নাগরিক কথা ডেস্কঃ
শিক্ষক অভিভাবক ও শিক্ষাবিদ সবার মতামত বাদ দিয়ে নতুন কারিকুলাম চালিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। ইচ্ছামতো বিষয়বস্তু প্রকাশ করা হয়েছিল পাঠ্যবইয়ে। নৈতিকতা ও শিক্ষা”কে বাদ দিয়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় তৈরি করা হয়েছিল পাঠ্য বই।
আওয়ামী সরকার পতনের পর পাঠ্য বইয়ের বিভিন্ন অসংগতি বাদ দিয়ে বইয়ের পরিমার্জনের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
খুবই তাড়াতাড়ি চলছে এই কাজ। শিক্ষাবিদরা বলছেন, আওয়ামী সরকার প্রাথমিক ইতিহাস বিকৃত করে ছাপিয়েছে। সেগুলোকে সংশোধন ছাড়া কোনরকমে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এ কারণে বইপরিম অর্জন করা অতি জরুরী।
বিকৃত ও ভুল তথ্য সংযোজিত বই আগে দেয়ার চেয়ে পরিমার্জিত বই একটু দেরি করে হলেও দেওয়া ভালো ।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের একাদশের ক্লাস ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে । তবে এখন পর্যন্ত ছাপা হয়নি উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্য বই সমূহ। সেই সঙ্গে মেলেনি সিলেবাস ও। এই স্থরের পাঠ্য বইয়ের পরিমার্জনের কাজ এ মুহূর্তে চলমান থাকায় পাঠ্য বই পেতে আরো বেশ কিছুদিন সময় অপেক্ষা করতে হবে শিক্ষার্থীদের ।
চলমান মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই পরিমার্জনের কাজ শেষ করে পান্ডুলিপি প্রেসে পাঠানো যাবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষা ক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনটিটিবি) উচ্চ মাধ্যমিকের বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায়ী শিক্ষা বিভাগের বিষয়গুলো বাদে বাংলা ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এই তিনটি বিষয়ের চারটি বই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপট কর্তৃক প্রণীত হয়ে থাকে ।
সবশেষে ২০১৪ সাল থেকে বাংলা সাহিত্য পাঠ এবং সহজপাঠ, ২০১৫ সাল থেকে ইংলিশ ফর টুডে এবং ২০২১ সালে প্রণীত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বই এখনো শিক্ষার্থীদের পাঠ্য। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর উদ্যোগ নেয় এই পরিমার্জনের। এখন পর্যন্ত বাংলা বইয়ের কাজ শেষ হলেও বাকি রয়েছে ইংরেজি ও আইসিটি বই।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমের বইও প্রস্তুত আছে। কনটেন্টের কিছু বিষয় পরিবর্তন হবে। চলমান শিক্ষাক্রমের বইয়ের সেনসিটিভ বিষয়গুলো বাদ দেওয়ার জন্য একটি টিম কাজ করছে। বইয়ের প্রচ্ছদসহ ভেতরের ছবিসহ অনেক কিছুই পরিবর্তন করতে হবে। যারা শিক্ষাক্রম বিষয়ে কথা বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক তারাও এ পরিমার্জনের কাজে জড়িত রয়েছে।
Leave a Reply