Category: আইন-বিচার

  • বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

    নিউজ ডেস্কঃ

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, এর অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ  ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গসংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে। আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আব্দুল মোমেন স্বাক্ষতির এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।

    এর আগে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার গত ১ আগস্ট জামায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ওই দিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮(১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও এর সব অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করে।

    আজকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘যেহেতু বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনের সন্ত্রাস ও সহিংসতায় সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় নাই, যেহেতু সরকার বিশ্বাস করে যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত নহে, সেহেতু সরকার সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা সংক্রান্ত এ বিভাগের বিগত  ১ আগস্টের প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হলো। এ আইনের তফসিল-২ থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠন এর তালিকাভুক্তি বাতিল করা হলো।’
    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত গেজেটও জারি করা হয়েছে।

  • সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে রংপুরে হত্যা মামলা

    সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে রংপুরে হত্যা মামলা

    নিউজ ডেস্কঃ

    জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ও রংপুর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি আমলি আদালতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী মুসলিম উদ্দিন মিলনের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার (৩২) এই মামলাটি করেন।

    মামলায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জাকির হোসেন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান, রংপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজাহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুসাইন মোহাম্মদ রায়হান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু আশরাফ সিদ্দিকী, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক সংসদ সদস্য নাছিমা জামান ববি, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক প্রামাণিক, আওয়ামী লীগ নেতা রাশেক রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছায়াদাত হোসেন বকুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শফিয়ার রহমান সাফি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল। এছাড়া আরও অনেককে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

    এই মামলাটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সিটি বাজার এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়। এসময় ৮ থেকে ১৭ নম্বর পর্যন্ত  আসামিদের প্ররোচনা ও উস্কানিতে ১ থেকে ৭ নম্বর আসামিদের নির্দেশে ২, ৩, ৪, ৬ ও ৭ নম্বর আসামিসহ হেলমেট পরিহিত পুলিশ সদস্যরা এলোপাথাড়ি গুলি ছোঁড়ে। এতে মিলন গুলিবিদ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে আসামিদের চাপে মরদেহের ময়নাতদন্ত না করেই তড়িঘড়ি করে দাফন করা হয়েছে।

  • সাবেক এমপি শিবলী সাদিকের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় আরও একটি হত্যা মামলা

    সাবেক এমপি শিবলী সাদিকের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় আরও একটি হত্যা মামলা

    নিউজ ডেস্কঃ

    দিনাজপুর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিবলী সাদিকের নামে আরও একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।

    সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে  শিবলি সাদিকসহ আওয়ামী লীগের মোট ৬৪ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন মোঃ রবিউল ইসলাম নামের একজন লোক। ওনার ছেলে ও ছেলের দুই বন্ধুকে হত্যার অভিযোগে মামলাটি করেন তিনি।

    এর আগে, গত ৫ আগস্ট হাকিমপুর পৌর শহরে সাবেক পৌর মেয়র জামিল হোসেনের বাড়িতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া দুই যুবককে তুলে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা, লাশ গুম ও হত্যার ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে বাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগে মোঃ সুজন নামে এক, লোক বাদী হয়ে গত ১৯ আগস্ট সকালে হাকিমপুর থানায় মামলা করেছেন।

    সোমবার হওয়া হত্যা মামলার বাদী মোঃ রবিউল ইসলাম নবাবগঞ্জ উপজেলার উত্তর শ্যামপুর গ্রামের মৃত আবদুস সামাদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক। এই মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- দিনাজপুর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের ছোট ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজওয়ার মোহাম্মদ ফাহিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান (মানিক), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সায়েম সবুজ, দপ্তর সম্পাদক মো. শামসুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহিনুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন ও ছাত্রলীগ নেতা জামাল বাদশা। এই মামলায় আরও অনেককে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

  • বদরগন্জে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

    বদরগন্জে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে রংপুরের বদরগন্জ উপজেলার ১৫নং লোহানিপাড়া ইউনিয়নের “পানারহাট ঘিরনই উচ্চ বিদ্যালয়” এর প্রধান শিক্ষক মোস্তাক আহমেদ এর পদত্যাগ দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। রবিবার (২৫আগস্ট, ২০২৪),বেলা ১১টার দিকে স্কুল প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন তারা।

