Author: nag@admin

  • জামালপুরে বাল্যবিবাহ মুক্ত উপজেলা ঘোষণায় জিও,এনজিও প্রতিষ্ঠান সমূহের অগ্রগতি ও করনীয় শীর্ষক সমন্বয় সভা

    জামালপুরে বাল্যবিবাহ মুক্ত উপজেলা ঘোষণায় জিও,এনজিও প্রতিষ্ঠান সমূহের অগ্রগতি ও করনীয় শীর্ষক সমন্বয় সভা

    মোঃ খোরশেদ আলমঃ

    এ উপলক্ষে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিক জামালপুর সদর উপজেলা কার্যালয় হলরুমে সভার আয়োজন করেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও উন্নয়ন সংঘ। বাল্য বিয়ে মুক্ত বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতি ও করনীয় শীর্ষক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য দেন, জামালপুর সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জিন্নাত শহীদ পিংকি। জামালপুর জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অতি.দা.) কামরুন্নাহানের সভাপতিত্বে সভায়
    বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য দেন, জামালপুর ইসলামীক ফাউন্ডেশনের ডিডি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, জেলার সিনিয়র তথ্য অফিসার মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন, জামালপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মো: শাহাদাৎ হোসেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশে জামালপুর ক্লাস্টারের সিনিয়র ম্যানেজার সেবাস্টিয়ান পিউরিফিকেশ, সূর্য তোরণ সমাজ সেবা সংস্থা এর নির্বাহী পরিচালক ও মানবাধিকার কর্মী মো: খোরশেদ আলম সঞ্চানালয়ে ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর জেন্ডার স্পেশালিস্ট জেসমিন প্রোজেক্ট এর  সাদিকা বেগম, আরো উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো: রফিকুল ইসলাম, ব্র্যাক এর জেলা সমন্বয়কারী আহমেদ ওমর ফারুক, হাফিজা খানম, জেলা ব্যবস্থাপক ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসূচি, তরঙ্গ মহিলা কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক, শামীমা খান, অপরাজেয় বাংলাদেশ এর ম্যানেজার মো: আশরাফুল ইসলাম, স্বনির্ভর নারী কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সাজেদা পারভীন ঝিনুক, গনচেতনার প্রতিনিধি ফাতেমা নার্গিস, এফপিএবির কোঅর্ডিনেটর মাহিনুর সিদ্দিকা, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ  এর প্রতিনিধি মন্জুরুল হক প্রমুখ।

    উক্ত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- জিও,এনজিও কাজী, সাংবাদিক, শিক্ষক ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

    সভা পরিচালনা করেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ জামালপুরের এরিয়া প্রোগ্রাম ব্যবস্থাপক সাগর ডি কস্তা। পরে বাল্য বিয়ে মুক্ত উপজেলা ঘোষনায় করণীয় বিষয়ে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।

  • মাইনকার চিপায় ওরা! দেশপ্রেমের বিকাশ হোক সবার অন্তরে

    মাইনকার চিপায় ওরা! দেশপ্রেমের বিকাশ হোক সবার অন্তরে

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    আমাদের দেশে ‘মাইনকার চিপা’ বলে একটা কথা প্রচলিত রয়েছে। কোথা থেকে কথাটির উৎপত্তি আমার জানা নেই। তবে কথাটির অর্থ অনেকেরই জানা।

    এটা নিয়ে একটি গানও রয়েছে –
    জনপ্রিয় বাংলাদেশি কণ্ঠশিল্পী হায়দার হোসেনের। “আমি ফাইসা গেছি, আমি ফাইসা গেছি,আমি ফাইসা গেছি, মাইনকার চিপায়।আমারও দিলের চোট বোঝে না কোনো হালায়।

    মুলত, ‘মাইনকার চিপা’ বলতে এমন এক অসহনীয় অবস্থার কথা বোঝায়, যখন কারও ওপর বিপরীতমুখী ভিন্ন ভিন্ন দিক থেকে সৃষ্টি হওয়া ‘অবস্থার-চাপ’ এমনই বোঝা হয়ে ওঠে যে, তার পক্ষে কোনোদিকে এদিক-সেদিক করেও শান্তি পাওয়ার পথ থাকে না। এটি একটি মারাত্মক ও অনতিক্রমযোগ্য উভয় সংকটের দুঃসহ পরিস্থিতি।

