Category: আইন-বিচার

  • শিশু ও যৌন পাচার প্রতিরোধে সাংবাদিকদের সাথে অপরাজেয় বাংলাদেশের সভা

    শিশু ও যৌন পাচার প্রতিরোধে সাংবাদিকদের সাথে অপরাজেয় বাংলাদেশের সভা

    খোরশেদ আলমঃ

    শিশু ও যৌন পাচার প্রতিরোধে সাংবাদিকদের সঙ্গে সভা করেছে অপরাজেয় বাংলাদেশ জামালপুর শাখা। এ উপলক্ষে শহরের শাহপুরস্থ গোরস্থান মোড় এলাকায় অপরাজেয় বাংলাদেশ জামালপুর শাখা কার্যালয়ে শনিবার বেলা চারটার দিকে সভার আয়োজন করা হয়। সভায় অংশ নেন সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা মনজু, মো: জাহাঙ্গীর সেলিম, সুলতান আলম, মঞ্জুরুল হক, মো: খোরশেদ আলম ও মাহমুদুল হাসান মুক্তা, মো: শাকিল আহমেদ প্রমুখ।

    এ ছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন,অপরাজেয় বাংলাদেশ জামালপুর সেন্টারের ম্যানেজার মো: আশরাফুল ইসলাম,সমাজ কর্মী আব্দুল মোতালেব বাদল, সমাজ কর্মী আফিয়া আফসানা, কাউন্সিলর অব ম্যানেজমেন্টের মোসলিমা জান্নাত মিলি ও শিক্ষক মনিজা খাতুন। চাইল্ড সেক্স ট্রাফিকিং শিশু যৌন পাচার প্রতিরোধ প্রকল্প ইউএসের ফ্রিডম ফান্ডের অর্থায়নে আয়োজিত সভার বক্তব্য উপস্থাপনে সেন্টার ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম এ প্রকল্পের আওতায় ১৮ বছরের নিচে বয়সী শিশুদের কেউ যদি নির্যাতনের শিকার হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে এই অপরাজেয় বাংলাদেশে সেন্টারের দায়িত্ব প্রাপ্তদের অবহিত করার কথা বলেন। এ ছাড়া তিনি রানীগঞ্জ পতিতা পল্লীর যে সকল পতিতা ৫০ বছরের উর্ধ্ব রয়েছে তাদেরকে এ প্রকল্পের মাধ্যমে কর্ম সংস্থান সৃষ্টি করে দেয়ার কথা বলেন। পরে সূর্য তোরণ সমাজ সেবা সংস্থা জামালপুর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে ২৪০ পিস স্যানোরা প্যাড দেওয়া হয় অপরাজেয় বাংলাদেশ জামালপুরকে।

  • ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম এন্ড অপস্) মহোদয় কর্তৃক শেরপুর সদর কোর্ট বার্ষিক পরিদর্শন সম্পন্ন

    ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম এন্ড অপস্) মহোদয় কর্তৃক শেরপুর সদর কোর্ট বার্ষিক পরিদর্শন সম্পন্ন

     

     খোরশেদ আলমঃ

    শেরপুর সদর কোর্ট বার্ষিক পরিদর্শনের অংশ হিসেবে সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের সম্মানিত অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ শরিফুর রহমান বিপিএম।

    বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১৩ ঘটিকায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়, শেরপুরে উপস্থিত হলে অতিরিক্ত ডিআইজি মহোদয়কে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলাম।

    এরপর অতিরিক্ত ডিআইজি মহোদয় ক্রমান্বয়ে কোর্টের অফিস কক্ষ, মালখানায় জব্দকৃত আলামত সরজমিনে পরিদর্শন করে আলামত যথাযথ ভাবে সংরক্ষণ করার নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে সদর কোর্টের বিভিন্ন রেজিস্টারপত্র পর্যালোচনা করেন ও করণীয় সংক্রান্তে পরামর্শ প্রদান করেন।