    এ সময় কমপক্ষে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রধান শিক্ষক ব্যতীত সকল শিক্ষক বিক্ষোভে অংশ নেন। প্রধান শিক্ষক মোস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে অনেক গুলো অভিযোগ এনেছেন শিক্ষার্থী ও কর্মরত শিক্ষকরা।

    শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক আমাদের রেজিস্ট্রেশন, ভর্তি ও পরীক্ষার ফি নেওয়ার সময় বাড়তি টাকা নিয়েছেন। এমন প্রধান শিক্ষক আমরা চাই না।
    বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। তাই তার পদত্যাগ ও তদন্তের মাধ্যমে তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা।

    শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে তাঁর কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক পদত্যাগ না করা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ক্লাসে না ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন।
    এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোস্তাক আহমেদ বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

  • জামালপুরে বাল্যবিবাহ মুক্ত উপজেলা ঘোষণায় জিও,এনজিও প্রতিষ্ঠান সমূহের অগ্রগতি ও করনীয় শীর্ষক সমন্বয় সভা

    জামালপুরে বাল্যবিবাহ মুক্ত উপজেলা ঘোষণায় জিও,এনজিও প্রতিষ্ঠান সমূহের অগ্রগতি ও করনীয় শীর্ষক সমন্বয় সভা

    মোঃ খোরশেদ আলমঃ

    এ উপলক্ষে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিক জামালপুর সদর উপজেলা কার্যালয় হলরুমে সভার আয়োজন করেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও উন্নয়ন সংঘ। বাল্য বিয়ে মুক্ত বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতি ও করনীয় শীর্ষক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য দেন, জামালপুর সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জিন্নাত শহীদ পিংকি। জামালপুর জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অতি.দা.) কামরুন্নাহানের সভাপতিত্বে সভায়
    বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য দেন, জামালপুর ইসলামীক ফাউন্ডেশনের ডিডি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, জেলার সিনিয়র তথ্য অফিসার মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন, জামালপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মো: শাহাদাৎ হোসেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশে জামালপুর ক্লাস্টারের সিনিয়র ম্যানেজার সেবাস্টিয়ান পিউরিফিকেশ, সূর্য তোরণ সমাজ সেবা সংস্থা এর নির্বাহী পরিচালক ও মানবাধিকার কর্মী মো: খোরশেদ আলম সঞ্চানালয়ে ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর জেন্ডার স্পেশালিস্ট জেসমিন প্রোজেক্ট এর  সাদিকা বেগম, আরো উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো: রফিকুল ইসলাম, ব্র্যাক এর জেলা সমন্বয়কারী আহমেদ ওমর ফারুক, হাফিজা খানম, জেলা ব্যবস্থাপক ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসূচি, তরঙ্গ মহিলা কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক, শামীমা খান, অপরাজেয় বাংলাদেশ এর ম্যানেজার মো: আশরাফুল ইসলাম, স্বনির্ভর নারী কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সাজেদা পারভীন ঝিনুক, গনচেতনার প্রতিনিধি ফাতেমা নার্গিস, এফপিএবির কোঅর্ডিনেটর মাহিনুর সিদ্দিকা, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ  এর প্রতিনিধি মন্জুরুল হক প্রমুখ।

    উক্ত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- জিও,এনজিও কাজী, সাংবাদিক, শিক্ষক ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

    সভা পরিচালনা করেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ জামালপুরের এরিয়া প্রোগ্রাম ব্যবস্থাপক সাগর ডি কস্তা। পরে বাল্য বিয়ে মুক্ত উপজেলা ঘোষনায় করণীয় বিষয়ে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।

  • মাইনকার চিপায় ওরা! দেশপ্রেমের বিকাশ হোক সবার অন্তরে

    মাইনকার চিপায় ওরা! দেশপ্রেমের বিকাশ হোক সবার অন্তরে

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    আমাদের দেশে ‘মাইনকার চিপা’ বলে একটা কথা প্রচলিত রয়েছে। কোথা থেকে কথাটির উৎপত্তি আমার জানা নেই। তবে কথাটির অর্থ অনেকেরই জানা।

