Category: আন্তর্জাতিক

  • জাতিসংঘ অধিবেশনে ছোট প্রতিনিধি দল নিয়ে যাবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

    জাতিসংঘ অধিবেশনে ছোট প্রতিনিধি দল নিয়ে যাবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

    নাগরিক কথা ডেস্কঃ

    প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিউইয়র্কে  জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে (ইউএনজিএ) ছোট একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দান এবং সেখানে এক সপ্তাহেরও কম সময় অবস্থানের পরিকল্পনা করছেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গতকাল সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) এ কথা জানান।
    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁর (ড. ইউনূস) লক্ষ্য থাকবে যত দ্রুত সম্ভব কাজ-কর্ম শেষ করা যায়। সুতরাং, সফরটি ভ্রমণ সময়সহ এক সপ্তাহের বেশি হবে না।

    ইউএনজিএতে সরাসরি দায়িত্বপ্রাপ্তরাই প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হবেন উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, প্রধান উপদেষ্টা প্রতিনিধি দলকে কার্যকর ও যতটা সম্ভব ছোট রাখতে চান।
    তবে সফরের নির্দিষ্ট তারিখ ও মেয়াদ এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে উল্লেখ করেন উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
    পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আগেরদিন রোববার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, অধ্যাপক ইউনূস নিউইয়র্কে অবস্থানকালে সীমিত সংখ্যক সাইডলাইন বৈঠকে অংশ নিতে পারেন।
    তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনায়ও যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

  • কমছে জ্বালানি তেলের দাম, নতুন দাম কার্যকর আজ থেকে

    কমছে জ্বালানি তেলের দাম, নতুন দাম কার্যকর আজ থেকে

    নিউজ ডেস্কঃ

    আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ গত মার্চ থেকে শুরু করেছে সরকার। সেই হিসাব অনুযায়ী প্রতি মাসে নতুন দাম ঘোষণা করা হচ্ছে। এবার ষষ্ঠ দফায় আগামী সেপ্টেম্বর মাসের জন্য ঘোষিত দামে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমেছে ১ টাকা ২৫ পয়সা। পেট্রল ও অকটেনের দাম কমেছে ৬ টাকা।
    জ্বালানি তেলের এই নতুন দাম আজ ০১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। এর আগে আগস্ট মাসে জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত ছিল।

    জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে গত কাল শনিবার প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা।

    পেট্রলের নতুন দাম প্রতি লিটার ১২৭ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১২১ টাকা ও অকটেনের দাম ১৩১ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১২৫ টাকা।
    জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের সূত্র নির্ধারণ করে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি। এতে বলা হয়েছে, দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রল ব্যক্তিগত যানবাহনে অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। তাই বাস্তবতার নিরিখে বিলাসদ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে অকটেন ও পেট্রলের দাম বেশি রাখা হয়।

    অকটেন ও পেট্রল বিক্রি করে সব সময় মুনাফা করে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। মূলত ডিজেলের ওপর বিপিসির লাভ-লোকসান নির্ভর করে। দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৭৫ শতাংশই ডিজেল।
    জ্বালানি তেলের মধ্যে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েল ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করে বিপিসি। আর ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
    (তথ্য সূত্র – সংগ্রহীত)

  • আলজেরিয়ায় কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন রংপুরের হাফেজ হুজাইফা।

    আলজেরিয়ায় কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন রংপুরের হাফেজ হুজাইফা।

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথমস্থান অধিকার করেছেন রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার “হাফেজ মুহাম্মাদ হুজাইফা। বিশ্বজয়ী এই হাফেজ ক্বারী “নাজমুল হাসান পরিচালিত তাহফিজুল কুরআন ওয়াসসুন্নাহ মাদরাসার ছাত্র।

    জানা গেছে গত ২০ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া প্রতিযোগিতাটি শেষ হয় ৩০ আগস্টে। এতে অংশ নেয় বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নাইজেরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাফেজ প্রতিযোগীরা।
    প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছেন নাইজেরিয়ার সুমাইয়া মুদ্দাসসির, তৃতীয় হয়েছেন সেনেগালের বিদারা ও চতুর্থস্থান অধিকার করেছেন পাকিস্তানের মুহাম্মাদ বাশার।

