক্ষার্থীরা । মাটি ও মানুষের জন্যে গভীর মমতা না থাকলে এটা কোনোদিন সম্ভব হতো না। দেশপ্রেম থাকা চাই বৈদেশিক আগ্রাসনকে প্রতিহত করার জন্যে। ইতিহাস বার বার এটাই প্রমাণ করেছে যে, দেশপ্রেমিক জাতি শত্রুর কাছে কখনও পরাজিত হয় না। সে জাতির অন্তরে জ্বলতে থাকে দেশপ্রেমের আগুন অনির্বাণ শিখার ন্যায়।

    শুধু সংগ্রামী রূপ ধারণ করেই আবির্ভূত হয় না দেশপ্রেম। সত্যিকার দেশপ্রেম হচ্ছে দেশকে গড়ে তোলার সাধনা করা। দেশের সচেতন নাগরিকদের কারো অজানা নয় যে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করাটাই কঠিন। দেশকে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলাটাই দেশবাসীর লক্ষ্য হওয়া উচিত।

    আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, দেশপ্রেম ঈমানেরই অঙ্গ।
    আসুন সকলে মিলে দেশটা নতুন করে সাজাই। প্রতিশোধের নেশায় পড়ে কারো বাড়ী ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আঘাত  না করি। প্রতিশোধের ভিতর কোনো কল্যাণ নেই। ক্ষমা করে দেওয়াই উত্তম।

    যদি কাউকে শাস্তি পেতে হয়, তবে সেটা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী হবে। আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই।

    লেখকঃ সাংবাদিক, মোঃ সুজা উদ্দিন

  • পৌর মেয়র, জেলা পরিষদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের অপসারণের প্রজ্ঞাপন জারি

    পৌর মেয়র, জেলা পরিষদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের অপসারণের প্রজ্ঞাপন জারি

    ডেস্ক নিউজঃ

    আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচিত দেশের ৩২৩ পৌরসভার মেয়র, ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ৪৯৩টি উপজেলা চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হয়েছে।
    রোববার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে৷
    দেশের ৩২৩ পৌরসভার মেয়রকে অপসারণ করে স্থানীয় সরকার বিভাগ জানিয়েছে, এতদ্বারা স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৪ এর ধারা ৩২ (ক) প্রয়োগ করে, বাংলাদেশের পৌরসভার মেয়রগণকে স্ব স্ব পদ থেকে অপসারণ করা হলো।
    এছাড়াও ৬০টি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকেও অপসারণ করা হয়েছে। আবার ৪৯৩টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে।
    স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
    ১৬ আগস্ট সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সরকার জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।
    এমন বিধান রেখে ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪, জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ইং এর খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

  • জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা আওয়ামী লীগের চরম সীমালঙ্ঘন

    জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা আওয়ামী লীগের চরম সীমালঙ্ঘন

    ডেস্ক নিউজঃ

    বরগুনা জেলা শাখার আমির মো. মহিবুল্লাহ হারুন বলেছেন, ১ আগস্ট জামায়াত ইসলামকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ চরম সীমালঙ্ঘন করেছে। আর এ কারণেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার তোপে দীর্ঘ ১৫ বছরের ক্ষমতা ছেড়ে করুণ অবস্থায় বিদায় নিতে হয়েছে তাদের।
    রোববার (১৮ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে বরগুনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জামায়াত ইসলামীর জেলা শাখা ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
    জামায়াতে ইসলামী বরগুনা জেলা শাখার জেলা আমির মো. মহিবুল্লাহ হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় নেতাকর্মীরা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। তাদের দীর্ঘ শাসনামলে সবথেকে বেশি কারাভোগসহ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন জামায়াত ইসলামের নেতাকর্মীরা। এখন আমরা মুক্ত হয়েছি। তবে আমরা কেউ প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে চাই না। আমরা সব ভুলে নতুন করে বাংলাদেশ গড়ার কাজ করতে চাই।