    এটা নিয়ে একটি গানও রয়েছে –
    জনপ্রিয় বাংলাদেশি কণ্ঠশিল্পী হায়দার হোসেনের। “আমি ফাইসা গেছি, আমি ফাইসা গেছি,আমি ফাইসা গেছি, মাইনকার চিপায়।আমারও দিলের চোট বোঝে না কোনো হালায়।

    মুলত, ‘মাইনকার চিপা’ বলতে এমন এক অসহনীয় অবস্থার কথা বোঝায়, যখন কারও ওপর বিপরীতমুখী ভিন্ন ভিন্ন দিক থেকে সৃষ্টি হওয়া ‘অবস্থার-চাপ’ এমনই বোঝা হয়ে ওঠে যে, তার পক্ষে কোনোদিকে এদিক-সেদিক করেও শান্তি পাওয়ার পথ থাকে না। এটি একটি মারাত্মক ও অনতিক্রমযোগ্য উভয় সংকটের দুঃসহ পরিস্থিতি।

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে টিকতে না পেরে শেখ হাসিনা ৫ আগষ্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান, সেনাপ্রধান অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে ৮ আগস্ট ২০২৪ এ ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে  অন্তবর্তীকালীন সরকার শপথ গ্ৰহণ করে।

    শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও পালাতে পারিনি অনেক বড় বড় আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা! পর্যায়ক্রমে অনেকেই গ্রেফতার হচ্ছেন প্রশাসনের হাতে।
    শেখ হাসিনার ১৫ বছরের স্বৈরশাসনে দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে তৈরি হয়েছিলো অসংখ্য আওয়ামী পাতি-নেতা। শহর-বন্দর থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত এদের কার্যক্রম ছিলো অতি জঘন্য। মফস্বল কেন্দ্রিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা গুলোতে নিয়োগ বানিজ্য, অধিকাংশ প্রাইমারি স্কুলগুলোতে অক্ষর জ্ঞানহীন অদক্ষ সভাপতি বানানো। সরকারি খাস জমি দখল,চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ধর্ষন,  মাদকের কারবার সহ কি না করতো তারা।

    এ সমস্ত পাতি নেতারা  ৫ আগষ্টের পর হতে পড়ে গেছে মাইনকার চিপায়! শহর-বন্দর,হাটে-বাজারে, রাস্তা-ঘাটে কোথাও দেখা মিলেছেনা তাদের। চিপায় পড়ে গেছে। একদম মাইনকার চিপায়।

    এবার আসুন বাস্তব কিছু কথা-বার্তায়ঃ
    দেশকে ভালবাসা মানুষের জন্মগত প্রবৃত্তি। আমরা এ সম্পর্কে সচেতন না থাকলেও এটা আমাদের হৃদয়ের গভীরে সুপ্ত থাকে। দেশের অপমান, দেশবাসীর দুঃখ-দৈন্যে, দেশের দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে, দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হলে, দেশকে নিয়ে কেউ উপহাস বা কটাক্ষ করলে এ অনুভূতি জেগে উঠে।

    ১৯৭১ সালের মতো ২০২৪ সালে এসেও দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে। প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলো অকাতরে শত শত শিক্ষার্থীরা । মাটি ও মানুষের জন্যে গভীর মমতা না থাকলে এটা কোনোদিন সম্ভব হতো না। দেশপ্রেম থাকা চাই বৈদেশিক আগ্রাসনকে প্রতিহত করার জন্যে। ইতিহাস বার বার এটাই প্রমাণ করেছে যে, দেশপ্রেমিক জাতি শত্রুর কাছে কখনও পরাজিত হয় না। সে জাতির অন্তরে জ্বলতে থাকে দেশপ্রেমের আগুন অনির্বাণ শিখার ন্যায়।