    পরিদর্শনকালে কোর্টে কর্মরত সকল অফিসার-ফোর্সের কর্মপরিবেশ ও বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন। তিনি বিচারিক আদালতের কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনা ও দৈনন্দিন কার্যক্রমে সকলকে পেশাদারিত্বের সহিত কাজ করার আহ্বান জানান।

    এসময় শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ খোরশেদ আলম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ সাইদুর রহমান, কোর্ট ইন্সপেক্টর মোঃ জিয়াউর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার মোঃ শহীদুল হক-সহ কোর্টে কর্মরত বিভিন্ন পদমর্যাদা পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

  • বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জামালপুর জেলার প্রতিনিধিদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জামালপুর জেলার প্রতিনিধিদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা

    খোরশেদ আলম

    বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সুপারের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জামালপুর জেলার সদস্যদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম পিপিএম-সেবা মহোদয়ের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মতবিনিময় সভার শুরুতে পুলিশ সুপার মহোদয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ছাত্রদের স্মরণ করেন এবং তাদের স্বপ্নের বৈষম্যবিরোধী দেশ গঠনে সকলকে পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করার আহবান জানান এবং জেলা পুলিশ জামালপুর পেশাদারিত্বের সাথে সকল স্তরের জনগনের সহযোগিতা নিয়ে জামালপুর জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহ সকল অপরাধ দমনসহ জনবান্ধব পুলিশিং এর আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    সভায় আগত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জামালপুর জেলা সমন্বয়ক ও সদস্যগণ পুলিশ সুপার মহোদয়কে সমসাময়িক বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ড, অনিয়ম, দুর্নীতি, সিন্ডিকেট, মাদকসহ অন্যান্য বিষয়ে অবগত করেন।

    এসময় পুলিশ সুপার মহোদয় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন। তিনি বলেন- ‘জামালপুর জেলা পুলিশ যে কোন পরিস্থিতিতে জনগণের পাশে আছে। কোথাও কোন অনিয়ম বা অপকর্ম হতে দেখলে তাৎক্ষণিক জেলা পুলিশকে তথ্য দিয়ে দিয়ে সহায়তা করুন। আমাদের কোন ভুল হলে সেটা আমাদের ধরিয়ে দিন। পুলিশ কর্তৃক কোথায় কেউ হয়রানির স্বীকার হলে আমাদের জানান। ’

    এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ মাসুদ আনোয়ার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) সোহেল মাহমুদ পিপিএম সহ জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখার সদস্যগণ।

  • স্বপদে বহাল ১২নং মিলনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আতিয়ার রহমান সরকার

    স্বপদে বহাল ১২নং মিলনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আতিয়ার রহমান সরকার

    মোঃ সুজা উদ্দিন

    স্বপদে বহাল হলেন রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ১২নং মিলনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ  আতিয়ার রহমান সরকার।
    বুধবার, (২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) বিষয়টি নিশ্চিত করেন ১২নং মিলনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও স্থানীয় লোকজন।
    এ বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, গত (২২/০৯/২০২৪ইং) তারিখে চাল বিতরণে অভিযোগ এনে আমাকে জোর পূর্বক পদত্যাগ করানো হয়েছে।
    এবিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট একটি অভিযোগ পত্র দেই।
    আমার বিষয়ে চাল বিতরণে আনীত অভিযোগ অসত্য প্রমাণিত হওয়ায় আমি আজ বুধবার, (২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪), আমার অফিসে এসে আসন গ্রহন করি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী, জামাত-বিএনপির ইউনিয়ন প্রতিনিধি  নিয়ে চাল বিতরণের কার্যক্রম শুরু করি।