  • মিঠাপুকুরে কলেজের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন।

    মিঠাপুকুরে কলেজের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন।

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    রংপুরের মিঠাপুকুরে একটি কলেজের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদ ও পূর্বের নাম পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা। কলেজের পূর্বের নাম বৈরাতী ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়। যা পরিবর্তন করে আশিকুর রহমান ডিগ্রী মহাবিদ্যালয় করা হয়েছে।
    রবিবার (১৮ আগষ্ট) দুপুরে কলেজ মাঠে পূর্বের নাম বহাল রেখে অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবী করেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।
    এসময় বক্তব্য রাখেন, অত্র প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি হামিদ মিয়া, সাবেক শিক্ষার্থী, রুবেল সাদী, রওশন আবির, রফিকুল ইসলাম, এলাকাবাসীর পক্ষে নয়ন মিয়া প্রমুখ।
    মানববন্ধন চলাকালে রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনের সাবেক সাংসদ এইচএন আশিকুর রহমানকে একজন চিহ্নিত রাজাকার আখ্যা দিয়ে বক্তারা বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই কলেজ নির্মানে সাবেক সংসদ সদস্যের কোন ভূমিকা নেই। এলাকাবাসীর উদ্যোগে ১৯৯৪ সালে সকলের সহযোগিতায় বৈরাতীহাটের প্রান কেন্দ্রে কলেজটি গড়ে ওঠে বলে প্রতিষ্ঠানটির নাম বৈরাতী ডিগ্রী মহাবিদ্যালয় করা হয়। অধ্যক্ষ হাসান ইমাম শামীমের যোগসাজসে কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে বলে অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবী করেন বিক্ষোভকারীরা। এছাড়াও অধ্যক্ষের অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা সহ নিয়মিত কলেজে না আসার তীব্র সমালোচনা করেন বক্তারা।

  • কোনো অঘটন ঘটিয়ে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির সুযোগ আমরা কাউকে দেবো না : ডা.শফিকুর রহমান

    কোনো অঘটন ঘটিয়ে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির সুযোগ আমরা কাউকে দেবো না : ডা.শফিকুর রহমান

    ডেস্ক রিপোর্টঃ

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা.শফিকুর রহমানের সাথে জাকের পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার, (১৬ই আগষ্ট) বিকেলে রাজধানীর পল্টনস্থ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, জাকের পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মু. নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য যথাক্রমে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির, এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন, মুহাম্মদ কামাল হোসাইন, ড. আব্দুল মান্নান, জাকের পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট আবু লতিফ খান সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
    আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ছাত্র জনতার বিপ্লবে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। তাদের পরিবারের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমরা একটা পরিচ্ছন্ন সমাজ গড়ে তুলতে চাই। শহীদ ও আহতদের পরিবারে সফর করার সময় আমরা তাদের মাঝে যে স্পৃহা ও দৃঢ়তা দেখেছি তা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে।
    তিনি বলেন, ছাত্র জনতার এই বিপ্লব পরবর্তীতে কিছু কিছু যায়গায় বিশৃঙ্খলা চলছে এটা আমরা লক্ষ্য করছি। মানুষের জমি দখল, সম্পদ দখল, লুটতরাজ এধরনের জঘন্য কাজে কিছু দুষ্কৃতিকারী নেমে গেছে। আমরা এগুলোকে ঘৃণা করি তিরস্কার জানায়। দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, সমাজ জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা এবং অতীতে যেসব ভুল হয়েছে সেসব ভুলে আর যেন দেশে পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। সবার প্রাপ্য অধিকার এখানে নিশ্চিত করতে হবে।
    তিনি আরও বলেন, দেশকে সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘুর ভিত্তিতে ভাগ করা যাবে না। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে যে লোকটা এদেশে জন্মগ্রহণ করেছে তিনিই দেশের গর্বিত নাগরিক। বাংলাদেশ আমাদের সবার। এদেশের বৈধ সকল নাগরিকের প্রতি আমাদের সমান দরদ রয়েছে। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান বা বিপ্লবের সূচনালগ্ন থেকেই আমরা বিভিন্ন ধর্মের লোকদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমূহে নিজেদের ভাইদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়ে আসছি। কারণ অনেকেই অঘটন ঘটিয়ে দেশে অস্থিরতা তৈরি করতে চায়, আমরা তাদেরকে সে সুযোগ দেবো না।
    জাকের পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার বলেন, জামায়াতে ইসলামী ও জাকের পার্টি বাংলাদেশের অন্যতম বড় ইসলামী রাজনৈতিক দল। আমরা দেশ গড়ার জন্য, এদেশের মানুষকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আজকে আমরা মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়েছি। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সকলে মিলে আমাদের এই দেশকে সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করবো।

  • মিঠাপুকুরে দীর্ঘ ১৪ বছর পর জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের মিলনমেলা

    মিঠাপুকুরে দীর্ঘ ১৪ বছর পর জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের মিলনমেলা