    শুধু সংগ্রামী রূপ ধারণ করেই আবির্ভূত হয় না দেশপ্রেম। সত্যিকার দেশপ্রেম হচ্ছে দেশকে গড়ে তোলার সাধনা করা। দেশের সচেতন নাগরিকদের কারো অজানা নয় যে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করাটাই কঠিন। দেশকে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলাটাই দেশবাসীর লক্ষ্য হওয়া উচিত।

    আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, দেশপ্রেম ঈমানেরই অঙ্গ।
    আসুন সকলে মিলে দেশটা নতুন করে সাজাই। প্রতিশোধের নেশায় পড়ে কারো বাড়ী ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আঘাত  না করি। প্রতিশোধের ভিতর কোনো কল্যাণ নেই। ক্ষমা করে দেওয়াই উত্তম।

    যদি কাউকে শাস্তি পেতে হয়, তবে সেটা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী হবে। আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই।

    লেখকঃ সাংবাদিক, মোঃ সুজা উদ্দিন

  • পৌর মেয়র, জেলা পরিষদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের অপসারণের প্রজ্ঞাপন জারি

    পৌর মেয়র, জেলা পরিষদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের অপসারণের প্রজ্ঞাপন জারি

    ডেস্ক নিউজঃ

    আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচিত দেশের ৩২৩ পৌরসভার মেয়র, ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ৪৯৩টি উপজেলা চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হয়েছে।
    রোববার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে৷
    দেশের ৩২৩ পৌরসভার মেয়রকে অপসারণ করে স্থানীয় সরকার বিভাগ জানিয়েছে, এতদ্বারা স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৪ এর ধারা ৩২ (ক) প্রয়োগ করে, বাংলাদেশের পৌরসভার মেয়রগণকে স্ব স্ব পদ থেকে অপসারণ করা হলো।
    এছাড়াও ৬০টি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকেও অপসারণ করা হয়েছে। আবার ৪৯৩টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে।
    স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
    ১৬ আগস্ট সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সরকার জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।
    এমন বিধান রেখে ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪, জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ইং এর খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

  • জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা আওয়ামী লীগের চরম সীমালঙ্ঘন

    জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা আওয়ামী লীগের চরম সীমালঙ্ঘন

    ডেস্ক নিউজঃ

    বরগুনা জেলা শাখার আমির মো. মহিবুল্লাহ হারুন বলেছেন, ১ আগস্ট জামায়াত ইসলামকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ চরম সীমালঙ্ঘন করেছে। আর এ কারণেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার তোপে দীর্ঘ ১৫ বছরের ক্ষমতা ছেড়ে করুণ অবস্থায় বিদায় নিতে হয়েছে তাদের।
    রোববার (১৮ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে বরগুনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জামায়াত ইসলামীর জেলা শাখা ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
    জামায়াতে ইসলামী বরগুনা জেলা শাখার জেলা আমির মো. মহিবুল্লাহ হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় নেতাকর্মীরা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। তাদের দীর্ঘ শাসনামলে সবথেকে বেশি কারাভোগসহ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন জামায়াত ইসলামের নেতাকর্মীরা। এখন আমরা মুক্ত হয়েছি। তবে আমরা কেউ প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে চাই না। আমরা সব ভুলে নতুন করে বাংলাদেশ গড়ার কাজ করতে চাই।

  • জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণের আশায় দালালচক্রের রাস্তার দু’ধারে নতুন স্থাপনা নির্মাণ।

    জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণের আশায় দালালচক্রের রাস্তার দু’ধারে নতুন স্থাপনা নির্মাণ।