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে টিকতে না পেরে শেখ হাসিনা ৫ আগষ্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান, সেনাপ্রধান অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে ৮ আগস্ট ২০২৪ এ ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে  অন্তবর্তীকালীন সরকার শপথ গ্ৰহণ করে।

    শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও পালাতে পারিনি অনেক বড় বড় আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা! পর্যায়ক্রমে অনেকেই গ্রেফতার হচ্ছেন প্রশাসনের হাতে।
    শেখ হাসিনার ১৫ বছরের স্বৈরশাসনে দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে তৈরি হয়েছিলো অসংখ্য আওয়ামী পাতি-নেতা। শহর-বন্দর থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত এদের কার্যক্রম ছিলো অতি জঘন্য। মফস্বল কেন্দ্রিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা গুলোতে নিয়োগ বানিজ্য, অধিকাংশ প্রাইমারি স্কুলগুলোতে অক্ষর জ্ঞানহীন অদক্ষ সভাপতি বানানো। সরকারি খাস জমি দখল,চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ধর্ষন,  মাদকের কারবার সহ কি না করতো তারা।

    এ সমস্ত পাতি নেতারা  ৫ আগষ্টের পর হতে পড়ে গেছে মাইনকার চিপায়! শহর-বন্দর,হাটে-বাজারে, রাস্তা-ঘাটে কোথাও দেখা মিলেছেনা তাদের। চিপায় পড়ে গেছে। একদম মাইনকার চিপায়।

    এবার আসুন বাস্তব কিছু কথা-বার্তায়ঃ
    দেশকে ভালবাসা মানুষের জন্মগত প্রবৃত্তি। আমরা এ সম্পর্কে সচেতন না থাকলেও এটা আমাদের হৃদয়ের গভীরে সুপ্ত থাকে। দেশের অপমান, দেশবাসীর দুঃখ-দৈন্যে, দেশের দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে, দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হলে, দেশকে নিয়ে কেউ উপহাস বা কটাক্ষ করলে এ অনুভূতি জেগে উঠে।

    ১৯৭১ সালের মতো ২০২৪ সালে এসেও দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে। প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলো অকাতরে শত শত শিক্ষার্থীরা । মাটি ও মানুষের জন্যে গভীর মমতা না থাকলে এটা কোনোদিন সম্ভব হতো না। দেশপ্রেম থাকা চাই বৈদেশিক আগ্রাসনকে প্রতিহত করার জন্যে। ইতিহাস বার বার এটাই প্রমাণ করেছে যে, দেশপ্রেমিক জাতি শত্রুর কাছে কখনও পরাজিত হয় না। সে জাতির অন্তরে জ্বলতে থাকে দেশপ্রেমের আগুন অনির্বাণ শিখার ন্যায়।

    শুধু সংগ্রামী রূপ ধারণ করেই আবির্ভূত হয় না দেশপ্রেম। সত্যিকার দেশপ্রেম হচ্ছে দেশকে গড়ে তোলার সাধনা করা। দেশের সচেতন নাগরিকদের কারো অজানা নয় যে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করাটাই কঠিন। দেশকে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলাটাই দেশবাসীর লক্ষ্য হওয়া উচিত।

    আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, দেশপ্রেম ঈমানেরই অঙ্গ।
    আসুন সকলে মিলে দেশটা নতুন করে সাজাই। প্রতিশোধের নেশায় পড়ে কারো বাড়ী ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আঘাত  না করি। প্রতিশোধের ভিতর কোনো কল্যাণ নেই। ক্ষমা করে দেওয়াই উত্তম।

    যদি কাউকে শাস্তি পেতে হয়, তবে সেটা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী হবে। আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই।

    লেখকঃ সাংবাদিক, মোঃ সুজা উদ্দিন

  • বিএনপির সাবেক মহাসচিব ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের ২৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী ২০ আগষ্ট

    বিএনপির সাবেক মহাসচিব ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের ২৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী ২০ আগষ্ট