  • রংপুরে আওয়ামিলীগ নেতা তুষার কান্তি মন্ডলের ০৭ দিনের রিমান্ড মন্জুর

    রংপুরে আওয়ামিলীগ নেতা তুষার কান্তি মন্ডলের ০৭ দিনের রিমান্ড মন্জুর

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    রংপুরে আওয়ামিলীগ নেতা তুষার কান্তি মন্ডলের ০৭ দিনের রিমান্ড মন্জুর আদালত।
    আজ বৃহস্পতিবার, (১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) রংপুর মহানগর আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডলের ৭ দিনের রিমান্ড মন্জুর করেন বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালত, রংপুর। তাকে জিআর ৩৮৬/২৪ (কোতয়ালী), ৩৮৭/২৪ (কোতয়ালী), ৪০১/২৪ (কোতয়ালী), ৪০২/২৪ (কোতয়ালী), ৪০৩/২৪ (কোতয়ালী) মূলে গ্রেফতারপূর্বক বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় জিআর ৩৮৭/২৪ (কোতয়ালী) মূলে ভিকটিম আব্দুল্লাহ আল তাহির হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উক্ত আসামীর ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড মন্জুর করেন। তার বিরুদ্ধে অন্যান্য মামলাগুলি তদন্তাধীন আছে।
    উল্লেখ্য যে, গত ১৭/০৯/২০২৪ তারিখ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর সাভার এলাকার একটি বাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

  • মিঠাপুকুরে বিয়ের পাত্রী দেখতে এসে বর কর্তৃক স্বর্ণালংকার চুরি: আটক বর

    মিঠাপুকুরে বিয়ের পাত্রী দেখতে এসে বর কর্তৃক স্বর্ণালংকার চুরি: আটক বর

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শাল্টি গোপালপুর (মরিচবাড়ি) এলাকায় বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে এসে অভিনব কায়দায় ঘটকসহ বিয়ের কনেকে চেতনানাশক মেডিসিন স্প্রেরের সাহায্যে অজ্ঞান করে স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনা ঘটেছে।
    আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে সেই বর উপজেলার মুসলিম বাজার এলাকায় স্থানীয়দের হাতে আটক হয়।

    বিস্তারিত আসতেছে…

  • মিঠাপুকুরে জামায়াত সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার অভিযোগ

    মিঠাপুকুরে জামায়াত সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার অভিযোগ

    নাগরিক কথা ডেস্কঃ

    রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ভাংনী ইউনিয়নের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। বন্যার্তদের সহযোগিতার নামে নগদ টাকা সংগ্রহ করে আত্মসাতের চেষ্টাকালে চেয়ারম্যান বাঁধা দেওয়ায় এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।

    শনিবার (৩১ আগস্ট) রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ।

    এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভাংনী ইউপি চেয়ারম্যানের ভাতিজা ফাহিম মুনতাসীর ওয়াহেদী।
    অভিযোগসূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভাংনী ইউনিয়নে বন্যার্তদের সাহায্যের নামে ‘আল মা আরিজ যুব সংগঠন’র ব্যানারে নগদ প্রায় ২ লাখ টাকা কালেকশন করে কাগজীপাড়া গ্রামের মোতাকাব্বের হোসেনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ। কালেকশনের টাকা বন্যার্তদের সহযোগিতায় না পাঠিয়ে টালবাহানার কারণে দ্বন্দ্ব বিবাদ লাগে সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে। এই বিষয়টি জানাজানি হলে ইউপি চেয়ারম্যান উত্তোলিত টাকা বন্যার্তদের সহযোগিতায় সরকারি ফান্ডে পাঠাতে বলে। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ভাংনী ইউনিয়নের কাগজীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দোলনের ইন্ধনে মোতাকাব্বের হোসেন, রিয়াল মিয়া, নাঈম মিয়া, মোরছালিন মিয়া, এনামুল হক হলুদ, তাজমুল হোসেন, রুকু মিয়াসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জনসহ লাঠি, লোহার রড ও দা নিয়ে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। হামলার পূর্বে চেয়ারম্যানের বসতবাড়িতে অবস্থিত হোমিওপ্যাথিক ফার্মেসিতে প্রবেশ করে দরজা, টেলিভিশন, চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করে আনুমানিক ৩৯ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে ও ক্যাশ টেবিলের ড্রয়ার থেকে ৮৬ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং চলে যাওয়ার সময় দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্য হত্যা করার হুমকি প্রদান করে।