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    বামনডাঙ্গা (গাইবান্ধা)-শঠিবাড়ী-আফতাবগঞ্জ (দিনাজপুর) জেলা মহাসড়ক (জেড-৫০১৩) প্রশস্থকরণ এর জন্য সরকার রাস্তার দু’ধারের জমি অধিগ্রহণ করবে। সেই জন্য জমি অধিগ্রহণসহ দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকলে দেওয়া হবে ক্ষতিপূরণ। সেই আশায় নতুন করে রাস্তার দু’ধারে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন জমির মালিকগণ ও কয়েকটি দালালচক্র।
    নতুন করে জমি অধিগ্রহণকল্পে ক্রয় করা হবে জমি এবং ব্যবসায়ীকে দেওয়া হবে ক্ষতিপূরণ। এ-সুযোগে কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য মহাসড়কের দু’ধারে আবাদি ও পতিত জমিতে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়েই নতুন করে বিল্ডিং, দোকান ঘর, মার্কেট নির্মাণ করেছেন।
    পুরাতন ও নবনির্মিত স্থাপনা গুলোর জন্য নতুন করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছেন। ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ এবং দোকান ঘর ভাঙ্গার ক্ষতিপূরণ নেওয়ার জন্য এ সমস্ত স্থাপনা নির্মান  করেছেন মহাসড়কের দু’ধারের পতিত জমির মালিকগণ ও কয়েকটি দালালচক্র।
    এমনকি বসতবাড়ি ভেঙ্গে তৈরি করা হয়েছে মার্কেট। এর ফলে মহাসড়কের দু’পার্শ্বে প্রতিদিন নতুন করে জেগে উঠা স্থাপনা চোখে পড়ছে। আগে যে জায়গা গুলো ফাঁকা পড়ে ছিল সেই জায়গাগুলোতেও তৈরি করা হয়েছে দোকান ঘর। অনেকেই কাগজে-কলমে দোকান ঘর ভাড়া নিচ্ছেন স্বার্থ হাসিলের আশায়।
    এর ফলে সচেতন মহলের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, চলছে চায়ের দোকানে আলোচনা কে কতো টাকা পাবে?
    যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য নতুন করে দোকান ঘর নির্মাণ ও ব্যবসায়ী হিসেবে ক্ষতিপূরণ নেওয়ার পায়তারা করছেন, এই দালালচক্রের বিষয়ে ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টিআকর্ষণ ও জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতনমহল।
    সচেতনমহল আরো বলছেন, দেশ নতুন করে সাজানো হচ্ছে, এই দেশে আর কোন দুর্নীতি হতে দেওয়া যাবেনা।

  • বদরগঞ্জে মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়া’কে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনা ঘটেছে।

    বদরগঞ্জে মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়া’কে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনা ঘটেছে।

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার  ১৫নং লোহানিপাড়া ইউনিয়নের ঘিরনই, মাল তোলা নামক এলাকায় মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়া’কে কেন্দ্র করে খু*নের ঘটনা ঘটেছে।
    স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোমবার, (১২ আগস্ট ২০২৪ইং), একটি মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়া কে কেন্দ্র করে উপজেলার  ১৫নং লোহানিপাড়া ইউনিয়নের ঘিরনই, মাল তোলা নামক এলাকায় মোঃ আয়নাল মিয়ার পরিবারের সাথে মোঃ সামাদ মিয়ার পরিবারের ঝগড়া লেগে যায়।
    স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারা, ঝগড়া নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আলোচনা বসে।
    আলোচনার এক পর্যায়ে দুই পক্ষই মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন ।
    একদিকে সামাদ মিয়ার পরিবারের লোকজন অন্য দিকে নিহত আয়নাল মিয়ায়ার পরিবারের লোকজন তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়।
    সংঘর্ষের একপর্যায়ে আয়নাল মিয়া গুরুতর আঘাত প্রাপ্তহন। সেখান থেকে লোকজন তাকে চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে ভর্তি করান।
    চিকিৎসাধীন অবস্থায় আয়নাল মিয়ার মৃত্যু হয়। নিহত আয়নাল মিয়ার আনুমানিক বয়স ৬০ বছর।
    রাতে আয়নাল মিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে, প্রাণভয়ে সামাদ মিয়ার পরিবারের লোকজন নিজ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
    মৃত্যুর ঘটনা কে কেন্দ্র করে, সামাদ মিয়াদের বাড়িতে বিভিন্ন মালামাল লুটতরাজের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।
    সেই সঙ্গে সাথে, সামাদ মিয়ার পরিবার থেকে দাবি করা হচ্ছে নিহত আয়নাল তাদের আঘাতে মৃত্যুবরণ করেনি।
    অপরদিকে, নিহত আয়নাল মিয়ার পরিবারের লোকজন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।