    মোঃ খোরশেদ আলমঃ

    বিএনপির সাবেক মহাসচিব, সাবেক মন্ত্রী ভাষাসৈনিক ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী ২০ আগস্ট মঙ্গলবার। তিনি ১৯৩৬ সালের ৪ নভেম্বর জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার মূলবাড়ী গ্রামের সম্ভ্রান্ত তালুকদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।
    স্বৈরাচারী এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত চারদলীয় ঐক্যজোটের রূপকার ও সফলতার সাথে চারদলীয় লিয়াজোঁ কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদার। তিনি দেশের রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা সংযোজন করেন।
    স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে লালন করে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার সে সময়কার সাহসী ভূমিকা জাতি ও তার দল বিএনপি আজীবন স্মরণ রাখবে।
    ১৯৯৯ সালের ২০ আগস্ট হার্টের বাইপাস সার্জারি করানোর জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার পথে হযরত শাহজালাল (রহ.) (সাবেক জিয়া) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মারা যান তিনি।
    ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের ভাতিজা জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মো: ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম জানান, প্রয়াত এ নেতার মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে জাতীয়, দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, পরে মরহুমের কবর জিয়ারত ও দোয়া মাহফিল।
    এ ছাড়া মসজিদে মসজিদে দোয়া মাহফিল ও ২১ আগস্ট দলীয় কার্যালয়ে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে।

  • মাদারীপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত

    মাদারীপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত

    মাসুদ হোসেন খানঃ

    নানান বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা র‍্যালী ও আনন্দ আয়োজনের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছে মাদারীপুর জেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল।
    সোমবার ( ১৯ আগস্ট ২০২৪) বিকালে মাদারীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি, বি এম আরিফুল ইসলাম দুলালের নেতৃত্বে এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, র‍্যালীটি শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক হয়ে ডিসি ব্রিজ নামক স্থানে শেষ হয়। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায় থেকে দুপুর থেকেই মাদারীপুর কেন্দ্রীয় পৌর ঈদগাহ মাঠে নেতা কর্মীদের ঢল নামতে শুরু করে। বিকাল পাঁচটায় শোভাযাত্রা ও আনন্দ র‍্যালীটি শুরু হয়ে ছয়টায় শেষ হয়।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন,মাদারীপুর জেলা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, নজরুল ইসলাম লিটু,জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের জেলা আহবায়ক, এডভোকেট অলিউর রহমান দর্জি, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সদস্য সচিব,মনিরুজ্জামান ফুকু,সহ-সভাপতি, জামাল হাওলাদার,সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, লিয়াকত হোসেন কালু,জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক,নাজমুল হোসেন মিলন,মাদারীপুর সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নাসির তালুকদার, তামিম হাওলাদার সহ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • পৌর মেয়র, জেলা পরিষদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের অপসারণের প্রজ্ঞাপন জারি

    পৌর মেয়র, জেলা পরিষদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের অপসারণের প্রজ্ঞাপন জারি

    ডেস্ক নিউজঃ

    আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচিত দেশের ৩২৩ পৌরসভার মেয়র, ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ৪৯৩টি উপজেলা চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হয়েছে।
    রোববার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে৷
    দেশের ৩২৩ পৌরসভার মেয়রকে অপসারণ করে স্থানীয় সরকার বিভাগ জানিয়েছে, এতদ্বারা স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৪ এর ধারা ৩২ (ক) প্রয়োগ করে, বাংলাদেশের পৌরসভার মেয়রগণকে স্ব স্ব পদ থেকে অপসারণ করা হলো।
    এছাড়াও ৬০টি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকেও অপসারণ করা হয়েছে। আবার ৪৯৩টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে।
    স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
    ১৬ আগস্ট সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সরকার জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।
    এমন বিধান রেখে ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪, জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ইং এর খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

  • জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা আওয়ামী লীগের চরম সীমালঙ্ঘন

    জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা আওয়ামী লীগের চরম সীমালঙ্ঘন

    ডেস্ক নিউজঃ

    বরগুনা জেলা শাখার আমির মো. মহিবুল্লাহ হারুন বলেছেন, ১ আগস্ট জামায়াত ইসলামকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ চরম সীমালঙ্ঘন করেছে। আর এ কারণেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার তোপে দীর্ঘ ১৫ বছরের ক্ষমতা ছেড়ে করুণ অবস্থায় বিদায় নিতে হয়েছে তাদের।
    রোববার (১৮ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে বরগুনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জামায়াত ইসলামীর জেলা শাখা ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
    জামায়াতে ইসলামী বরগুনা জেলা শাখার জেলা আমির মো. মহিবুল্লাহ হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় নেতাকর্মীরা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। তাদের দীর্ঘ শাসনামলে সবথেকে বেশি কারাভোগসহ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন জামায়াত ইসলামের নেতাকর্মীরা। এখন আমরা মুক্ত হয়েছি। তবে আমরা কেউ প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে চাই না। আমরা সব ভুলে নতুন করে বাংলাদেশ গড়ার কাজ করতে চাই।