    আলজেরিয়ার আশ-শারুক্ব টিভিতে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বটি প্রচারিত হবে।

    হাফেজ মুহাম্মাদ হুজাইফার বয়স ১০ বছর। সে রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার মনিরুজ্জামানের ছেলে।
    এর আগে এ বছরেই অনুষ্ঠিত তানজানিয়ায় অনুষ্ঠিত আরেকটি আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো হুজাইফা। কয়েক মাসের ব্যবধানে আবারও বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার গৌরব অর্জন করলো।

    হুজাইফা এবং তার ওস্তাদের জন্য শুভ কামনা রইলো। আল্লাহ তাআলা যেন হুজাইফা কে বিশ্ববরেণ্য আলেম হিসেবে কবুল করেন। আমিন।

  • মাইনকার চিপায় ওরা! দেশপ্রেমের বিকাশ হোক সবার অন্তরে

    মাইনকার চিপায় ওরা! দেশপ্রেমের বিকাশ হোক সবার অন্তরে

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    আমাদের দেশে ‘মাইনকার চিপা’ বলে একটা কথা প্রচলিত রয়েছে। কোথা থেকে কথাটির উৎপত্তি আমার জানা নেই। তবে কথাটির অর্থ অনেকেরই জানা।

    এটা নিয়ে একটি গানও রয়েছে –
    জনপ্রিয় বাংলাদেশি কণ্ঠশিল্পী হায়দার হোসেনের। “আমি ফাইসা গেছি, আমি ফাইসা গেছি,আমি ফাইসা গেছি, মাইনকার চিপায়।আমারও দিলের চোট বোঝে না কোনো হালায়।

    মুলত, ‘মাইনকার চিপা’ বলতে এমন এক অসহনীয় অবস্থার কথা বোঝায়, যখন কারও ওপর বিপরীতমুখী ভিন্ন ভিন্ন দিক থেকে সৃষ্টি হওয়া ‘অবস্থার-চাপ’ এমনই বোঝা হয়ে ওঠে যে, তার পক্ষে কোনোদিকে এদিক-সেদিক করেও শান্তি পাওয়ার পথ থাকে না। এটি একটি মারাত্মক ও অনতিক্রমযোগ্য উভয় সংকটের দুঃসহ পরিস্থিতি।

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে টিকতে না পেরে শেখ হাসিনা ৫ আগষ্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান, সেনাপ্রধান অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে ৮ আগস্ট ২০২৪ এ ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে  অন্তবর্তীকালীন সরকার শপথ গ্ৰহণ করে।

    শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও পালাতে পারিনি অনেক বড় বড় আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা! পর্যায়ক্রমে অনেকেই গ্রেফতার হচ্ছেন প্রশাসনের হাতে।
    শেখ হাসিনার ১৫ বছরের স্বৈরশাসনে দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে তৈরি হয়েছিলো অসংখ্য আওয়ামী পাতি-নেতা। শহর-বন্দর থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত এদের কার্যক্রম ছিলো অতি জঘন্য। মফস্বল কেন্দ্রিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা গুলোতে নিয়োগ বানিজ্য, অধিকাংশ প্রাইমারি স্কুলগুলোতে অক্ষর জ্ঞানহীন অদক্ষ সভাপতি বানানো। সরকারি খাস জমি দখল,চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ধর্ষন,  মাদকের কারবার সহ কি না করতো তারা।

    এ সমস্ত পাতি নেতারা  ৫ আগষ্টের পর হতে পড়ে গেছে মাইনকার চিপায়! শহর-বন্দর,হাটে-বাজারে, রাস্তা-ঘাটে কোথাও দেখা মিলেছেনা তাদের। চিপায় পড়ে গেছে। একদম মাইনকার চিপায়।

    এবার আসুন বাস্তব কিছু কথা-বার্তায়ঃ
    দেশকে ভালবাসা মানুষের জন্মগত প্রবৃত্তি। আমরা এ সম্পর্কে সচেতন না থাকলেও এটা আমাদের হৃদয়ের গভীরে সুপ্ত থাকে। দেশের অপমান, দেশবাসীর দুঃখ-দৈন্যে, দেশের দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে, দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হলে, দেশকে নিয়ে কেউ উপহাস বা কটাক্ষ করলে এ অনুভূতি জেগে উঠে।