    ভাংনী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মোতাকাব্বের ছেলেটি নিজের শারীরিক প্রতিবন্ধীটাকে পুঁজি করে মাঝে মধ্যেই বিধবা ভাতাসহ সমাজকল্যাণ বিভাগের বিভিন্ন কাজ নিয়ে আমার কাছে তদবির করতে আসে। আমি কোনো তদবিরকারীকে প্রশ্রয় না দেওয়ায় আগে থেকেই ক্ষিপ্ত ছিলেন আমার ওপর। সর্বশেষ শনিবার রেজিস্ট্রেশনবিহীন সংগঠনের নামে বন্যার্তদের সহযোগিতার অজুহাতে কালেকশনকৃত নগদ অর্থ নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষয়ে জানতে পেরে জনপ্রতিনিধি হিসেবে সরকারি ফান্ডে জমা দিতে বলি। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সাবেক স্বৈরাচারের দোসরদের উস্কানিতে আমার অনুপস্থিতিতে বসতবাড়িতে হামলা চালিয়েছে। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

    এ বিষয়ে মিঠাপুকুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান শিমুল জানান, এক বছর হয়নি আমাদের জামায়াত সমর্থিত পায়রাবন্দ ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সে হত্যার রহস্য আজও উদঘাটন হয়নি। আবারও আমাদের উপজেলার আরেক ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যার উদ্দেশে বসতবাড়িতে হামলা চালানো হলো। আমরা বড় কোনো দুর্ঘটনার পূর্বে এই অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
    মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
    (তথ্য সূত্র- সংগ্রহীত)

  • মিঠাপুকুরে ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে ভূমি অফিসে ছাত্র-জনতার অবস্থান

    মিঠাপুকুরে ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে ভূমি অফিসে ছাত্র-জনতার অবস্থান

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ১৩নং গোপালপুর  ইউনিয়নের চিলাখাল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে খাজনা খারিজ ও খতিয়ান সরবরাহ বাবদ অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার পাশাপাশি সেবা প্রত্যাশী জনসাধারণকে নানাভাবে হয়রানি করা সহ নানাবিধ দূর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

    এ ঘটনায় রবিবার, (০১সেটেম্বর) সকাল ১১ টা থেকে টানা দুই ঘন্টা ভূমি অফিস চত্বরে অবস্থান নেয় এলাকার ভূক্তভোগী জনগণ সহ ছাত্র-জনতা। এ সময় তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে অফিস চত্ত্বরে এসে ওই ভূমি কর্মকর্তা আর তার নিয়োগকৃত দালালদের বিরুদ্ধে  ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    সরেজমিনে, চিলাখাল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে জানা যায় ,সাদেকুল ইসলাম গোপালপুর ইউনিয়নের চিলাখাল ভূমি অফিস সহ  চেংমারী ইউনিয়ন ও বড়বালা ইউনিয়নের ছড়ান ভূমি অফিস সহ মোট ৩টি ইউনিয়নের  দ্বায়িত্ব বিগত ২ বছর ধরে পালন করছেন। এরই মধ্য তিনি অফিস কর্মচারী, স্থানীয় দালাল, ভূমিদস্যু ও উপজেলার সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের মুহুরীদের নিয়ে ঘুষ বাণিজ্যের একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলে মাসে কয়েক লক্ষ্যধিক টাকার ঘুষের কারবার করেন বলে জানা গেছে । কোনো দালাল ছাড়া সাধারণ সেবা প্রত্যাশীদের কেউ তার কাছে গেলে খারাপ আচরণ করে অফিস থেকে বের করে দেওয়া সহ নানাবিধ হয়রানি করতে থাকেন।