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় দীর্ঘ ১৩-১৪ বছর পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে জামাত নেতৃবৃন্দ ও কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতিতে মনমুগ্ধকর এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘসময় অপেক্ষার পর এ যেন  দায়িত্বশীলদের মিলনমেলা।  নেতাকর্মীদের মাঝে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে।
    বৃহস্পতিবার (১৫ আগষ্ট) উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন এর নেতাকর্মীরা জামায়াতে ইসলামীর মিঠাপুকুর উপজেলা কার্যালয়ে সমবেত হয়।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রংপুর  জেলা জামায়াতে ইসলামীর সম্মানীত আমীর মোঃ গোলাম রাব্বানী।
    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা জামায়াতের সম্মানিত সেক্রেটারী মাওলানা মোঃ এনামুল হক।
    মিঠাপুকুর উপজেলা জামায়াতের সম্মানিত আমীর মোঃ জয়নাল আবেদীন মাষ্টার, মিঠাপুকুর উপজেলা জামায়াতের সম্মানিত সেক্রেটারী মোঃ আসাদুজ্জামান শিমুল সহ উপজেলা জামায়াতের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

  • জামালপুর সদর উপজেলার ১৪ নং দিগপাইট ইউনিয়ন বিএনপি’র অবস্থান কর্মসূচি

    জামালপুর সদর উপজেলার ১৪ নং দিগপাইট ইউনিয়ন বিএনপি’র অবস্থান কর্মসূচি

    খোরশেদ আলমঃ

    ১৫ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার ১৪ নং দিগপাইত ইউনিয়ন আদর্শ বটতলায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ আবুল কালাম মাস্টার এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ১৪ নং দিগপাইত ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মোঃ জিয়াউল হক মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফিরোজ আহমেদ ফরিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জামাল উদ্দিন, জেলা ছাত্র দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ালিউল্লাহ অলি, ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: সোহেল রানা, ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রঞ্জু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আলাল উদ্দিন আরো উপস্থিত ছিলেন ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মোঃ সাত্তার মিয়া, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আলামিন প্রমুখ।

  • শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে মিঠাপুকুরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

    শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে মিঠাপুকুরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার দোসরদের বিচারের দাবিতে রংপুরের মিঠাপুকুরে অবস্থান কর্মসূচী ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
    বুধবার, (১৪ আগস্ট), সকালে উপজেলার সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির, আহ্বায়ক একে আজাদ শফিকুলের আয়োজনে, একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
    এ সময় বক্তব্য দিতে গিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলেন, বিগত ১৭ বছর ধরে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে গুম খুন করা হয়েছে। এমনকি ছাত্রজনতার আন্দোলনে গুলি চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছে। আমরা এসব হত্যাকান্ডের বিচারের দাবি জানাই।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির উপজেলার নেতা-কর্মীরা।

  • ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ শরিফুর রহমান বিপিএম এর জামালপুর জেলা সফর

    ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ শরিফুর রহমান বিপিএম এর জামালপুর জেলা সফর

    খোরশেদ আলমঃ

    জামালপুর জেলায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের দৃঢ় মনোবল, কর্মক্ষেত্রে কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি’র লক্ষ্যে বিশেষ রোলকল ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার ১৪ আগস্ট,২০২৪ বেলা ১২ ঘটিকায় ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোহাম্মদ শরিফুর রহমান বিপিএম জামালপুর অফিসার্স মেসে পৌঁছালে ফুলেল শুভেচছা জানান জামালপুর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বিপিএম।
    পরবর্তীতে পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস শেডে এবং জামালপুর সদর থানা কম্পাউন্ডে আয়োজিত বিশেষ রোলকলে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ শরিফুর রহমান বিপিএম।
    পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস শেডে এসএএফ শাখায় কর্মরত উপস্থিত অফিসার-ফোর্সের সাথে কুশল বিনিময় করে অতিরিক্ত ডিআইজি মহোদয় জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষায় নতুন উদ্যমে জেলা পুলিশের সকল সদস্য কাজ শুরু করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পুলিশ সদস্যদের কর্মক্ষেত্রে সূদৃঢ় মনোবল ও কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি’র লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ে ব্রিফিং প্রদান করে উপস্থিত সকলকে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
    এসময় অতিরিক্ত ডিআইজি মহোদয় উপস্থিত অফিসার ও ফোর্সদের সাথে কুশল বিনিময় করে রাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থায় জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষায় নতুন উদ্যমে পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করার আহ্বান জানান ও বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
    এর আগে অতিরিক্ত ডিআইজি মহোদয় জামালপুর অফিসার্স মেসে পৌঁছালে জেলা পুলিশের একটু চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রধান করেন।
    এসময় জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ মাসুদ আনোয়ার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) সোহেল মাহমুদ পিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহরাব হোসেন সহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।