    ১৯৭১ সালের মতো ২০২৪ সালে এসেও দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে। প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলো অকাতরে শত শত শিক্ষার্থীরা । মাটি ও মানুষের জন্যে গভীর মমতা না থাকলে এটা কোনোদিন সম্ভব হতো না। দেশপ্রেম থাকা চাই বৈদেশিক আগ্রাসনকে প্রতিহত করার জন্যে। ইতিহাস বার বার এটাই প্রমাণ করেছে যে, দেশপ্রেমিক জাতি শত্রুর কাছে কখনও পরাজিত হয় না। সে জাতির অন্তরে জ্বলতে থাকে দেশপ্রেমের আগুন অনির্বাণ শিখার ন্যায়।

    শুধু সংগ্রামী রূপ ধারণ করেই আবির্ভূত হয় না দেশপ্রেম। সত্যিকার দেশপ্রেম হচ্ছে দেশকে গড়ে তোলার সাধনা করা। দেশের সচেতন নাগরিকদের কারো অজানা নয় যে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করাটাই কঠিন। দেশকে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলাটাই দেশবাসীর লক্ষ্য হওয়া উচিত।

    আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, দেশপ্রেম ঈমানেরই অঙ্গ।
    আসুন সকলে মিলে দেশটা নতুন করে সাজাই। প্রতিশোধের নেশায় পড়ে কারো বাড়ী ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আঘাত  না করি। প্রতিশোধের ভিতর কোনো কল্যাণ নেই। ক্ষমা করে দেওয়াই উত্তম।

    যদি কাউকে শাস্তি পেতে হয়, তবে সেটা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী হবে। আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই।

    লেখকঃ সাংবাদিক, মোঃ সুজা উদ্দিন

  • সম্প্রীতির আলোয় উদ্ভাসিত হোক প্রিয় বাংলাদেশ

    সম্প্রীতির আলোয় উদ্ভাসিত হোক প্রিয় বাংলাদেশ

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। আবহমানকাল থেকেই এ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিদ্যমান। এ দেশের প্রাকৃতিক দৃশ্য যেমন সৌন্দর্যময় তেমনি এর অধিবাসীদের ধর্মীয় বিশ্বাসও বৈচিত্রময়। আমাদের দেশের জনগণ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-মুসলমানসহ বিভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসী। এ দেশের অধিবাসীরা বাঙালি, মণিপুরি, চাকমা, মারমা প্রভৃতি নৃগোষ্ঠীতে বিভক্ত হলেও একক পরিচয়ে আমারা বাংলাদেশী।
    যে দেশে হিন্দু ভাইয়ের দোকান থেকে জিলাপি বা মিষ্টি কিনে মসজিদে মিলাদ পড়ানো হয়।
    কোন মুসল্লি এটা নিয়ে চিন্তা না করে নিশ্চিন্তে মিলাদ শেষে জিলাপি খেতে খেতে বাড়ি যায়।
    যে দেশে চা এর দোকানে একই কাপে হিন্দু-মুসলিম চা খেয়ে যুগের পর যুগ বসবাস করছি আমরা। কারো মাথায় এটা নিয়ে ব্যাথা-বেদনা নেই।
    যে দেশে হিন্দুদের দাওয়াতে অধিকাংশ লোক থাকে মুসলিম এলাকাবাসী, বন্ধুবান্ধব মুসলিমদের দাওয়াতেও খুব স্বাভাবিকভাবে হিন্দুরা অংশ নেয়। এতে কেউই কিছু মনে করে না।
    যে দেশে সামাজিক কোন অনুষ্ঠানে একই টেবিলে একই প্লেটে হিন্দু-মুসলিম পাশাপাশি বসে খাবার খাই আমরা।
    যে দেশে পাবলিক বাসে, রিক্সায়, ক্লাসের বেঞ্চে পাশাপাশি বসে দিব্যি চলাফেরা করে হিন্দু-মুসলিম। কারো কোন সমস্যা নেই।
    যে দেশে মসজিদ আর মন্দির একই এলাকায় আছে অনেক জায়গায়। দুই পক্ষই ইবাদত করছে। কারোরই কোন অসুবিধা হয়না যুগ যুগ ধরে।
    অনেকেই আছে যারা হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। অনেকেই হিন্দু মুসলিম একসঙ্গে এক বেডে থাকে।
    যে দেশে পূজার ছুটিতে বাড়িতে গেলে বন্ধুর জন্য তার পূজার নাড়ু নিয়ে আসে, মুসলিম বন্ধু ঈদে বাড়িতে গেলে কোরবানি ঈদের খাসির মাংস নিয়ে যায় হিন্দু বন্ধুর জন্য।
    যে দেশে হিন্দু বন্ধু মুসলিম বন্ধুূের সঙ্গে মিলেমিশে ইফতার পর্যন্ত করে।
    সে দেশে হুট করে স্বৈরাচারী সরকার পালানোর পরে কোন ধরনের গুজব শুরু হলো..???
    বিশ্বের আর কোন দেশে এরকম সুন্দর দৃষ্টান্ত দেখাতে পারবেন??
    এত সুন্দর সম্প্রীতি আমার জানামতে আর কোথাও নেই। ভারতে সেটা কল্পনাও করা যায়না। তবুও এত কথা কেন? এত মিথ্যা প্রোপাগান্ডা কেন ছড়ানো হচ্ছে? কিছু মানুষ এর জন্য দায়ী। এরা গভীর ষড়যন্ত্র করছে বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ । কিন্তু এরা সফল হয়নি, সফল হতে পারবেনা ইনশা-আল্লাহ। কারন আমাদের দেশের মানুষ সত্যিকার অসাম্প্রদায়িক, আমরা হিন্দু-মুসলিম বিভেদ করিনা। আমাদের ভিতরে ঘষেটি বেগম কারা তা সবারই যানা।
    প্রতিটি ধর্মে কিছু খারাপ মানুষ আছে। তাদের জন্য সবাইকে দোষ দেওয়া কি ন্যায় সম্মত?
    একটা দল বা গোষ্ঠী দেখাতে চাচ্ছে আমরা বাংলাদেশ থেকে সরে আসার পরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়ে গেছে। এখুনি সময় সেটা রুখে দিতে হবে।।