    এসব অনিয়ম আর ঘুষ নৈরাজ্যের প্রতিবাদে গোপালপুর ইউনিয়নের তিন শতাধিক ছাত্র জনতা আজ রবিবার অফিস চত্বরে এসে উক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপর  ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা বলেন, অফিসের পিয়ন পরিচয়ধারী ইব্রাহীমের হাতেই মাসে লক্ষ লক্ষ টাকার ঘুষ বাণিজ্য শুধু চিলাখাল  অফিসেই হয়। অথচ এই ইব্রাহীম এই অফিসের কোনো স্টাফই নন। তার কোনো হাজিরা খাতাও নেই। শুধু তাই নয়,কোনো সেবা প্রত্যাশীরা এলে অফিসে ঢুকার আগেই স্থানীয় দালালেরা তাদের বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতিজনক কথাবার্তা বলে কাগজ পত্র টাকা পয়সা হাতিয়ে নেন। সেখানে আরও আছে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের মুহুরি ও ফড়িয়া নেতারাও, এদের জ্বালায় কেউ সহজেই কোনো সেবা পায়না। এদের ডিঙ্গিয়ে কেউ অফিসে গেলে তাদের দিনের পর দিন হয়রানীর শিকার হতে হয়।

    চিলাখাল গ্রামের আব্দুল মতিন মন্ডল বলেন, চেংমারী ইউনিয়নের তিলকপাড়া মৌজায় আমার শালার একটি জমি খারিজ করতে দিছিলাম। প্রথম আবেদনটি এই তহশীলদার প্রতিবেদন দিয়ে বাতিল করেছে। বলেছে উক্ত খতিয়ানে তার অংশের কোনো জমি নেই। খারিজ দেওয়া সম্ভব নয়। অথচ সবই ঠিক ছিলো। পরের বার আবার আবেদন করেছি।  টাকা নিয়ে খারিজ পার করে দিছে। স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার আদালতে ভূমির মামলায় তহশীল প্রতিবেদনের জন্য ১০ হাজার টাকা নিয়েছে তহশীলদার সাদেকুল ইসলাম।  আমার জায়গা জমি রেকর্ড সহ দলিল পত্রাদি সবেই ঠিক আছে। তদন্তে গিয়ে বিবাদীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে। এখন আমারই বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন প্রস্তাব পাঠিয়েছে। ঘুরিয়াখাল গ্রামের সাবেক মেম্বার আমিনুর রহমান রনজু ব্যাবসায়ী গোলাম মোস্তফা, দূর্গামতি গ্রামের শেরেকুল ইসলাম, মাঠের হাটের আঃ রশিদ ফকির, কৃষ্ণ পুরের টিসিবি ডিলার মোস্তাফিজার রহমান বাবুল ও এজরা পাড়ার বুলু মিয়া, বাবুরহাটের মনোয়ার হোসেন, শাহিন আলম সহ স্থানীয়  শতাধিক জন ব্যাক্তি বলেন, খাজনা- খারিজে ভীতি দেখিয়ে তারা সবারই কাছে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে নিয়েছেন। ২টি খাজনার চেকে ৮ শত টাকা উঠিয়ে দিয়ে ৯ হাজার টাকা আত্নসাত করেছে।অতিরিক্ত টাকা না দিলে বিভিন্ন ভাবে সব কাজেই হয়রানীর শিকার হতে হয়।