  • মিঠাপুকুরে কলেজের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন।

    মিঠাপুকুরে কলেজের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন।

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    রংপুরের মিঠাপুকুরে একটি কলেজের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদ ও পূর্বের নাম পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা। কলেজের পূর্বের নাম বৈরাতী ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়। যা পরিবর্তন করে আশিকুর রহমান ডিগ্রী মহাবিদ্যালয় করা হয়েছে।
    রবিবার (১৮ আগষ্ট) দুপুরে কলেজ মাঠে পূর্বের নাম বহাল রেখে অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবী করেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।
    এসময় বক্তব্য রাখেন, অত্র প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি হামিদ মিয়া, সাবেক শিক্ষার্থী, রুবেল সাদী, রওশন আবির, রফিকুল ইসলাম, এলাকাবাসীর পক্ষে নয়ন মিয়া প্রমুখ।
    মানববন্ধন চলাকালে রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনের সাবেক সাংসদ এইচএন আশিকুর রহমানকে একজন চিহ্নিত রাজাকার আখ্যা দিয়ে বক্তারা বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই কলেজ নির্মানে সাবেক সংসদ সদস্যের কোন ভূমিকা নেই। এলাকাবাসীর উদ্যোগে ১৯৯৪ সালে সকলের সহযোগিতায় বৈরাতীহাটের প্রান কেন্দ্রে কলেজটি গড়ে ওঠে বলে প্রতিষ্ঠানটির নাম বৈরাতী ডিগ্রী মহাবিদ্যালয় করা হয়। অধ্যক্ষ হাসান ইমাম শামীমের যোগসাজসে কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে বলে অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবী করেন বিক্ষোভকারীরা। এছাড়াও অধ্যক্ষের অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা সহ নিয়মিত কলেজে না আসার তীব্র সমালোচনা করেন বক্তারা।

  • কোনো অঘটন ঘটিয়ে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির সুযোগ আমরা কাউকে দেবো না : ডা.শফিকুর রহমান

    কোনো অঘটন ঘটিয়ে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির সুযোগ আমরা কাউকে দেবো না : ডা.শফিকুর রহমান

    ডেস্ক রিপোর্টঃ

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা.শফিকুর রহমানের সাথে জাকের পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার, (১৬ই আগষ্ট) বিকেলে রাজধানীর পল্টনস্থ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, জাকের পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মু. নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য যথাক্রমে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির, এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন, মুহাম্মদ কামাল হোসাইন, ড. আব্দুল মান্নান, জাকের পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট আবু লতিফ খান সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
    আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ছাত্র জনতার বিপ্লবে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। তাদের পরিবারের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমরা একটা পরিচ্ছন্ন সমাজ গড়ে তুলতে চাই। শহীদ ও আহতদের পরিবারে সফর করার সময় আমরা তাদের মাঝে যে স্পৃহা ও দৃঢ়তা দেখেছি তা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে।
    তিনি বলেন, ছাত্র জনতার এই বিপ্লব পরবর্তীতে কিছু কিছু যায়গায় বিশৃঙ্খলা চলছে এটা আমরা লক্ষ্য করছি। মানুষের জমি দখল, সম্পদ দখল, লুটতরাজ এধরনের জঘন্য কাজে কিছু দুষ্কৃতিকারী নেমে গেছে। আমরা এগুলোকে ঘৃণা করি তিরস্কার জানায়। দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, সমাজ জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা এবং অতীতে যেসব ভুল হয়েছে সেসব ভুলে আর যেন দেশে পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। সবার প্রাপ্য অধিকার এখানে নিশ্চিত করতে হবে।
    তিনি আরও বলেন, দেশকে সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘুর ভিত্তিতে ভাগ করা যাবে না। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে যে লোকটা এদেশে জন্মগ্রহণ করেছে তিনিই দেশের গর্বিত নাগরিক। বাংলাদেশ আমাদের সবার। এদেশের বৈধ সকল নাগরিকের প্রতি আমাদের সমান দরদ রয়েছে। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান বা বিপ্লবের সূচনালগ্ন থেকেই আমরা বিভিন্ন ধর্মের লোকদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমূহে নিজেদের ভাইদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়ে আসছি। কারণ অনেকেই অঘটন ঘটিয়ে দেশে অস্থিরতা তৈরি করতে চায়, আমরা তাদেরকে সে সুযোগ দেবো না।
    জাকের পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার বলেন, জামায়াতে ইসলামী ও জাকের পার্টি বাংলাদেশের অন্যতম বড় ইসলামী রাজনৈতিক দল। আমরা দেশ গড়ার জন্য, এদেশের মানুষকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আজকে আমরা মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়েছি। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সকলে মিলে আমাদের এই দেশকে সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করবো।