    মোঃ সুজা উদ্দিন। সাংবাদিক।
    রংপুর,বাংলাদেশ।

  • রোমে ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশন এর দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন-২০২৪

    রোমে ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশন এর দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন-২০২৪

    ইতালি প্রতিনিধিঃ সানি মল্লিক

    ইতালির রোমে ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশন এর দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বর্গবাসী- “দেবরা লিটা” এর জন্য নিরাবতা পালন করে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। সংগঠনের সভাপতি যোসেফ ডি’ কস্তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত- মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। কার্যকরী পরিষদের অন্যতম সদস্য সানি মল্লিক এর বাইবেল পাঠ এবং প্রণতি ক্রূশ এর প্রার্থনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। দপ্তর সম্পাদক টুটুল ভি. গমেজ এবং মহিলা সম্পাদক মার্গারেট সরকারের পরিচালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের কনভেনার এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপালী গমেজ, সভাপতি- যোসেফ ডি’ কস্তা।(ফ্রান্স),সাধারণ সম্পাদক-মার্ক রায় (ফ্রান্স),জেফরি ফার্নান্দেজ- সভাপতি (PBCA),সহ-সভাপতি- কাজল সরকার (ইউকে),নির্বাচন কমিশনার-মিলি বিশ্বাস (ইতালি), মাইকেল মালাকার- উপদেষ্টা(নরওয়ে), দপ্তর সম্পাদক- টুটুল ভিনসেন্ট গমেজ(ইতালি),সহ দপ্তর সম্পাদক: খোকন রোজারিও (পোল্যান্ড) ,সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সম্পাদক-লাকি রোজারিওর (ইতালি),মনোনীত সদস্য: রিকি রোজারিও(ফ্রান্স) ,অপু কস্তা,(ইতালি) সানি মল্লিক (ইতালি) আলেকজান্ডার পলাশ (ইতালি) সহ অন্যান্যরা।