    এছাড়াও ছড়ান ভূমি অফিসের আওতাধীন তরফবাদী মৌজার ২৯৮ হোল্ডিং-এর কেশবপুরের মনোয়ার হোসেন বলেন,আমার বাবার ১৮৩ শতক জমির পূর্বের কোনো খাজনা পরিশোধ করা ছিলনা। ভয়ভীতি দেখিয়ে তহশীলদার সাদেকুল ১০ হাজার টাকা নিয়ে ৪২৪ টাকার খাজনার রশিদ প্রদান করেছে।  ছড়ান আরাজি শিবপুর গ্রামের হুমায়ুন কবির বলেন, হেবা দলিল মূলে আমরা ৪ ভাই পিতার সম্পতির মালিক। সম্প্রতি বড়বালা মৌজার ৪০৫৪৪০৫৫ নং দাগ সহ অন্যান্য দাগের সব দামী জমি গুলো তহশীলদার সাদেকুল ইসলাম আমার প্রতিপক্ষ দুইভাই হারুন ও মর্তুজার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে খারিজ করে দিয়েছেন। অথচ আমরা ৪ ভাইয়েই ওই সব সম্পতির সমান মালিক। এখন আমরা চরম বিপাকে পড়েছি। ভূমি অফিসে যাচ্ছি এসিল্যান্ড অফিসে যাচ্ছি।  কোনো সুরাহাই পাচ্ছিনা। উল্টো তার অফিসের পিয়ন আশরাফুল এটা ঠিক করে দেওয়ার জন্য আমাদের কাছ থেকে উল্টো টাকা দাবী করছে।

    এ রকম শত শত অভিযোগ নিয়ে আজ রবিবার ভূক্তভোগী সেবাপ্রত্যাশীরা চিলাখাল ভূমি অফিস চত্বরে অবস্থান নেয়।ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলামের এ সমস্ত অনিয়ম ঘুষ বাণিজ্যের  প্রতিকার চান এবং যাদের অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলো সবেই ফেরত চান।এ সময় উপায়ন্তর না পেয়ে ভূমি কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলাম প্রকাশ্যে জনসম্মুখে সবারই উদ্দেশ্য ক্ষমা চেয়ে নেন এবং এমন ভূল দূর্ণীতি দালাল বাণিজ্য আর হবেনা বলে অঙ্গীকার করেন।

    ছাত্র জনতার সমন্বয়ক ডাঃ মো রাশেদুল ইসলাম, শাওন মিয়া, হৃদয় ও নাজির হোসেন বাবু সহ একাধিকজন বলেন, এখানে এতোদিন ধরে যা ঘটেছে সবটাই দূর্ণীতি শোষণ আর জুলুম। কোনো সেবাপ্রত্যাশী ব্যাক্তিরা দালালের হাত না ধরে এখানে এসে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাননি। অফিস স্টাফরাও যা যা করেছে সেটাও অনেক খারাপ। অনেক বড় জালিয়াতি আর জুলুম করেছে। এমনটা আর কোথাও হয় বলে আমাদের জানা নেই। এই অনিয়ম আর জুলুম থেকেই এই তহশীলদারের প্রতি আজ এতো জনরোষ।

    এ সময় ছাত্র জনতার সমন্বয়ক ডাঃ মো রাশেদুল ইসলাম
    একটি লিখিত অভিযোগ পত্র পাঠ করেন।
    ১। দুর্নীতিমুক্ত চিলাখাল (বাবুর হাট) কাচারী অফিস চাই।
    ২। দালালমুক্ত কাচারী অফিস চাই।
    ৩। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রকাশ্য তালিকা চাই।
    ৪। অতিরিক্ত খাজনা আদায় প্রমান সাপেক্ষে ফেরত দিতে হবে।
    ৫। তফসিলদার কর্তৃক খাজনা বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় প্রসঙ্গে সেই সঙ্গে সমস্ত ভুক্তভোগীকে খাজনার চেক ছাড়া অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দিতে হবে।
    ৬। খাজনা বাবদ প্রতি শতক জমির প্রতিবছর অনুযায়ী সরকারী নির্ধারিত মূল্য অফিসের নোটিশ বোর্ডে নিদিষ্ট ভাবে উল্লেখ করতে হবে।
    ৭। অফিসের  কর্মকর্তার কর্মচারীর উপস্থিতি যথা সময়ে এসে হারানী মুক্ত পরিবেশ তৈরি করা এবং দালালমুক্ত বহিরাগত অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে৷
    ৮। যদি সম্ভব হয়, খাদনা বাবদ চেক প্রদান ও অনলাইনে কোন লেন-দেন এর প্রিন্ট কপি অফিসেই ব্যবস্থা করতে হবে।
    উক্ত অভিযোগ পত্রটিতে ভূমি সহকারী কর্মকতা সীল স্বাক্ষর করেন।

    এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: মুলতামিস বিল্লাহ বলেন, ওই ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (সাদেকুল ইসলাম) এর ওখানে যেটা অনিয়ম ঘুষ বাণিজ্য হয়েছে, তার সবটারই অভিযোগ তদন্ত করা হবে। কেউ দূর্ণীতি করে পার পেয়ে যাবেন, এমন ভাবনা ভাবার সময় আর নেই। আমি নিজেই এগুলোর তদন্ত করবো। বিভাগীয় পর্যায়েও তাকে নিয়ে কথা বলবো। সেখান থেকেও তদন্ত করা হবে।  তাকে ডেকে নিয়ে এ ঘটনার জন্য কারণ দর্শানো হবে।  ভিডিও ফুটেজ দেখে ও অভিযোগকারী গণের কথা শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তার বিরুদ্ধে গ্রহণ করা হবে।

    ভিডিও লিংক – https://youtu.be/QCsfMHaKKQo?si=I3p4ecCLWFS-_O95

  • রংপুরে অটোভ্যান চালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার

    রংপুরে অটোভ্যান চালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার

    নিউজ ডেস্কঃ

    রংপুরের পীরগঞ্জে মমতাজ আলী (৬২) নামে এক ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি পার্শ্ববর্তী মিঠাপুকুর উপজেলার ১১নং বড়বালা ইউনিয়নের একডালা গ্রামের মৃত মিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।

    শনিবার সকালে পীরগঞ্জের চৈত্রকোল ইউনিয়নের দানিশ নগর গ্রাম সংলগ্ন আখ ক্ষেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
    পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার দুপুরে মমতাজ আলী অটোভ্যান নিয়ে বাড়ি সংলগ্ন ছড়ান হাটে গিয়ে আর ফিরে আসেননি।

    শনিবার সকালে হাত বাধা, মাথা ও মুখ রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার ধারে রাজা মিয়ার আখ ক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে অন্যত্র হত্যা করে লাশ ওই স্থানে ফেলে যাওয়া হয়েছে।

    নিহতের ছেলে ফারুক মিয়া ও মেয়ে খুকিমাই এ হত্যাকাণ্ডকে পরিকল্পিত হত্যা জানিয়ে বলেন, বাবার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তার সহোদর ভাইদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এরই জেরে তাকে খুন করা হয়েছে।
    এনিয়ে উভয় পক্ষের মামলা পাল্টা মামলাও রয়েছে।
    ভেন্ডাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রমেক মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

    তথ্য সূত্র – বাংলাদেশ প্রতিদিন

  • কেমন চলছে বর্তমান বাংলাদেশ?

    কেমন চলছে বর্তমান বাংলাদেশ?

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশত্যাগে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
    এর পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হলো অন্তর্বর্তী সরকার। শপথ নিলেন সকল উপদেষ্টারা।

    গণঅভ্যুত্থানের পর এ যেন এক নতুন বাংলাদেশ। দেশের জনগণ সবাই তাকিয়ে আছে উপদেষ্টামণ্ডলীর দিকে, অনেক অনেক জনপ্রত্যাশা।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে দেশের পুরো সিস্টেমের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার হচ্ছে। সেটা চলমান রয়েছে বটে।

    এর’ই মাঝে দেশের তিন দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা চলমান রয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সহ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ জনগণ বন্যার্তদের জন্য আর্থিকভাবে এগিয়ে এসেছেন।