  • রংপুর কারাগারে এক কয়েদি নিহত

    রংপুর কারাগারে এক কয়েদি নিহত

    রবিন চৌধুরী রাসেল রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

    রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রফিকুল নামের এক কয়েদির লাঠির আঘাতে বাহারুল বাদশা নামের আরেক কয়েদি নিহত হয়েছেন।

    শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকাল সোয়া ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান দুপুর সোয়া ১টার দিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ঘটনার বিবরণিতে জানা যায়, শুক্রবার সকাল সোয়া ৮টার পর কারাগারের ভেতরে গাছ থেকে আমড়া পেড়ে খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রফিকুল ও বাহারুল নামের দুই কয়েদির মধ্যে ঝগড়া বাধে। ঝগড়ার একপর্যায়ে রফিকুল ক্ষুব্ধ হয়ে বাহারুলকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। কারাগারের নার্স এসে বাহারুলের শরীরের পালস পাচ্ছিলেন না।

    তাকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় কয়েদিদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। একপর্যায়ে কারারক্ষীদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারারক্ষীরা ফাঁকা গুলি ছুড়েন। রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান ও ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কারাগারে যান।

    সেখানে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিক্ষুব্ধ কয়েদিদের সঙ্গে কথা বলে শান্ত থাকার জন্য আহ্বান জানান। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের পীরগঞ্জের বাহাদুর মিয়ার ছেলে বাহারুল বাদশা শুক্রবার সকালে তার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্দিদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

    এ ঘটনায় কারাগারের ভেতরে বিক্ষুব্ধরা বিক্ষোভ শুরু করলে কারাপুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। কারাগারের আশপাশের ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়রা গুলির বিকট শব্দ শুনতে পায় বলে নিশ্চিত করেন।

    জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, কারাগারের অভ্যন্তরে ও বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় শাহজাহান ও মোতালেব নামের দুই কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

  • মিঠাপুকুরে দীর্ঘ ১৪ বছর পর জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের মিলনমেলা

    মিঠাপুকুরে দীর্ঘ ১৪ বছর পর জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের মিলনমেলা

    মোঃ সুজা উদ্দিনঃ

    রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় দীর্ঘ ১৩-১৪ বছর পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে জামাত নেতৃবৃন্দ ও কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতিতে মনমুগ্ধকর এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘসময় অপেক্ষার পর এ যেন  দায়িত্বশীলদের মিলনমেলা।  নেতাকর্মীদের মাঝে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে।
    বৃহস্পতিবার (১৫ আগষ্ট) উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন এর নেতাকর্মীরা জামায়াতে ইসলামীর মিঠাপুকুর উপজেলা কার্যালয়ে সমবেত হয়।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রংপুর  জেলা জামায়াতে ইসলামীর সম্মানীত আমীর মোঃ গোলাম রাব্বানী।
    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা জামায়াতের সম্মানিত সেক্রেটারী মাওলানা মোঃ এনামুল হক।
    মিঠাপুকুর উপজেলা জামায়াতের সম্মানিত আমীর মোঃ জয়নাল আবেদীন মাষ্টার, মিঠাপুকুর উপজেলা জামায়াতের সম্মানিত সেক্রেটারী মোঃ আসাদুজ্জামান শিমুল সহ উপজেলা জামায়াতের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।