    সংগঠনে সেক্রেটারি – মার্ক রায় তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন,এটি একটি সামাজিক ও মানবিক সংগঠন। ইউরোপে বসবাসরত খ্রিস্টান সমাজের মধ্যে এটি সর্ববৃহৎ সংগঠন। ইউরোপে বসবাসরত সকল খ্রিষ্টভক্তদের মাঝে সম্পর্কের একটি ব্রিজ তৈরি করাই এর সংগঠনের প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্য।


    ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যারা বসবাসের জন্য নতুন আসে এই সংগঠনটি দীর্ঘদিন তাদের সাহায্য সহযোগিতা করছে। এমনকি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে, অসহায়, পিছিয়ে পড়া মানুষদের নিয়মিত ভাবে, মানবিক সাহায্য করছে এই সংগঠনটি। এই মানবিক কার্যক্রম গুলি চলমান রাখার জন্য তিনি সকলের সাহায্যের সহযোগিতা কামনা করেন।

    প্রধান অতিথি বাংলাদেশ দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত- মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন তার বক্তব্যে উদারতা,মানবতা,ঐক্যতা এবং শান্তির কথা বলেন।

    এ সময় উত্তরীয় গ্রহণ এবং মোমবাতি প্রজ্বলন করে সকলে একাত্মতা ঘোষণা করে,মিলেমিশে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে। স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ (মহিলা সংস্থা, প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ, প্রবাসী বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশন,সঞ্চারী সংগীতা একাডেমি ) ফুল দিয়ে ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের পরিষদকে স্বাগত জানান।

    সঞ্চারী সংগীতা একাডেমি কর্ণধার- সুস্মিতা সুলতানার তত্ত্বাবধানে নতুন প্রজন্মের নাচ গুলো ছিল সত্যি প্রশংসা দাবিদার।

    পরিশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করে, লন্ডন থেকে আগত শিল্পী- কাজল সরকার,ফ্রান্স থেকে আগত শিল্পী – জেমস পিন্টু কস্তা এবং স্থানীয় জনপ্রিয় শিল্পী, গানের পাখি- রত্না বাসক ও মাসুদ রানা।

  • যুক্তরাষ্ট্রে জন্মদিনের পার্টিতে বন্দুক হামলা, নিহত চার

    যুক্তরাষ্ট্রে জন্মদিনের পার্টিতে বন্দুক হামলা, নিহত চার

    যুক্তরাষ্ট্রে জন্মদিনের পার্টিতে বন্দুক হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। এসময় সন্দেহভাজন হামলাকারী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    শনিবার (৬ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের একটি বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

    পুলিশ জানায়, উত্তর কেন্টাকির একটি বাড়িতে জন্মদিনের পার্টি চলাকালীন এক বন্দুকধারী হামলা চালালে, গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজন নিহত ও আরও তিনজন আহত হন।

    শহরের পুলিশ প্রধান জেফ ম্যালেরি বলেন, বন্দুক হামলার খবর পেয়ে রাত ৩টার দিকে ফ্লোরেন্সের একটি বাড়ির কাছে পৌঁছালে পুলিশ গুলির শব্দ শুনতে পায়। এসময় সাতজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হলেও চারজনকে ঘটনাস্থলেই মৃত ঘোষণা হয়। আহত অন্য তিনজনকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    হামলার পরপরই সন্দেহভাজন হামলাকারী ২১ বছর বয়সী চেজ গার্ভে একটি গাড়িতে করে ঘটনাস্থল থেকে তিনি পালিয়ে যান। পুলিশের একটি দল তার পিছু ধাওয়া করে। এসময় তার গাড়িটি খাদে পড়ে যায়।

    পুলিশ তাকেও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে নেয়া হলে, চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সন্দেহভাজন ঐ হামলাকারী আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি একাই হামলায় জড়িত ছিলো বলে প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে এবং স্থানীয় জনসাধারণের জন্য এখন কোনো বিপদ নেই। সম্পাদনা: ইস্রাফিল ফকির।

  • গাজায় স্কুলে ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ১৬

    গাজায় স্কুলে ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ১৬

    ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় স্কুলে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।

    রোববার (৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

    সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজার নুসেইরাত আশ্রয় কেন্দ্রে জাতিসংঘ-পরিচালিত ওই স্কুল ভবন ছিল হাজারো বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয়স্থল। বহু মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে। মূলত ইসরায়েল গত ৯ মাস ধরে অবরুদ্ধ উপকূলীয় এই অঞ্চলে বর্বর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে।

    শনিবার গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের আল-জাউনি স্কুলে চালানো ওই হামলায় ১৬ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও ৭৫ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, ‘আমরা বেসামরিক নাগরিক, শিশু এবং নারীদের বিরুদ্ধে এই চলমান অপরাধ এবং গণহত্যার জন্য নিন্দা করছি।’

    আল জাজিরা বলছে, গত বছরের অক্টোবরে গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ইসরায়েল এর আগে বহু স্কুলেই এই ধরনের হামলা চালিয়েছে।

    মূলত গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৮ হাজার ৯৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটি খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং অন্যান্য মানবিক সহায়তা সরবরাহের মারাত্মক সংকটের সম্মুখীন হয়েছে।

    যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক এনজিও ‘ইন্টারন্যাশনাল কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট’ জানিয়েছে, ১৯৯২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত যত সংঘাত হয়েছে তার মধ্যে ‘গাজার যুদ্ধ সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ছিল’। ওই বছর থেকে তারা সাংবাদিকদের হত্যার তথ্য নথিভুক্ত করা শুরু করে।

     

  • ভারতের আসামে বন্যায় ৫২ জনের মৃত্যু

    ভারতের আসামে বন্যায় ৫২ জনের মৃত্যু

    ভারতের আসামে বন্যায় এখন পর্যন্ত ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় সাড়ে ২৪ লাখ মানুষ। শনিবার (৬ জুলাই) আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

    এতে বলা হয়, আসামের ৩৫টি জেলার মধ্যে ৩০টিতেই বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধুবড়ি, ডারাং, কছাড়, বরপেটা ও মরিগাঁও জেলা।

    এ ছাড়া বন্যায় আসামের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের অন্তত ৭০ শতাংশ জমি প্লাবিত হয়েছে। আতঙ্কে উদ্যান ছেড়ে পালাচ্ছে পশুরা। এখন পর্যন্ত ৭৭টি পশুর মৃত্যু হয়েছে। ১৫ হাজারের বেশি পশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ব্রহ্মপুত্রসহ একাধিক বড় নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। রাজ্যের শহরাঞ্চলগুলোও ৯ দিন ধরে পানির নিচে। বৃষ্টি না থামলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, ক্ষতির মোকাবিলা করতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলোতে পরিস্থিতির তত্ত্বাবধানের জন্য মন্ত্রীদের নিয়োগ করা হয়েছে।

     

  • যুক্তরাষ্ট্রে জন্মদিনের পার্টিতে বন্দুক হামলা, নিহত ৪

    যুক্তরাষ্ট্রে জন্মদিনের পার্টিতে বন্দুক হামলা, নিহত ৪

    যুক্তরাষ্ট্রে জন্মদিনের পার্টিতে বন্দুক হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। সন্দেহভাজন হামলাকারী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। পরে গাড়ি থেকে তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

    রোববার (৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

    এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার (৬ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকির একটি বাড়িতে বন্দুকধারীর গুলিতে চারজন নিহত ও আরও তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ফ্লোরেন্স পুলিশ বিভাগ বলছে, চারজনকে ঘটনাস্থলেই মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া আহত অন্য তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    পুলিশ প্রধান জেফ ম্যালেরি এক প্রেস কনফারেন্সে বলেন, বন্দুক হামলার খবর পেয়ে অফিসাররা শনিবার ভোর ৩ টার দিকে ওই বাসভবনে যান। বাড়ির কাছাকাছি যাওয়ার সাথে সাথে তারা গুলি চালানোর শব্দও শুনতে পান। ঘটনার সময় সেখানে অনেকে জন্মদিনের পুল পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন।

    সন্দেহভাজন হামলকারী পুলিশ আসার আগেই একটি গাড়িতে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। তবে পুলিশের একটি দল তার পিছু ধাওয়া করে। ওই ব্যক্তি তখন রাস্তা ছেড়ে খাদে পড়ে যায়।

    বার্তাসংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে নিজের বন্দুকের গুলিতে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তাকে নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি একাই হামলায় জড়িত ছিল বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।