    নির্বাচন ও সংস্কার প্রশ্নে রোডম্যাপ বা রূপরেখা তৈরি করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

    এদিকে দেশের জাতীয় নির্বাচন এবং বিভিন্ন খাতে সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব ব্যাপক ভিত্তিক সংলাপ চেয়েছে বিএনপি। এই সংলাপ শুরুর ব্যাপারে যাতে ঘোষণা দেওয়া হয় সে ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অনুরোধ করেছে দলটি।

    অন্য দিকে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে।

    জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপি নির্বাচনের জন্য আলটিমেটাম দিয়েছিল আবার এখন রোডম্যাপ দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে। পরিপ্রেক্ষিতে আমি মনে করি, বিএনপির জায়গা থেকে যেটি উত্তম মনে করেছে, সেটিই তারা করেছে।
    সাড়ে ১৫ বছরে দেশে অনেক জঞ্জাল সৃষ্টি হয়েছে। সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চরমভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে। যার কুফল ১৫ বছরে জাতি ভোগ করেছে। এতগুলো জঞ্জাল ঠিক করা ৩ মাসে সম্ভব হবে না বলে মনে করেন না ডা. শফিকুর রহমান।
    বিএনপি নির্বাচনের জন্য তোড়জোড় করছে আমরা এই মুহুর্তে নির্বাচনকে প্রাধান্য দিচ্ছি না। এসময় জাতির ক্রাইসিস রক্তের দাগ, ক্ষতবিক্ষত হওয়া শহিদ পরিবারগুলো, বিভিন্ন জেলায় বন্যার কবলে পড়ে পড়েছে। এটাকে আমরা এই মুহূর্তের রাজনীতি হিসেবে নিয়েছি।  এটাকে কেউ যদি রাজনীতি বলে রাজনীতি, আবার কেউ যদি বলে মানবিক দায়িত্ব তাহলে মানবিক দায়িত্ব।
    আমরা মনে করি, এ বিষয়গুলো সমাধান না করে নির্বাচনের কথা তোলা, যৌক্তিক মনে করি না।  তাই আমরা নির্বাচন নিয়ে কথা বলছি না। মানুষের এ বিষয়গুলো সমাধান করার জন্য আল্লাহ আমাদের যতটুকু সামর্থ্য দিয়েছেন সেটুকু চেষ্টা করে যাব।

    নির্বাচনের দাবি করায় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আসা কটাক্ষ ও সমালোচনার জবাব দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ‘বিরাজনীতিকরণের’ চেষ্টার কথা তুলে ধরেছেন।
    এখন নির্বাচনের দাবি জনগণ মেনে নেবে না বলে জামায়াতের পক্ষ থেকে আসা বক্তব্যের বিপরীতে তিনি বলেছেন, যারা ভোটে জিততে পারবে না, সরকার চালাতে পারবে না, তারা এসব কথা বলে।

    তবে অন্তর্বর্তী সরকার কবে নির্বাচন দেবে – এই প্রশ্নে এখন বিএনপি ও জামায়াত বিপরীতমুখী অবস্থানে।

    আর এদিকে সাধারণ জনগণের মধ্যে দেখা মিলেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার।
    অনেকই বলছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হোক নিরপেক্ষ হোক এতে যে কোন দল ক্ষমতায় আসুক জনগন গ্রহণ করে নিবে।
    আবার কেউ বলেছেন, ডঃ ইউনুস হলেন বাংলাদেশের মানুষের সুখ পাখি সরকার। পাঁচ বছর এই সুখ পাখি সরকার থাকবেন।

    ফেসবুকে একজন বলেছেন, ১৫ বছরে ভোট দিতে পারিনি। প্রয়োজন হলে আরো ১০ বছর ভোট দিবো না। আমাদের এই মুহূর্তে ভোট অধিকারের প্রয়োজন না। আমাদের প্রয়োজন একটা জবাবদিহি মূলক সুশাসন। একটা আত্মনির্ভরশীল সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ।